ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নোয়াখালী শহরতলীর পর কিশোর গ্যাং কেটিজি বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে জেলা শহরবাসী। আতঙ্কে শহরের ব্যাবসায়ীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসহায়। এ কিশোর গ্যাং বাহিনী একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে শহরবাসীকে জিম্মি করে ফেলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখেও দেখছেননা অথবা কোন অদৃশ্য শক্তির ভয়ে কোন কার্যকর ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না।
জেলার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, মানবাধিকার কর্মীদের তথ্য ও এলাকা বাসী প্রত্যক্ষ দর্শিদের বিবরন এবং থানা ও কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে এখন ৫ টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় থেকে মাদক ব্যাবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, জমিন দখল,বাসাবাড়ি দখল, মেয়ে অপহরনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এ বাহিনী গুলিকে সন্ধ্যার পর পরই শহরের জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে পার্ক, দ্বীতিয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে, পুলিশ কেজি স্কুলের সামনে, সাতরাস্তার মোড়ে, শহীদ মিনার এলাকা, রেল ষ্টেশন, এতিমখানা সড়ক, জেলখানা সড়ক, মাইজদী বাজিগর বাড়ি এলাকা,ইসলামিয়া রোড, সোনাপুর কাটপট্রি এলাকা, জেলখানা মোড়, মাইজদী হাউজিং বালুর মাঠ এলাকায় সংগঠিত হতে দেখা যায়।এ গ্রুপ গুলির আবার উপগ্রুপ ও রয়েছে।
বিগত সরকারের আমলের মামা গ্রুপ ও ভাইয়া গ্রুপের লিডার দের বিতাড়িত করে তাদের সদস্যদেরকে ও এ বাহিনী গুলি তাদের দলে ভিড়িয়েছে।এ বাহিনী গুলিকে সংঘটিত করে রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার আশির্বাদে কেটিজি গ্রুপ নামে পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কেটিজি বাহিনীর মূল শহর অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছে মাহমুদ হাসান বাবু। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শহরের মূল অংশের জেলা প্রশাসকের অফিস এলাকা, পুলিশ সুপার অফিস, শিল্পকলার পিছনের এলাকা, কাউয়া রোড,পাঁচ রাস্তা, আর তার নেতৃত্বে রয়েছে ৩ টি উপগ্রপ। উপগ্রপ গুলির নেতৃত্বে রয়েছে ফকির পুরের নাইমুল, তামিম,হরিনারায়ণ পুরের ইউসুফ এদের গ্রুপে রয়েছে ১৫/১৬ জন।
এরা এতো বেপরোয়া বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গণপূর্ত বিভাগের সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান সড়কের প্রতিপক্ষ মধুপুর গ্রুপকে ধাওয়া করে শহরে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।এ সময় বিশাল সেন্টারের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়ি ও আতঙ্কে দ্রুত থানার দিকে চলে যায়।পুলিশ সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ না করে চলে যাওয়ায় ব্যাবসায়রীরা আতঙ্কে দোকান পাট বন্ধ করে দেয়।
একই বাহিনী গতকাল শুক্রবার এশার নামাজে মুসল্লী রাখা জেলার কোর্ট মডেল মসজিদ থেকে মুসল্লী রাখা নামাজ পড়ে বাহির হওয়ার সময় জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে কিশোর গ্যাং এর দুগ্রুপে সংঘর্ষে জরিয়ে পড়লে ৭/৮ জন আহত হয়। এসময় তারা শহর থেকে বাজার নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে নোয়াখালী জজকোর্টের পেষ্কার মহি উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম কামরানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হাতের রোগ কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। মারাৎ আহত করে মৃত ভেবে তাকে পেলে চলে যায়। পরে জনতা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে বলে তার পিতা পেষ্কার মহি উদ্দিন জানান। এ ব্যাপারে তিনি সুধারাম থানায় কিশেী গ্যাং লিডার মাহমুদ হাসান বাবুকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম দিয়ে ২৫/৩০ জনকে অগ্ঘাত নামা করে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ডিউটি অফিসার কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, নেতারা ক্যাডার পালবে পুলিশ কি করবে?
এলাকাবাসী জানায়, কেটিজি বাহিনী প্রতিরাতে বেগমগঞ্জ - মাইজদী সড়ক, বেগমগঞ্জ - চ্ন্রগন্জ সড়ক, মাইজদী - রাজগঞ্জ- ছয়ানী- সড়কে ছিনতাই, রাহাজানির মতো ঘটালেও ভয়ে কেহ মুখ খুলতে চায় না।
তাদের ভয়ে শহরতলির দোকান পাট রাত ৮ টার পরপরই বন্ধ হয়ে যায়।
নোয়াখালী হাসপাতাল সড়কের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঔষধ ব্যাবসায়ী জানান, দূরদূরান্ত থেকে জেনারেল হাসপাতালে ও পাশের প্রাইভেট হাসপাতাল গুলিতে আসা রোগীদের আত্মীয় স্বজনদের দেরকে এ বাহিনী জিম্মি করে বালুর মাঠে নিয়ে সর্বস্ব ক্রেরে নিয়ে যায়।
প্রাইম হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় আমির হোসেন জানান, সে তার বোনকে দেখতে এসে এলজিআরডি অফিসের সামনে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়ান।তারপর সুধারাম থানায় গেলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা তার অভিযোগ না নিয়ে তাকে সপিনা ক্যাম্পে যাওয়ার পরামর্শ দেন
তিনি রাগে ক্ষোভে বলেন আর দেশেই আসবেন না।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
নোয়াখালী শহরতলীর পর কিশোর গ্যাং কেটিজি বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে জেলা শহরবাসী। আতঙ্কে শহরের ব্যাবসায়ীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অসহায়। এ কিশোর গ্যাং বাহিনী একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে শহরবাসীকে জিম্মি করে ফেলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখেও দেখছেননা অথবা কোন অদৃশ্য শক্তির ভয়ে কোন কার্যকর ব্যাবস্থা নিচ্ছেন না।
জেলার বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, মানবাধিকার কর্মীদের তথ্য ও এলাকা বাসী প্রত্যক্ষ দর্শিদের বিবরন এবং থানা ও কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে এখন ৫ টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় থেকে মাদক ব্যাবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, জমিন দখল,বাসাবাড়ি দখল, মেয়ে অপহরনের মতো ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এ বাহিনী গুলিকে সন্ধ্যার পর পরই শহরের জেলা প্রশাসকের অফিসের সামনে পার্ক, দ্বীতিয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে, পুলিশ কেজি স্কুলের সামনে, সাতরাস্তার মোড়ে, শহীদ মিনার এলাকা, রেল ষ্টেশন, এতিমখানা সড়ক, জেলখানা সড়ক, মাইজদী বাজিগর বাড়ি এলাকা,ইসলামিয়া রোড, সোনাপুর কাটপট্রি এলাকা, জেলখানা মোড়, মাইজদী হাউজিং বালুর মাঠ এলাকায় সংগঠিত হতে দেখা যায়।এ গ্রুপ গুলির আবার উপগ্রুপ ও রয়েছে।
বিগত সরকারের আমলের মামা গ্রুপ ও ভাইয়া গ্রুপের লিডার দের বিতাড়িত করে তাদের সদস্যদেরকে ও এ বাহিনী গুলি তাদের দলে ভিড়িয়েছে।এ বাহিনী গুলিকে সংঘটিত করে রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতার আশির্বাদে কেটিজি গ্রুপ নামে পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কেটিজি বাহিনীর মূল শহর অংশে নেতৃত্ব দিচ্ছে মাহমুদ হাসান বাবু। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে শহরের মূল অংশের জেলা প্রশাসকের অফিস এলাকা, পুলিশ সুপার অফিস, শিল্পকলার পিছনের এলাকা, কাউয়া রোড,পাঁচ রাস্তা, আর তার নেতৃত্বে রয়েছে ৩ টি উপগ্রপ। উপগ্রপ গুলির নেতৃত্বে রয়েছে ফকির পুরের নাইমুল, তামিম,হরিনারায়ণ পুরের ইউসুফ এদের গ্রুপে রয়েছে ১৫/১৬ জন।
এরা এতো বেপরোয়া বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে গণপূর্ত বিভাগের সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান সড়কের প্রতিপক্ষ মধুপুর গ্রুপকে ধাওয়া করে শহরে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।এ সময় বিশাল সেন্টারের সামনে থাকা একটি পুলিশের গাড়ি ও আতঙ্কে দ্রুত থানার দিকে চলে যায়।পুলিশ সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ না করে চলে যাওয়ায় ব্যাবসায়রীরা আতঙ্কে দোকান পাট বন্ধ করে দেয়।
একই বাহিনী গতকাল শুক্রবার এশার নামাজে মুসল্লী রাখা জেলার কোর্ট মডেল মসজিদ থেকে মুসল্লী রাখা নামাজ পড়ে বাহির হওয়ার সময় জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে কিশোর গ্যাং এর দুগ্রুপে সংঘর্ষে জরিয়ে পড়লে ৭/৮ জন আহত হয়। এসময় তারা শহর থেকে বাজার নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে নোয়াখালী জজকোর্টের পেষ্কার মহি উদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম কামরানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হাতের রোগ কেটে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। মারাৎ আহত করে মৃত ভেবে তাকে পেলে চলে যায়। পরে জনতা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে বলে তার পিতা পেষ্কার মহি উদ্দিন জানান। এ ব্যাপারে তিনি সুধারাম থানায় কিশেী গ্যাং লিডার মাহমুদ হাসান বাবুকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম দিয়ে ২৫/৩০ জনকে অগ্ঘাত নামা করে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার ডিউটি অফিসার কোন তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, নেতারা ক্যাডার পালবে পুলিশ কি করবে?
এলাকাবাসী জানায়, কেটিজি বাহিনী প্রতিরাতে বেগমগঞ্জ - মাইজদী সড়ক, বেগমগঞ্জ - চ্ন্রগন্জ সড়ক, মাইজদী - রাজগঞ্জ- ছয়ানী- সড়কে ছিনতাই, রাহাজানির মতো ঘটালেও ভয়ে কেহ মুখ খুলতে চায় না।
তাদের ভয়ে শহরতলির দোকান পাট রাত ৮ টার পরপরই বন্ধ হয়ে যায়।
নোয়াখালী হাসপাতাল সড়কের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঔষধ ব্যাবসায়ী জানান, দূরদূরান্ত থেকে জেনারেল হাসপাতালে ও পাশের প্রাইভেট হাসপাতাল গুলিতে আসা রোগীদের আত্মীয় স্বজনদের দেরকে এ বাহিনী জিম্মি করে বালুর মাঠে নিয়ে সর্বস্ব ক্রেরে নিয়ে যায়।
প্রাইম হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয় আমির হোসেন জানান, সে তার বোনকে দেখতে এসে এলজিআরডি অফিসের সামনে ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়ান।তারপর সুধারাম থানায় গেলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা তার অভিযোগ না নিয়ে তাকে সপিনা ক্যাম্পে যাওয়ার পরামর্শ দেন
তিনি রাগে ক্ষোভে বলেন আর দেশেই আসবেন না।