উপজেলায় গবাদিপশু ২,৯১,৬০৮টি, তার বিপরীতে টিকা বরাদ্দ মাত্র ২৮,৯০০টি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স টিকাদানে ধীরগতি। শঙ্কায় রয়েছেন পশু মালিক ও খামারিরা। এখন পর্যন্ত মাত্র ২৪ হাজার গবাদি পশুকে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকার চাহিদা ৩ লাখ, সে স্থলে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৯০০টি। যদিও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছেন, টিকার সংকট নেই, রয়েছে জনবল সংকট। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ মাত্র পাঁচজন জনবল দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গরু, ছাগল ও ভেড়াসহ মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৬০৮টি। এরমধ্যে গরু ১ লাখ ৩৭ হাজার এবং ছাগল ও ভেড়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৮টি।
এ পর্যন্ত টিকা বরাদ্দ ২৮ হাজার ৯০০টি। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে ২৪ হাজার। ঢাকাস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মনিটরিং টিম পরিদর্শন করে আরও ১ লাখ টিকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
আজকালের মধ্যে পাওয়া যাবে। জনবল সংকটে টিকা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিগত দিনের বিভিন্ন প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে টিকা প্রদান করছেন। অফিসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তে গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে ১৩টি। তবে এলাকাবাসী, কৃষক ও খামারিদের মতে এর সংখ্যা দেড় শতাধিক।
পশ্চিম বেলকা গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার এই এলাকায় টিকা দিয়েছেন। কিন্তু অনেকের গরু বাদ পড়েছে। তিনি বলেন, ‘তার একটি গরুকে টিকা দেয়া হয়নি। রাতে ওই গরুটি আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, টিকা দেয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছে।
ধুমাইটারি গ্রামের বেলাল মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত তার গ্রামে পশু-পালন অফিসের কেউ আসে নাই। গরু-ছাগল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ওই এলাকাবাসী। দ্রুত টিকা প্রদানের দাবি তাদের।
তারাপুর গ্রামের এমদাদুল মিয়া বলেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ছেলেদের দিয়ে টিকা দেয়া হচ্ছে। কতটুকু সঠিকভাবে তারা টিকা দিচ্ছেন, তা ভাববার বিষয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দে বলেন, অ্যানথ্রাক্স টিকার কোনো সংকট নেই। তবে জনবল সংকট রয়েছে। যে এলাকায় বেশি আক্রান্ত, সেই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেয়া হচ্ছে। যারা টিকা দিচ্ছেন তারা প্রশিক্ষিত। নতুন করে আর কোনো গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর জানা যায়নি।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার,(০৮ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ২২ জন অ্যানথ্রাক্সের চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে রোজিনা বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক বলেন, বুধবার নতুন করে আর কেউ অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসে নাই।
উপজেলায় গবাদিপশু ২,৯১,৬০৮টি, তার বিপরীতে টিকা বরাদ্দ মাত্র ২৮,৯০০টি
বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স টিকাদানে ধীরগতি। শঙ্কায় রয়েছেন পশু মালিক ও খামারিরা। এখন পর্যন্ত মাত্র ২৪ হাজার গবাদি পশুকে টিকা দেয়া হয়েছে। টিকার চাহিদা ৩ লাখ, সে স্থলে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ২৮ হাজার ৯০০টি। যদিও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছেন, টিকার সংকট নেই, রয়েছে জনবল সংকট। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাসহ মাত্র পাঁচজন জনবল দিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় গরু, ছাগল ও ভেড়াসহ মোট গবাদি পশুর সংখ্যা ২ লাখ ৯১ হাজার ৬০৮টি। এরমধ্যে গরু ১ লাখ ৩৭ হাজার এবং ছাগল ও ভেড়া ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৮টি।
এ পর্যন্ত টিকা বরাদ্দ ২৮ হাজার ৯০০টি। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছে ২৪ হাজার। ঢাকাস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মনিটরিং টিম পরিদর্শন করে আরও ১ লাখ টিকা বরাদ্দ দিয়েছেন।
আজকালের মধ্যে পাওয়া যাবে। জনবল সংকটে টিকা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। বিগত দিনের বিভিন্ন প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের মাধ্যমে টিকা প্রদান করছেন। অফিসের তথ্যমতে, এ পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্স আক্রান্তে গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে ১৩টি। তবে এলাকাবাসী, কৃষক ও খামারিদের মতে এর সংখ্যা দেড় শতাধিক।
পশ্চিম বেলকা গ্রামের আমিনুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার এই এলাকায় টিকা দিয়েছেন। কিন্তু অনেকের গরু বাদ পড়েছে। তিনি বলেন, ‘তার একটি গরুকে টিকা দেয়া হয়নি। রাতে ওই গরুটি আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, টিকা দেয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছে।
ধুমাইটারি গ্রামের বেলাল মিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত তার গ্রামে পশু-পালন অফিসের কেউ আসে নাই। গরু-ছাগল নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ওই এলাকাবাসী। দ্রুত টিকা প্রদানের দাবি তাদের।
তারাপুর গ্রামের এমদাদুল মিয়া বলেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ছেলেদের দিয়ে টিকা দেয়া হচ্ছে। কতটুকু সঠিকভাবে তারা টিকা দিচ্ছেন, তা ভাববার বিষয়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দে বলেন, অ্যানথ্রাক্স টিকার কোনো সংকট নেই। তবে জনবল সংকট রয়েছে। যে এলাকায় বেশি আক্রান্ত, সেই এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে টিকা দেয়া হচ্ছে। যারা টিকা দিচ্ছেন তারা প্রশিক্ষিত। নতুন করে আর কোনো গবাদি পশুর মৃত্যুর খবর জানা যায়নি।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার,(০৮ অক্টোবর ২০২৫) পর্যন্ত ২২ জন অ্যানথ্রাক্সের চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে রোজিনা বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিবাকর বসাক বলেন, বুধবার নতুন করে আর কেউ অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসে নাই।