ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
খাগড়াছড়িতে ৮দিন পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার,(০৫ অক্টোবর ২০২৫) ভোর ৬টা থেকে এই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। গুইমারাতেও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরস আক্তার ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ-আর্মড পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং বিজিবির টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার ভোর ৬টা থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
এর আগে ‘স্থগিত অবরোধ’ কর্মসূচি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করে নেয় ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’।
এছাড়া ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের জন্য ‘মোত্তালেব বাহিনী’ ও ‘উগ্র ধর্মান্ধ সেটলারদের’ দায়ী করেন। তিনি বলেন, “সিঙ্গিনালায় মারমা কিশোরী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে চলমান গণআন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত এবং ধর্ষকদের রক্ষা করতে পরিকল্পিতভাবে সেটলারদের লেলিয়ে দিয়ে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে।”
ইউপিডিএফ ‘পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য’ খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সাম্প্রতিক ঘটনায় জাতিসংঘের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি সদর সিঙ্গিনালাতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা। রাতেই তাকে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর পরিস্থিতির অবনতি হয়। ওই ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তিনজনই পাহাড়ি মারমা জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন। রামেসু বাজার এলাকায় আগুন দেয়া হয় প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকানপাটে।
এর মধ্যে খাগড়াছড়ির ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তবে এ প্রতিবেদনের বিষয়ে ক্ষোভ জানান কিশোরীর বাবা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫
খাগড়াছড়িতে ৮দিন পর ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার,(০৫ অক্টোবর ২০২৫) ভোর ৬টা থেকে এই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়। গুইমারাতেও ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরস আক্তার ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের আদেশ দেন।
তবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশ-আর্মড পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং বিজিবির টহল ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার ভোর ৬টা থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার খাগড়াছড়ি পৌরসভা ও সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারির আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।
এর আগে ‘স্থগিত অবরোধ’ কর্মসূচি স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করে নেয় ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’।
এছাড়া ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের জন্য ‘মোত্তালেব বাহিনী’ ও ‘উগ্র ধর্মান্ধ সেটলারদের’ দায়ী করেন। তিনি বলেন, “সিঙ্গিনালায় মারমা কিশোরী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে চলমান গণআন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত এবং ধর্ষকদের রক্ষা করতে পরিকল্পিতভাবে সেটলারদের লেলিয়ে দিয়ে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা চালানো হয়েছে।”
ইউপিডিএফ ‘পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য’ খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সাম্প্রতিক ঘটনায় জাতিসংঘের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ পর্যায়ের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি সদর সিঙ্গিনালাতে পাহাড়ি এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর খাগড়াছড়িতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা। রাতেই তাকে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। এ ঘটনায় শয়ন শীল নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর পরিস্থিতির অবনতি হয়। ওই ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তিনজনই পাহাড়ি মারমা জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন। রামেসু বাজার এলাকায় আগুন দেয়া হয় প্রায় অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকানপাটে।
এর মধ্যে খাগড়াছড়ির ওই কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। তবে এ প্রতিবেদনের বিষয়ে ক্ষোভ জানান কিশোরীর বাবা।