চকরিয়া (কক্সবাজার) : বিএমচর ইউনিয়নে ভরাট হয়ে যাওয়া কন্যারকুম শাখাখাল খনন কাজ শুরু -সংবাদ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বিএমচর ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদীর শাখাখাল হিসেবে পরিচিত শতবছরের পুরানো কন্যারকুম খালের ভরাট অংশে অবশেষে খনন কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ কয়েকযুগ পর ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি খননের ফলে সেচ সুবিধা নিশ্চিত হতে চলছে। এতেকরে ওই এলাকার বিপুল পরিমাণ অনাবাদি জমিতে পুনরায় চাষাবাদ করতে পারবে এমন আশাজাগানিয়া স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকেরা।
পাশাপাশি কন্যারকুম ভরাট খালটি খননে এখন পানি নিষ্কাশনের গতিপথ সচল হওয়ায় বিএমচর ইউনিয়নসহ উপকুলের সাতটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ বর্ষা মৌসুমে অতীতের সেই বন্যার দুর্ভোগ থেকে নিস্তার পেতে যাচ্ছেন এমনটাই জানিয়েছেন বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল মানিক।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ইতোমধ্যে বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম ভরাট খালটি খননের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিএডিসি চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেন।
এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিনে যাছাই করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করর্পোরেশনের (বিএডিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভরাট খালটি খননের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে অনুমোদন দিয়েছেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার কন্যারকুম খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে খনন কাজ উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, মাতামুহুরী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল মানিক, বিএডিসির চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক এবং বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে কন্যারকুম শাখা খালটি পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যায়। যার কারণে সেচ (পানি) সুবিধা অনিশ্চয়তায় স্থানীয় কৃষকেরা চাষাবাদ নিয়ে বছরের পর বছর চরম উদ্বিগ্ন ছিল। তবে এবছর খালটি খননের ফলে চাষাবাদ নিয়ে কৃষকদের সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।
খাল খনন কাজ উদ্বোধন শেষে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পুরাতন কন্যারকুম পয়েন্টের ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি খননে উপকূলীয় অঞ্চলের ৭টি ইউনিয়ন তথা বিএমচর, কোনাখালী, ডেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী, সাহারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ জমিতে নিরবিচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা নিয়ে চাষাবাদ করা যাবে। এখন স্থানীয় কৃষকেরা চাষাবাদ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি বলেন, খালটি খননে এখন পানি নিস্কাশনের গতিপথ সচল হওয়ায় উপজেলার উপকুলের সাতটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ বর্ষা মৌসুমে বন্যার দুর্ভোগ থেকে অনেকাংশে নিস্তার পাবে।
চকরিয়া (কক্সবাজার) : বিএমচর ইউনিয়নে ভরাট হয়ে যাওয়া কন্যারকুম শাখাখাল খনন কাজ শুরু -সংবাদ
শনিবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় বিএমচর ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদীর শাখাখাল হিসেবে পরিচিত শতবছরের পুরানো কন্যারকুম খালের ভরাট অংশে অবশেষে খনন কাজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ কয়েকযুগ পর ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি খননের ফলে সেচ সুবিধা নিশ্চিত হতে চলছে। এতেকরে ওই এলাকার বিপুল পরিমাণ অনাবাদি জমিতে পুনরায় চাষাবাদ করতে পারবে এমন আশাজাগানিয়া স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় প্রান্তিক কৃষকেরা।
পাশাপাশি কন্যারকুম ভরাট খালটি খননে এখন পানি নিষ্কাশনের গতিপথ সচল হওয়ায় বিএমচর ইউনিয়নসহ উপকুলের সাতটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ বর্ষা মৌসুমে অতীতের সেই বন্যার দুর্ভোগ থেকে নিস্তার পেতে যাচ্ছেন এমনটাই জানিয়েছেন বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল মানিক।
চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে, স্থানীয় এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ইতোমধ্যে বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম ভরাট খালটি খননের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিএডিসি চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেন।
এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিনে যাছাই করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করর্পোরেশনের (বিএডিসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভরাট খালটি খননের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করে অনুমোদন দিয়েছেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার কন্যারকুম খালের কচুরিপানা পরিষ্কার করে আনুষ্ঠানিক ভাবে খনন কাজ উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, মাতামুহুরী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়াইবুল ইসলাম সবুজ, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইসমাইল মানিক, বিএডিসির চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক এবং বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও স্থানীয় এলাকাবাসী।
চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় ধরে কন্যারকুম শাখা খালটি পলি মাটি জমে ভরাট হয়ে যায়। যার কারণে সেচ (পানি) সুবিধা অনিশ্চয়তায় স্থানীয় কৃষকেরা চাষাবাদ নিয়ে বছরের পর বছর চরম উদ্বিগ্ন ছিল। তবে এবছর খালটি খননের ফলে চাষাবাদ নিয়ে কৃষকদের সেই অনিশ্চয়তা কেটে গেছে।
খাল খনন কাজ উদ্বোধন শেষে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের পুরাতন কন্যারকুম পয়েন্টের ভরাট হয়ে যাওয়া খালটি খননে উপকূলীয় অঞ্চলের ৭টি ইউনিয়ন তথা বিএমচর, কোনাখালী, ডেমুশিয়া, পশ্চিম বড় ভেওলা, বদরখালী, সাহারবিল ও পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ জমিতে নিরবিচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা নিয়ে চাষাবাদ করা যাবে। এখন স্থানীয় কৃষকেরা চাষাবাদ নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি বলেন, খালটি খননে এখন পানি নিস্কাশনের গতিপথ সচল হওয়ায় উপজেলার উপকুলের সাতটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ বর্ষা মৌসুমে বন্যার দুর্ভোগ থেকে অনেকাংশে নিস্তার পাবে।