সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্তূপ করে রাখা বালু -সংবাদ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও সড়কের পাশ্ববর্তী জায়গা দখলে করে চলছে ইট-বালুর রমরমা ব্যবসা। দিনের পর দিন সড়কের উপর মালামাল, বালুর গাড়ি, ইট ভাঙার মেশিন, ইটের গাড়ি রেখে যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতে বিঘ্নে ঘটিয়ে চলছে এসবের ব্যবসায়ীরা। সড়ক ও সড়কের ফুটপাত দখলে নেওয়ার কোন বৈধতা না থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দখলদাররা।
সরেজমিনে তদন্তে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরা, বাড়বকুন্ড, শুকলাল হাট, সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা, উপজেলার সামনে, পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড, ইদিলপুর, বায়তুশ শরফ, শেখ পাড়া, ভূঁইয়্যার বটতল, ছোট দারোগারহাট ও বড় দারোগারহাট অংশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ইট-বালুর ব্যবসা। ব্যস্ত মহাসড়কটির বিপদজনক এই জোনে যেখানে পথচারীদের হাঁটা-চলা করার কথা, সেই স্থানে জমাট করে স্তুপ করা হচ্ছে ইট-বালু, রাস্তায় মেশিন বসিয়ে ভাঙা হচ্ছে ইটের কংক্রিট, ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাক থামিয়ে লোড-আনলোড করা হচ্ছে ইট, বালু ও পাথর। আর এসবের ফলে গাড়ি চলাচলে বাঁধার পাশাপাশি বাড়ছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। বড়দারোগার হাট হইতে কুমিরা পর্যন্ত অংশটিতে বড় ধরণের দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর ইতিহাস থাকলেও বছরের পর বছর বন্ধ করা যায়নি এসব বিশৃঙ্খলাপূর্ণ বাণিজ্য। সর্বশেষ ০৫ অক্টোবর রাতে পৌরসদর এলাকায় দিদারুল আলম চৌধুরী (৫৩) নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। ২০ সেপ্টেম্বর পৌরসদরের উত্তর বাইপাস এলাকায় সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একজন নিহত ও একজন গুরুত্বর আহত হয়। তারপর দিন ২১ সেপ্টেম্বর সীতাকু-ণ্ডের বাদামতল এলাকায় লেগুনা দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সবমিলিয়ে সীতাকুণ্ডে গত একমাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরেছে ১০ প্রাণ। একের পর এক দুর্ঘটনায় সড়কে মৃত্যুর সারি দীর্ঘ হলেও তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ফুটপাত দখল হওয়ায় এই অংশটি আরো বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। দখল করা হয়েছে সড়কের দুইপাশ। রাখা হয়নি পথচারী চলাচলের কোন জায়গা। ছাত্রছাত্রীরাও চলাচল করছে মহাসড়কের উপরে ওঠে। শুধু তাই নয় সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা, পিকআপসহ সবগুলো গাড়ি ওল্টো পথে আসে। তার উপর রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামগমী বাসের ওভারট্রেকিং প্রতিযোগিতা। এমন দৃশ্য পৌরসদরের শেখপাড়া-বায়তুশ শরফ ও সদর বাস স্ট্যান্ড অংশে গেলে চোখে পড়ে। এখানে জমাকৃত এসব বালু গড়িয়ে সড়কে এসে জমা হয়। ফলে কিছু কিছু গাড়ি বালিতে উল্টে যায়। কিছুদিন আগেও এই পয়েন্টে এক ব্যক্তির মুত্যু হয়েছে। এর বছর খানেক আগে সাবেক এক কমিশনারের কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই মহাসড়কে। প্রতিদিন কোন না কোন মোটরসাইকেল আরোহী বড় গাড়ির চাপে পড়ে বালুতে চাকা তুলে দিতে বাধ্য হয়। ফলে বালুতে উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। যার জন্য দায়ী এসব অবৈধ দখলদার মহাসড়কের পাশে পথচারী যাতায়াতের স্থান দখল করে দীর্ঘদিন ইট-বালুর ব্যবসা চললেও এই বিষয়ে নির্বাক সংশ্লিষ্টরা। প্রভাবশালীদের জাঁতাকলে সবাই নীরব। শুধু ইট বালির ব্যবসায়ীরা নয় হোটেল, চা-দোকান মালিকসহ যে যেভাবে পেরেছে সেভাবে দখলে নিয়েছে মহাসড়ক। নিজেদের অব্যহৃত গাড়ি, ক্রেন, স্কেবেটর, হোন্ডা, মালামাল ইত্যাদি ফেলে দখলে রেখেছে নিজের সামনের সড়কের অংশটি।
পন্থিছিলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ইট, বালু, কংক্রিট রাখার কারণে হাঁটতে গিয়ে মহাসড়কে উঠে যেতে হয়। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি সব সময়ই থাকে। তাছাড়া স্তুপ করা এই বালু দ্রুতগতির গাড়ির বাতাসে উড়ে গিয়ে চালক-পথচারীর চোখে পড়ে।
এসব বিষয়ে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মোমিন সাংবাদিকদের বলেন, অনেকগুলো কারনের মধ্যে সড়ক দখল করে ইট-বালির ব্যবসাও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সড়কের কিনারে যারা এসব মালপত্র রাখে তাদের নিষেধ করা হবে।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে স্তূপ করে রাখা বালু -সংবাদ
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও সড়কের পাশ্ববর্তী জায়গা দখলে করে চলছে ইট-বালুর রমরমা ব্যবসা। দিনের পর দিন সড়কের উপর মালামাল, বালুর গাড়ি, ইট ভাঙার মেশিন, ইটের গাড়ি রেখে যান চলাচল ও পথচারীদের যাতায়াতে বিঘ্নে ঘটিয়ে চলছে এসবের ব্যবসায়ীরা। সড়ক ও সড়কের ফুটপাত দখলে নেওয়ার কোন বৈধতা না থাকলেও আইনের তোয়াক্কা না করেই নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন দখলদাররা।
সরেজমিনে তদন্তে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিরা, বাড়বকুন্ড, শুকলাল হাট, সিরাজ ভূঁইয়া রাস্তার মাথা, উপজেলার সামনে, পৌরসভার বাস স্ট্যান্ড, ইদিলপুর, বায়তুশ শরফ, শেখ পাড়া, ভূঁইয়্যার বটতল, ছোট দারোগারহাট ও বড় দারোগারহাট অংশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ইট-বালুর ব্যবসা। ব্যস্ত মহাসড়কটির বিপদজনক এই জোনে যেখানে পথচারীদের হাঁটা-চলা করার কথা, সেই স্থানে জমাট করে স্তুপ করা হচ্ছে ইট-বালু, রাস্তায় মেশিন বসিয়ে ভাঙা হচ্ছে ইটের কংক্রিট, ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রাক থামিয়ে লোড-আনলোড করা হচ্ছে ইট, বালু ও পাথর। আর এসবের ফলে গাড়ি চলাচলে বাঁধার পাশাপাশি বাড়ছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। বড়দারোগার হাট হইতে কুমিরা পর্যন্ত অংশটিতে বড় ধরণের দুর্ঘটনার ভয়ঙ্কর ইতিহাস থাকলেও বছরের পর বছর বন্ধ করা যায়নি এসব বিশৃঙ্খলাপূর্ণ বাণিজ্য। সর্বশেষ ০৫ অক্টোবর রাতে পৌরসদর এলাকায় দিদারুল আলম চৌধুরী (৫৩) নামে এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। ২০ সেপ্টেম্বর পৌরসদরের উত্তর বাইপাস এলাকায় সিএনজি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে একজন নিহত ও একজন গুরুত্বর আহত হয়। তারপর দিন ২১ সেপ্টেম্বর সীতাকু-ণ্ডের বাদামতল এলাকায় লেগুনা দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সবমিলিয়ে সীতাকুণ্ডে গত একমাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরেছে ১০ প্রাণ। একের পর এক দুর্ঘটনায় সড়কে মৃত্যুর সারি দীর্ঘ হলেও তেমন কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, ফুটপাত দখল হওয়ায় এই অংশটি আরো বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছে। দখল করা হয়েছে সড়কের দুইপাশ। রাখা হয়নি পথচারী চলাচলের কোন জায়গা। ছাত্রছাত্রীরাও চলাচল করছে মহাসড়কের উপরে ওঠে। শুধু তাই নয় সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া সিএনজি, অটোরিকশা, রিকশা, পিকআপসহ সবগুলো গাড়ি ওল্টো পথে আসে। তার উপর রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামগমী বাসের ওভারট্রেকিং প্রতিযোগিতা। এমন দৃশ্য পৌরসদরের শেখপাড়া-বায়তুশ শরফ ও সদর বাস স্ট্যান্ড অংশে গেলে চোখে পড়ে। এখানে জমাকৃত এসব বালু গড়িয়ে সড়কে এসে জমা হয়। ফলে কিছু কিছু গাড়ি বালিতে উল্টে যায়। কিছুদিন আগেও এই পয়েন্টে এক ব্যক্তির মুত্যু হয়েছে। এর বছর খানেক আগে সাবেক এক কমিশনারের কন্যা শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই মহাসড়কে। প্রতিদিন কোন না কোন মোটরসাইকেল আরোহী বড় গাড়ির চাপে পড়ে বালুতে চাকা তুলে দিতে বাধ্য হয়। ফলে বালুতে উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে। যার জন্য দায়ী এসব অবৈধ দখলদার মহাসড়কের পাশে পথচারী যাতায়াতের স্থান দখল করে দীর্ঘদিন ইট-বালুর ব্যবসা চললেও এই বিষয়ে নির্বাক সংশ্লিষ্টরা। প্রভাবশালীদের জাঁতাকলে সবাই নীরব। শুধু ইট বালির ব্যবসায়ীরা নয় হোটেল, চা-দোকান মালিকসহ যে যেভাবে পেরেছে সেভাবে দখলে নিয়েছে মহাসড়ক। নিজেদের অব্যহৃত গাড়ি, ক্রেন, স্কেবেটর, হোন্ডা, মালামাল ইত্যাদি ফেলে দখলে রেখেছে নিজের সামনের সড়কের অংশটি।
পন্থিছিলা এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, ইট, বালু, কংক্রিট রাখার কারণে হাঁটতে গিয়ে মহাসড়কে উঠে যেতে হয়। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার ঝুঁকি সব সময়ই থাকে। তাছাড়া স্তুপ করা এই বালু দ্রুতগতির গাড়ির বাতাসে উড়ে গিয়ে চালক-পথচারীর চোখে পড়ে।
এসব বিষয়ে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মোমিন সাংবাদিকদের বলেন, অনেকগুলো কারনের মধ্যে সড়ক দখল করে ইট-বালির ব্যবসাও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। সড়কের কিনারে যারা এসব মালপত্র রাখে তাদের নিষেধ করা হবে।