হিলি স্থলবন্দরে একে একে আমদানি করা কাঁচামরিচের ট্রাক ঢুকছে, ছাড়করণও হচ্ছে দ্রুত
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে বাজারে কেজিপ্রতি কাঁচামরিচের দাম ১০০ টাকা কমেছে। গতকাল শনিবার ১১টি ট্রাকে প্রায় ১শ’ ৯ টন ৫২০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচামরিচ বোঝাই ট্রাক আসতে শুরু করেছে।
বন্দর এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হিলিতে কাঁচামরিচ আসায় রোববার,(০৫ অক্টোবর ২০২৫) সকাল থেকে কেজিতে ১শ’ থেকে ১২০ টাকা দাম কমেছে স্থানীয় বাজারে।
বন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যায়। আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে বলে জানান তারা।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টম বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গতকাল শনিবার ভারত থেকে ১১ ট্রাকে প্রায় ১শ’ ৯ টন ৫২০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও চারটি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা কাঁচামরিচের ট্রাক দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে।
আমদানিকারকরা বলেন, ভারতে বৃষ্টির কারণে আমদানির গতি কিছুটা কম হচ্ছে। এরপরও ব্যবসায়ীরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্গাপূজায় বন্ধের কারণে কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমদানি শুরু হওয়ায় দাম এখন কমে আসবে। রোববার হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।’
বন্দরের কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী আকবর বলেন, ‘পূজার ছুটির পর গতকাল শনিবার থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। তবে সেখানেও বৃষ্টি হচ্ছে, তাই পর্যাপ্ত কাঁচামরিচ আমদানি করতে পারছি না। বৃষ্টি কমলে আমদানি বাড়বে।’
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র বলেন, ‘গত শুক্রবারও দেশি কাঁচামরিচ ২৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। শনিবার ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। তাই রোববার ১০০ টাকা কমে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটি শেষে গতকাল শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। যেহেতু কাঁচামরিচ পচনশীল পণ্য তাই দ্রুত ছাড়করণে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে আমদানিকারকদের। প্রতি টন কাঁচামরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আর প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। আমদানি বাড়লে কাঁচামরিচের দাম আরও কমবে বলে আশা করেন হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের এই কর্মকর্তা।
হিলি স্থলবন্দরে একে একে আমদানি করা কাঁচামরিচের ট্রাক ঢুকছে, ছাড়করণও হচ্ছে দ্রুত
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে বাজারে কেজিপ্রতি কাঁচামরিচের দাম ১০০ টাকা কমেছে। গতকাল শনিবার ১১টি ট্রাকে প্রায় ১শ’ ৯ টন ৫২০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচামরিচ বোঝাই ট্রাক আসতে শুরু করেছে।
বন্দর এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, হিলিতে কাঁচামরিচ আসায় রোববার,(০৫ অক্টোবর ২০২৫) সকাল থেকে কেজিতে ১শ’ থেকে ১২০ টাকা দাম কমেছে স্থানীয় বাজারে।
বন্দরের আমদানিকারকরা বলছেন, টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যায়। আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে বলে জানান তারা।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টম বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গতকাল শনিবার ভারত থেকে ১১ ট্রাকে প্রায় ১শ’ ৯ টন ৫২০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও চারটি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা কাঁচামরিচের ট্রাক দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সেগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে।
আমদানিকারকরা বলেন, ভারতে বৃষ্টির কারণে আমদানির গতি কিছুটা কম হচ্ছে। এরপরও ব্যবসায়ীরা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্গাপূজায় বন্ধের কারণে কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমদানি শুরু হওয়ায় দাম এখন কমে আসবে। রোববার হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।’
বন্দরের কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী আকবর বলেন, ‘পূজার ছুটির পর গতকাল শনিবার থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে এসব কাঁচামরিচ আমদানি হচ্ছে। তবে সেখানেও বৃষ্টি হচ্ছে, তাই পর্যাপ্ত কাঁচামরিচ আমদানি করতে পারছি না। বৃষ্টি কমলে আমদানি বাড়বে।’
হিলি বাজারের কাঁচামরিচ ব্যবসায়ী অনিল চন্দ্র বলেন, ‘গত শুক্রবারও দেশি কাঁচামরিচ ২৬০ টাকায় বিক্রি করেছি। শনিবার ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। তাই রোববার ১০০ টাকা কমে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি।’
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুর্গাপূজার ছুটি শেষে গতকাল শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। যেহেতু কাঁচামরিচ পচনশীল পণ্য তাই দ্রুত ছাড়করণে সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে আমদানিকারকদের। প্রতি টন কাঁচামরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আর প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা। আমদানি বাড়লে কাঁচামরিচের দাম আরও কমবে বলে আশা করেন হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের এই কর্মকর্তা।