ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে এবং তথ্য গোপন করে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে গোপালপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ইউনিটের কুচিয়াগ্রাম বাজারের বিক্রয়কেন্দ্রের ডিলার অনিক শেখের বরাদ্দ স্থগিত করা হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। এতে গোপালপুর ইউনিয়নের জন্য মো. অনিক শেখ এবং মো. আরিফুজ্জামান আবেদন করেছিলেন।
এদিকে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপর আবেদনকারী মো. আরিফুজ্জামান জেলা প্রশাসক বরাবর অনিক শেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, অনিক শেখ ব্যবসায়ী নন এবং চাল রাখার জন্য তিনি যে ঘরের দলিল জমা দিয়েছেন, সেটি ইউনিয়নের বাইরে পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত এবং আকারে ছোট, যেখানে ১৫ মেট্রিক টন চাল রাখা সম্ভব নয়। এছাড়াও অভিযোগকারী জানান, অনিক শেখ তার বাবার নামের জমির দলিল জমা দিয়েছেন, কিন্তু কোনো চুক্তিপত্র বা ওয়ারিশ সনদ দাখিল করেননি।
তিনি পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স না নিয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করেছেন, যা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিধিবহির্ভূত। এসব তথ্য গোপনের অভিযোগে তার ডিলারশিপ বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এই অভিযোগের পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। গত ৬ অক্টোবর তিনি সরেজমিনে তদন্ত করেন।
অভিযুক্ত ডিলার অনিক শেখ জানান, তথ্য গোপনের বিষয়টি সঠিক নয়। তিনি দাবি করেন, তার ইউনিয়নে বড় ঘর আছে, তবে ভুলবশত পৌরসভার জায়গার দলিল জমা দেয়া হয়েছে। তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করে বলেন, তার একটি রাইছ মিলও আছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অনিক শেখের ঘর গোপালপুর ইউনিয়নের মধ্যেও আছে, তবে ডিলারশিপের জন্য তিনি যে ঘরটি দেখিয়েছেন, সেটি পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত। তিনি আরও জানান, আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ধনঞ্জয় বিশ্বাস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে তিনি দাবি করেন যে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই কালে দুর্নীতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতি রাসেল ইকবাল জানান, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে এবং প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ওই ডিলারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এক ডিলারের বরাদ্দ স্থগিত করা হয়েছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে এবং তথ্য গোপন করে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগে গোপালপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ইউনিটের কুচিয়াগ্রাম বাজারের বিক্রয়কেন্দ্রের ডিলার অনিক শেখের বরাদ্দ স্থগিত করা হয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। এতে গোপালপুর ইউনিয়নের জন্য মো. অনিক শেখ এবং মো. আরিফুজ্জামান আবেদন করেছিলেন।
এদিকে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর অপর আবেদনকারী মো. আরিফুজ্জামান জেলা প্রশাসক বরাবর অনিক শেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, অনিক শেখ ব্যবসায়ী নন এবং চাল রাখার জন্য তিনি যে ঘরের দলিল জমা দিয়েছেন, সেটি ইউনিয়নের বাইরে পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত এবং আকারে ছোট, যেখানে ১৫ মেট্রিক টন চাল রাখা সম্ভব নয়। এছাড়াও অভিযোগকারী জানান, অনিক শেখ তার বাবার নামের জমির দলিল জমা দিয়েছেন, কিন্তু কোনো চুক্তিপত্র বা ওয়ারিশ সনদ দাখিল করেননি।
তিনি পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স না নিয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স দাখিল করেছেন, যা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির বিধিবহির্ভূত। এসব তথ্য গোপনের অভিযোগে তার ডিলারশিপ বাতিলের দাবি জানানো হয়।
এই অভিযোগের পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামকে তদন্তের ভার দেওয়া হয়। গত ৬ অক্টোবর তিনি সরেজমিনে তদন্ত করেন।
অভিযুক্ত ডিলার অনিক শেখ জানান, তথ্য গোপনের বিষয়টি সঠিক নয়। তিনি দাবি করেন, তার ইউনিয়নে বড় ঘর আছে, তবে ভুলবশত পৌরসভার জায়গার দলিল জমা দেয়া হয়েছে। তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করে বলেন, তার একটি রাইছ মিলও আছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, অনিক শেখের ঘর গোপালপুর ইউনিয়নের মধ্যেও আছে, তবে ডিলারশিপের জন্য তিনি যে ঘরটি দেখিয়েছেন, সেটি পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত। তিনি আরও জানান, আজ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সদস্য সচিব ধনঞ্জয় বিশ্বাস এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে তিনি দাবি করেন যে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই কালে দুর্নীতির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য বান্ধব কমিটির সভাপতি রাসেল ইকবাল জানান, তদন্ত প্রতিবেদন এখনো জমা পড়েনি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে এবং প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত ওই ডিলারের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।