দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ভুল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় বন্ধ ঘোষিত নিউ একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পুনরায় চালুর জন্য মালিক সহ একটি কুচক্রী মহল সক্রিয়ভাবে তদবির চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অনুমোদন ছাড়াই এই ক্লিনিক পুনরায় চালু হলে বীরগঞ্জে আবারও প্রসূতি ও নবজাতকের প্রাণহানি ঘটতে পারে এবং সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন।
গত ২০ জুন (শুক্রবার) বিকেলে বীরগঞ্জ পৌর শহরের ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই ক্লিনিকে আশা রানী রায় (১৮) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসক ডা. ইয়াসমিন ইসলামের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়ায় তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, অপারেশনের পর রোগী অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি গোপন রাখতে মরদেহ দ্রূত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান। খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্লিনিক ঘেরাও করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।
এরপর ক্লিনিক মালিক মো. রেজাউল করিম রিপন ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা পালিয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, ক্লিনিকটির সরকারি অনুমোদন নবায়ন হয়নি এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও যোগ্য জনবল ছাড়াই এটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা জানান, বন্ধ ঘোষিত ক্লিনিক পুনরায় চালুর বিষয়ে আমি আপাতত অবহিত নই। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে রয়েছে। তাদের যে সিদ্ধান্ত হবে, তা আমাকে আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে।
অন্যদিকে, দিনাজপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ক্লিনিকের মালিক পুনরায় চালুর তদবির নিয়ে এসেছিলেন। আমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সর্বক্ষণ দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের উপস্থিতির প্রমাণ চাইলে তিনি কোনো বৈধ বা নবায়নকৃত কাগজ দেখাতে পারেননি। নবায়ন ছাড়াই ক্লিনিক চালু করলে সেটি স্পষ্ট আইন লঙ্ঘন হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আহমেদ বলেন, নিউ একতা ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ ঘোষণা করে। আদালতও বিষয়টি গুরূত্ব সহকারে নিয়ে মামলা গ্রহণ করেছে। পুনরায় ক্লিনিক চালুর বিষয়ে আমি আপাতত অবহিত নই। তবে উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে।
অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিকের মালিক দাবি করেন, আমার কাছে সব ধরনের কাগজপত্র রয়েছে। তবে তিনি নবায়নকৃত অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ভুল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় বন্ধ ঘোষিত নিউ একতা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পুনরায় চালুর জন্য মালিক সহ একটি কুচক্রী মহল সক্রিয়ভাবে তদবির চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অনুমোদন ছাড়াই এই ক্লিনিক পুনরায় চালু হলে বীরগঞ্জে আবারও প্রসূতি ও নবজাতকের প্রাণহানি ঘটতে পারে এবং সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন।
গত ২০ জুন (শুক্রবার) বিকেলে বীরগঞ্জ পৌর শহরের ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই ক্লিনিকে আশা রানী রায় (১৮) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসক ডা. ইয়াসমিন ইসলামের তত্ত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলেও যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়ায় তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের দাবি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, অপারেশনের পর রোগী অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি গোপন রাখতে মরদেহ দ্রূত দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, কিন্তু পৌঁছানোর আগেই তিনি মারা যান। খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্লিনিক ঘেরাও করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানায়।
এরপর ক্লিনিক মালিক মো. রেজাউল করিম রিপন ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা পালিয়ে যান। ঘটনাটি তদন্তে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, ক্লিনিকটির সরকারি অনুমোদন নবায়ন হয়নি এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও যোগ্য জনবল ছাড়াই এটি অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা জানান, বন্ধ ঘোষিত ক্লিনিক পুনরায় চালুর বিষয়ে আমি আপাতত অবহিত নই। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে রয়েছে। তাদের যে সিদ্ধান্ত হবে, তা আমাকে আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে জানানো হবে।
অন্যদিকে, দিনাজপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, ক্লিনিকের মালিক পুনরায় চালুর তদবির নিয়ে এসেছিলেন। আমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সর্বক্ষণ দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকের উপস্থিতির প্রমাণ চাইলে তিনি কোনো বৈধ বা নবায়নকৃত কাগজ দেখাতে পারেননি। নবায়ন ছাড়াই ক্লিনিক চালু করলে সেটি স্পষ্ট আইন লঙ্ঘন হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর আহমেদ বলেন, নিউ একতা ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে ক্লিনিকটি বন্ধ ঘোষণা করে। আদালতও বিষয়টি গুরূত্ব সহকারে নিয়ে মামলা গ্রহণ করেছে। পুনরায় ক্লিনিক চালুর বিষয়ে আমি আপাতত অবহিত নই। তবে উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে এই বিষয়টি পুনরায় খতিয়ে দেখা হবে।
অনুমোদন ছাড়া ক্লিনিকটি পুনরায় চালুর বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিকের মালিক দাবি করেন, আমার কাছে সব ধরনের কাগজপত্র রয়েছে। তবে তিনি নবায়নকৃত অনুমোদনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।