দামুড়হুদ (চুয়াডাঙ্গা) : ভুট্রার বীজ লাগাতে ব্যস্ত ভুট্টা চাষীরা -সংবাদ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় আগাম ভূট্টা আবাদের তোড় জোড় হয়ে গেছে। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা ব্যাপক হারে ভূট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে বসেছে। পুরাতন ভুট্রার বাজার দর ভাল থাকার কারনে এবারও মৌসুমের শুরুতেই ভুট্রা চাষীদের মাঝে ভুট্রা চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে । ভুট্রার বাজার দর আশানুরুপ পাওয়ার কারণে অনেকে এবার ভুট্রার চাষ বৃদি্ধ পাবে এমন মন্তব্য এ জনপদের অভিজ্ঞ চাষীদের। গত কয়েক বছরে ভুট্রার বাম্পার ফলন এবং ভুট্রার বাজার দর ভাল পাওয়ায় দিন বদলের পালায় চাঙ্গা হয়ে উঠে এ জনপদের গ্রামীন অর্থনীতি । এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগ চাষীদের পরামর্শ অব্যহত রেখেছে।
ভুট্টা চাষী দশমী গ্রামের হাফিজুর, পাটাচোরা গ্রামের কামেনী, পার দামুড়হুদার গ্রামের কলম বলেন, ভুট্রার বাজার দর আশানুরুপ থাকায় এবং বীজের বাজার দর এবং জন মুজুরী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভুট্রা চাষের খরচ বেড়েছে। তবুও ভ’ট্রার আবাদের জন্য বীজ সংগ্রহ করেছি। বাঘাডাডাঙ্গার মহাম্মদ আলী, পার দামুড়হুদার গ্রামের কলম, জয়রামপুর গ্রামের একাধিক ভুট্ট্রা চাষী বলেন, প্রতি বছর আমরা উন্নত জাতের ভুট্টার চাষ করে থাকি। এবারও আগাম ভুট্র্ লাগানো শেষ হয়েছে। আরও কয়েক বিঘা জমিতে ভুট্ট্রা চাষের জন্য জমি প্রস্তু করার কাজ চলছে। আশা করছি আগামী সপ্তহার মধ্যে ভুট্ট্রা লাগানোর কাজ শেষ হবে। এখন মাঠ জুড়ে ভুট্ট্রা লাগানোর তোড় জোড় শুরু হয়ে গেছে । গত বছর ভুট্টা উঠার সাথে সাথে ডেপ ভুট্টা ভাল দামে বিক্রি করেছি। পরে দাম কমে গেলে ভুট্টা চাষীরা হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে। ভুট্টা কম বেশি যাই আবাদ হউক না কেন সেটা বিষয় নয়। চাই ভুট্টার সুষ্ঠ বাজার দর। সরকারী ভাবে ভুট্টার বাজার দর বেঁধে দিলে চাষীরা উপকৃত হবে। নচেৎ মধ্যস্বত্ত ভোগীরা লাভবান হলেও লোকসানের বোঝা মাথায় চেপে যাবে ভুট্টা চাষীদের। তারা বলেন, ভূট্টা চাষে একদিকে খরচ কম অন্যদিকে ফলন ও লাভও অনেক বেশি। কারন হিসাবে তারা আরও বলেন, ভরা মরসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেও এ ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হয়না । কিন্তু অন্য ফসলে চাষীরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হন। অপর দিকে রবি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়লেও ভূট্টার ফলন তুলনা মুলক ভাল পাওয়া যায়। যেখানে সেচ সুবিধা আছে সেখানে ধানের পর পরই কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে ভূট্টা। বর্তমানে ভূট্টার বহুমুখী ব্যাবহার শুরু হয়েছে। আবার অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভূট্টার ফলনও বেশি হয়। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে চাষীরা বিঘাপ্রতি ৩০/৩৫ মণ ভূট্টা ঘরে তুলতে পারে। এই জনপদে প্রতিবছর ভুট্রার বাম্পার ফলন হওয়ায় দিন বদলের পালায় ভুট্রা চাষে পাল্টে গেছে এ জনপদের গ্রামীন অর্থণীতি।
উপজেলা সুফলা বীজ ভান্ডরের স্বত্বাধিকারী আজিজুল হক বলেন, এবার ভুট্রার বীজের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বনিম্ন ৯৫০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেকে চাষী ভ’ট্রার পাশাপাশি গম বীজের খোঁজ খবর নিচ্ছে। এলাকা জুড়ে ভুট্রা চাষীরা ভূট্টা আবাদের তোড় জোড় শুরু করে দিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে সহনশীল,অল্প খরচ,রোগ বালাই কম এবং অধিক ফলনের কারনে রবি মৌসুমে ভূট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে।
দামুড়হুদ (চুয়াডাঙ্গা) : ভুট্রার বীজ লাগাতে ব্যস্ত ভুট্টা চাষীরা -সংবাদ
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় আগাম ভূট্টা আবাদের তোড় জোড় হয়ে গেছে। অল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কৃষকরা ব্যাপক হারে ভূট্টা চাষের দিকে ঝুঁকে বসেছে। পুরাতন ভুট্রার বাজার দর ভাল থাকার কারনে এবারও মৌসুমের শুরুতেই ভুট্রা চাষীদের মাঝে ভুট্রা চাষে আগ্রহ দেখা দিয়েছে । ভুট্রার বাজার দর আশানুরুপ পাওয়ার কারণে অনেকে এবার ভুট্রার চাষ বৃদি্ধ পাবে এমন মন্তব্য এ জনপদের অভিজ্ঞ চাষীদের। গত কয়েক বছরে ভুট্রার বাম্পার ফলন এবং ভুট্রার বাজার দর ভাল পাওয়ায় দিন বদলের পালায় চাঙ্গা হয়ে উঠে এ জনপদের গ্রামীন অর্থনীতি । এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগ চাষীদের পরামর্শ অব্যহত রেখেছে।
ভুট্টা চাষী দশমী গ্রামের হাফিজুর, পাটাচোরা গ্রামের কামেনী, পার দামুড়হুদার গ্রামের কলম বলেন, ভুট্রার বাজার দর আশানুরুপ থাকায় এবং বীজের বাজার দর এবং জন মুজুরী বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভুট্রা চাষের খরচ বেড়েছে। তবুও ভ’ট্রার আবাদের জন্য বীজ সংগ্রহ করেছি। বাঘাডাডাঙ্গার মহাম্মদ আলী, পার দামুড়হুদার গ্রামের কলম, জয়রামপুর গ্রামের একাধিক ভুট্ট্রা চাষী বলেন, প্রতি বছর আমরা উন্নত জাতের ভুট্টার চাষ করে থাকি। এবারও আগাম ভুট্র্ লাগানো শেষ হয়েছে। আরও কয়েক বিঘা জমিতে ভুট্ট্রা চাষের জন্য জমি প্রস্তু করার কাজ চলছে। আশা করছি আগামী সপ্তহার মধ্যে ভুট্ট্রা লাগানোর কাজ শেষ হবে। এখন মাঠ জুড়ে ভুট্ট্রা লাগানোর তোড় জোড় শুরু হয়ে গেছে । গত বছর ভুট্টা উঠার সাথে সাথে ডেপ ভুট্টা ভাল দামে বিক্রি করেছি। পরে দাম কমে গেলে ভুট্টা চাষীরা হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়ে। ভুট্টা কম বেশি যাই আবাদ হউক না কেন সেটা বিষয় নয়। চাই ভুট্টার সুষ্ঠ বাজার দর। সরকারী ভাবে ভুট্টার বাজার দর বেঁধে দিলে চাষীরা উপকৃত হবে। নচেৎ মধ্যস্বত্ত ভোগীরা লাভবান হলেও লোকসানের বোঝা মাথায় চেপে যাবে ভুট্টা চাষীদের। তারা বলেন, ভূট্টা চাষে একদিকে খরচ কম অন্যদিকে ফলন ও লাভও অনেক বেশি। কারন হিসাবে তারা আরও বলেন, ভরা মরসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলেও এ ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হয়না । কিন্তু অন্য ফসলে চাষীরা আর্থিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হন। অপর দিকে রবি মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়লেও ভূট্টার ফলন তুলনা মুলক ভাল পাওয়া যায়। যেখানে সেচ সুবিধা আছে সেখানে ধানের পর পরই কৃষি আবাদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে ভূট্টা। বর্তমানে ভূট্টার বহুমুখী ব্যাবহার শুরু হয়েছে। আবার অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভূট্টার ফলনও বেশি হয়। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে চাষীরা বিঘাপ্রতি ৩০/৩৫ মণ ভূট্টা ঘরে তুলতে পারে। এই জনপদে প্রতিবছর ভুট্রার বাম্পার ফলন হওয়ায় দিন বদলের পালায় ভুট্রা চাষে পাল্টে গেছে এ জনপদের গ্রামীন অর্থণীতি।
উপজেলা সুফলা বীজ ভান্ডরের স্বত্বাধিকারী আজিজুল হক বলেন, এবার ভুট্রার বীজের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বনিম্ন ৯৫০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেকে চাষী ভ’ট্রার পাশাপাশি গম বীজের খোঁজ খবর নিচ্ছে। এলাকা জুড়ে ভুট্রা চাষীরা ভূট্টা আবাদের তোড় জোড় শুরু করে দিয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে সহনশীল,অল্প খরচ,রোগ বালাই কম এবং অধিক ফলনের কারনে রবি মৌসুমে ভূট্টার আবাদ বেশি হয়ে থাকে।