ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এনসিপি নেতা আসাদ খোকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। শনিবার সকালে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা তার বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও হামলার অভিযোগ তোলেন।
বক্তারা বলেন, ১০ অক্টোবর বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর মৌজার ৯৫০ ও ৯৬৩ দাগের একটি খাস পুকুর ইজারার প্রকাশ্য ডাক হওয়ার কথা ছিল। ওইদিন সকালে লক্ষীপুর গ্রামের মনির মিয়া ও অন্যরা ডাকে অংশ নিতে গেলে আসাদ খোকনের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে মনির মিয়া বাদী হয়ে আসাদ খোকনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, খাস পুকুরটি আগে স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসার নামে ছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আসাদ খোকন পুকুরটি ইজারা নেন।
এ বছর ইজারার মেয়াদ শেষ হলে স্থানীয়রা পুকুরটি মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের নামে নেওয়ার উদ্যোগ নিলে আসাদ খোকন তাদের হুমকি দেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ডাকের দিন হামলার সময় মনির মিয়ার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা, রুকন মিয়ার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং বলু মিয়ার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আসাদ খোকন ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে এটি থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।”
এনসিপি নেতা আসাদ খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদকে বলেন, “ঘটনার সময় আমি নায়েব সাহেব ও এসি ল্যান্ড অফিসে ছিলাম। পরে বাইরে এসে দেখি মারামারি হয়েছে। বিকেলে আমি নিজেও হামলার শিকার হই এবং প্রাণভয়ে এক বাড়িতে আশ্রয় নিই। পরে থানায় ফোন করলে ওসি সাহেব আমাকে উদ্ধার করেন।”
---
রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এনসিপি নেতা আসাদ খোকনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় গ্রামবাসী। শনিবার সকালে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা তার বিরুদ্ধে ভূমি দখল ও হামলার অভিযোগ তোলেন।
বক্তারা বলেন, ১০ অক্টোবর বুড়িশ্বর ইউনিয়নের লক্ষীপুর মৌজার ৯৫০ ও ৯৬৩ দাগের একটি খাস পুকুর ইজারার প্রকাশ্য ডাক হওয়ার কথা ছিল। ওইদিন সকালে লক্ষীপুর গ্রামের মনির মিয়া ও অন্যরা ডাকে অংশ নিতে গেলে আসাদ খোকনের নেতৃত্বে ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পরে মনির মিয়া বাদী হয়ে আসাদ খোকনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, খাস পুকুরটি আগে স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসার নামে ছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আসাদ খোকন পুকুরটি ইজারা নেন।
এ বছর ইজারার মেয়াদ শেষ হলে স্থানীয়রা পুকুরটি মসজিদ, মাদ্রাসা ও কবরস্থানের নামে নেওয়ার উদ্যোগ নিলে আসাদ খোকন তাদের হুমকি দেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ডাকের দিন হামলার সময় মনির মিয়ার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা, রুকন মিয়ার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং বলু মিয়ার কাছ থেকে এক হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা আসাদ খোকন ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা নাছরিন বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নিতে এটি থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।”
এনসিপি নেতা আসাদ খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদকে বলেন, “ঘটনার সময় আমি নায়েব সাহেব ও এসি ল্যান্ড অফিসে ছিলাম। পরে বাইরে এসে দেখি মারামারি হয়েছে। বিকেলে আমি নিজেও হামলার শিকার হই এবং প্রাণভয়ে এক বাড়িতে আশ্রয় নিই। পরে থানায় ফোন করলে ওসি সাহেব আমাকে উদ্ধার করেন।”
---