বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে অনেক শিক্ষকই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় একজনকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ -সংবাদ
বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় অন্তত তিনজন শিক্ষক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি, পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ
তিন শিক্ষক আহত
দাবি আদায়ে আজ থেকে এমপিও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে পরপর কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এরপর শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রেসক্লাবের সামনে জলকামানও ব্যবহার করা হয়। ঘটনার পর সকাল থেকে আটকে থাকা সড়কটি সচল হয়েছে।
একাধিক শিক্ষক জানান, দুপুর ২টার কিছুক্ষণ আগে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু শিক্ষকদের একটি অংশ তা মানতে রাজি হয়নি। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে। এরপর তোপখানা সড়ক, সার্ক ফোয়ারা মোড় ও সেগুনবাগিচা সড়কে পুলিশ অবস্থান নেয়।
এর আগে দুপুর সোয়া ১টার দিকে পুলিশের অনুরোধে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ শহীদ মিনারে চলে যায়।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের মূল অংশ শহীদ মিনারে চলে গেলেও একটি অংশ সড়ক বন্ধ করে অবস্থান করছিল। তাদের বার বার সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও তারা সড়ক ছাড়ছিল না। এ কারণে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মাসুদ আলম বলেন, কয়েকজন ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছিল, এমন ৩-৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
আন্দোলনকারীদের নেতা এমপিও শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে তারা প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক ছেড়ে দেন। তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালাবো। সব শিক্ষক-কর্মচারীকে শহীদ মিনারে এসে অবস্থান নেয়ার অনুরোধ করছি।
আজ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিও চলবে জানিয়ে আজিজী বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাব না।’
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদস্বরূপ আগামীকাল থেকেই দেশের সব এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
তিন শিক্ষক আহত
আন্দোলনকারীরা জানান, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে তিনজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- গণপতি হাওলাদার (৩২), শফিকুল ইসলাম কাজল (৪০) ও আক্কাস আলী (৫৫)।
আহত শিক্ষক গণপতি হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, এক হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন শিক্ষকরা। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। পরে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ সদস্যরা।
এতে তাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আহত অবস্থায় আমি ও আরও দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমরা চলে এসেছি।’
গণপতি হাওলাদার বলেন, ‘আমি পিরোজপুর থেকে এসেছি। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থেকে এসেছেন শফিকুল ইসলাম কাজল এবং চাঁদপুর থেকে এসেছেন আক্কাস আলী। আমাদের তিনজনের মাথা, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠিচার্জের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক সাংবাদিকদের জানান, প্রেসক্লাব থেকে আহত অবস্থায় তিন শিক্ষককে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা হাসপাতাল থেকে চলে যান।
শিক্ষকদের দাবি
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ করা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা। এসব দাবিতে রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সরকার গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে; গত ৫ অক্টোবর এই ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষকরা।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ অক্টোবর এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায়।
এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ভাতা পেতেন, যা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
এই বেবসরকারি শিক্ষকরা আগে বছরে ২৫ শতাংশ হারে বছরে দুইটি উৎসব ভাতা পেতেন; গত মে মাসে তা বাড়ানোর পর তারা ও এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।
বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে অনেক শিক্ষকই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় একজনকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় পুলিশ -সংবাদ
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়া এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় অন্তত তিনজন শিক্ষক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি, পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ
তিন শিক্ষক আহত
দাবি আদায়ে আজ থেকে এমপিও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
গতকাল দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে পরপর কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। এরপর শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রেসক্লাবের সামনে জলকামানও ব্যবহার করা হয়। ঘটনার পর সকাল থেকে আটকে থাকা সড়কটি সচল হয়েছে।
একাধিক শিক্ষক জানান, দুপুর ২টার কিছুক্ষণ আগে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু শিক্ষকদের একটি অংশ তা মানতে রাজি হয়নি। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া, ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাস ছোড়ে। এরপর তোপখানা সড়ক, সার্ক ফোয়ারা মোড় ও সেগুনবাগিচা সড়কে পুলিশ অবস্থান নেয়।
এর আগে দুপুর সোয়া ১টার দিকে পুলিশের অনুরোধে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ শহীদ মিনারে চলে যায়।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, আন্দোলনকারীদের মূল অংশ শহীদ মিনারে চলে গেলেও একটি অংশ সড়ক বন্ধ করে অবস্থান করছিল। তাদের বার বার সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ করলেও তারা সড়ক ছাড়ছিল না। এ কারণে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
কাউকে আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মাসুদ আলম বলেন, কয়েকজন ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছিল, এমন ৩-৪ জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
আন্দোলনকারীদের নেতা এমপিও শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে তারা প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক ছেড়ে দেন। তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি চালাবো। সব শিক্ষক-কর্মচারীকে শহীদ মিনারে এসে অবস্থান নেয়ার অনুরোধ করছি।
আজ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতিও চলবে জানিয়ে আজিজী বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাব না।’
অধ্যক্ষ আজিজী বলেন, ‘প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদস্বরূপ আগামীকাল থেকেই দেশের সব এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে।’
তিন শিক্ষক আহত
আন্দোলনকারীরা জানান, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জে তিনজন শিক্ষক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- গণপতি হাওলাদার (৩২), শফিকুল ইসলাম কাজল (৪০) ও আক্কাস আলী (৫৫)।
আহত শিক্ষক গণপতি হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, এক হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন শিক্ষকরা। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়। পরে শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ সদস্যরা।
এতে তাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষক আহত হন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আহত অবস্থায় আমি ও আরও দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমরা চলে এসেছি।’
গণপতি হাওলাদার বলেন, ‘আমি পিরোজপুর থেকে এসেছি। কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থেকে এসেছেন শফিকুল ইসলাম কাজল এবং চাঁদপুর থেকে এসেছেন আক্কাস আলী। আমাদের তিনজনের মাথা, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠিচার্জের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক সাংবাদিকদের জানান, প্রেসক্লাব থেকে আহত অবস্থায় তিন শিক্ষককে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা হাসপাতাল থেকে চলে যান।
শিক্ষকদের দাবি
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ করা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করা। এসব দাবিতে রোববার,(১২ অক্টোবর ২০২৫) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘লাগাতার অবস্থান’ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।
সরকার গত ৩০ সেপ্টেম্বর এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে; গত ৫ অক্টোবর এই ঘোষণা প্রকাশ্যে এলে তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শিক্ষকরা।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ৬ অক্টোবর এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা অন্তত দুই হাজার বা তিন হাজার টাকা করার প্রস্তাব অর্থ বিভাগে পাঠায়।
এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন পান। তারা মূল বেতনের সঙ্গে মাসে ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। আর এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ভাতা পেতেন, যা বাড়িয়ে ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
এই বেবসরকারি শিক্ষকরা আগে বছরে ২৫ শতাংশ হারে বছরে দুইটি উৎসব ভাতা পেতেন; গত মে মাসে তা বাড়ানোর পর তারা ও এমপিওভুক্ত কর্মচারীরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে উৎসব ভাতা পাচ্ছেন।