ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মাদারীপুর পৌর শহরের দরগাখোলা এলাকায় অবস্থিত হযরত শাহ মাদার এতিমখানার এক কোটি এক লক্ষ উনিশ হাজার নয়শত টাকা আত্মাসাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপু মামলাটি দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলাটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতিকুর রহমান।
মামলায় আসামী করা হয় হযরত শাহ মাদার এতিমখানার সেক্রেটারি ও সুপার মোহাম্মদ আল-আমীন ও সাবেক শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল পাণ্ডে। যিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
মামলার নথি ও দুদুক অফিস সূত্র থেকে জানা গেছে, এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা শরীফ মুজিবুল হক ইন্তেকালের আগে এতিমখানার নামে ইসলামী ব্যাংক মাদারীপুর শাখায় ৪৭ লাখ টাকা করে রেখে যান। এতিমখানার কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে অভিযুক্ত আল-আমিন। এছাড়া ছাত্রসংখ্যা বেশি দেখিয়ে বিল করেও টানা ৫ বছর টাকা তুলে নিয়েছে সে। এতিমখানাটি বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান। এ এতিমখানায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪৫ জন এতিম নিবাসীর জন্য প্রতিমাসে মাথাপিছু দুই হাজার টাকা হারে প্রতি বছর চৌত্রিশ লাখ আশি হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। কিন্তু এতিমখানায় গড়ে ৪০ জন এতিম নিবাসী থাকত। ২০২৩-২৪ সালে ছাত্র ছিল ৪০ থেকে ৫০ জন। কিন্তু এতিমখানার সেক্রেটারি আল আমিন ১৪৫ জন এতিম নিবাসীর পুরো টাকাই বিল করে উত্তোলন করতো। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এভাবেই সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া এতিমখানায় সাধারণ জনগণ অনেক দান-মানত করে। যার কোনো হিসাব নিকাশ কখনোই কমিটির কাছে পেশ করেনি।
মাদারীপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেন, মাদারীপুর পৌর শহরের দরগাখোলা এলাকায় অবস্থিত হযরত শাহ মাদার এতিমখানার এক কোটি এক লক্ষ উনিশ হাজার নয়শত টাকা আত্মাসাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটির নিয়ম অনুযায়ী আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম চলবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
মাদারীপুর পৌর শহরের দরগাখোলা এলাকায় অবস্থিত হযরত শাহ মাদার এতিমখানার এক কোটি এক লক্ষ উনিশ হাজার নয়শত টাকা আত্মাসাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে দুদক। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপু মামলাটি দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলাটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতিকুর রহমান।
মামলায় আসামী করা হয় হযরত শাহ মাদার এতিমখানার সেক্রেটারি ও সুপার মোহাম্মদ আল-আমীন ও সাবেক শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল পাণ্ডে। যিনি বর্তমানে সদর হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
মামলার নথি ও দুদুক অফিস সূত্র থেকে জানা গেছে, এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা শরীফ মুজিবুল হক ইন্তেকালের আগে এতিমখানার নামে ইসলামী ব্যাংক মাদারীপুর শাখায় ৪৭ লাখ টাকা করে রেখে যান। এতিমখানার কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে অভিযুক্ত আল-আমিন। এছাড়া ছাত্রসংখ্যা বেশি দেখিয়ে বিল করেও টানা ৫ বছর টাকা তুলে নিয়েছে সে। এতিমখানাটি বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান। এ এতিমখানায় ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৪৫ জন এতিম নিবাসীর জন্য প্রতিমাসে মাথাপিছু দুই হাজার টাকা হারে প্রতি বছর চৌত্রিশ লাখ আশি হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। কিন্তু এতিমখানায় গড়ে ৪০ জন এতিম নিবাসী থাকত। ২০২৩-২৪ সালে ছাত্র ছিল ৪০ থেকে ৫০ জন। কিন্তু এতিমখানার সেক্রেটারি আল আমিন ১৪৫ জন এতিম নিবাসীর পুরো টাকাই বিল করে উত্তোলন করতো। ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এভাবেই সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া এতিমখানায় সাধারণ জনগণ অনেক দান-মানত করে। যার কোনো হিসাব নিকাশ কখনোই কমিটির কাছে পেশ করেনি।
মাদারীপুর দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. আতিকুর রহমান বলেন, মাদারীপুর পৌর শহরের দরগাখোলা এলাকায় অবস্থিত হযরত শাহ মাদার এতিমখানার এক কোটি এক লক্ষ উনিশ হাজার নয়শত টাকা আত্মাসাত করার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটির নিয়ম অনুযায়ী আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম চলবে।