হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ রেললাইনের পাশে কাজিরগাঁও রোডের কালভার্টের নিচ দিয়ে প্রবাহিত খালটি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত এ খালটি বন্ধ হয়ে গেলে পৌরবাসীর চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এভাবে খাল ভরাট করা হলে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে
স্থানীয়রা জানান, এ খালের মাধ্যমে আশপাশের রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ির বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে খালের নিচে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন তারা। ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল এই খাল। আগে বৃষ্টি হলেই পানি খাল দিয়ে চলে যেত। এখন যদি এটি ভরাট হয়ে যায় তবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত জলাবদ্ধতার শিকার হবো। স্থানীয় গৃহিণী রওশন আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রতি বছর বর্ষাকালে কষ্ট করি। এখন আবার খাল ভরাট করলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। পৌরসভা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন এই ব্যাপারে চুপ করে আছে বুঝতে পারছি না। বাজারের এক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, এটা সরাসরি পৌরসভার অবহেলা। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হলে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পৌরসভাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন, এভাবে খাল ভরাট করা হলে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের ময়লা পানিতে সড়ক ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। খাল বন্ধ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জরুরি ভিত্তিতে পৌরসভার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসে তদন্ত করুক এবং খাল ভরাট বন্ধ করে পানি নিষ্কাশনের পথ পুনরায় সচল করুক। অন্যথায় আগামী বর্ষা মৌসুমে আমাদের জীবনযাত্রা অচল হয়ে যাবে। পৌরসভার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসীর দাবি—খাল ভরাট বন্ধ করে অবিলম্বে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। হাজীগঞ্জে খাল ভরাটে পৌরবাসীর ক্ষোভ
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মকিমাবাদ রেললাইনের পাশে কাজিরগাঁও রোডের কালভার্টের নিচ দিয়ে প্রবাহিত খালটি বালু দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ হিসেবে ব্যবহৃত এ খালটি বন্ধ হয়ে গেলে পৌরবাসীর চরম দুর্ভোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এভাবে খাল ভরাট করা হলে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে
স্থানীয়রা জানান, এ খালের মাধ্যমে আশপাশের রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ির বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতো। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে খালের নিচে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন তারা। ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের একমাত্র ভরসা ছিল এই খাল। আগে বৃষ্টি হলেই পানি খাল দিয়ে চলে যেত। এখন যদি এটি ভরাট হয়ে যায় তবে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত জলাবদ্ধতার শিকার হবো। স্থানীয় গৃহিণী রওশন আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রতি বছর বর্ষাকালে কষ্ট করি। এখন আবার খাল ভরাট করলে আমাদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। পৌরসভা বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন এই ব্যাপারে চুপ করে আছে বুঝতে পারছি না। বাজারের এক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন জানান, এটা সরাসরি পৌরসভার অবহেলা। পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেওয়া হলে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। পৌরসভাকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন, এভাবে খাল ভরাট করা হলে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের ময়লা পানিতে সড়ক ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হচ্ছে। খাল বন্ধ হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জরুরি ভিত্তিতে পৌরসভার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসে তদন্ত করুক এবং খাল ভরাট বন্ধ করে পানি নিষ্কাশনের পথ পুনরায় সচল করুক। অন্যথায় আগামী বর্ষা মৌসুমে আমাদের জীবনযাত্রা অচল হয়ে যাবে। পৌরসভার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকাবাসীর দাবি—খাল ভরাট বন্ধ করে অবিলম্বে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। হাজীগঞ্জে খাল ভরাটে পৌরবাসীর ক্ষোভ