ঠিকাদারদের তোপের মুখে সমন্বয় সভা থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী একপ্রকার পালিয়ে যান -সংবাদ
ঠাকুরগাঁওয়ে ঠিকাদারদের তোপের মুখে অফিস ছেড়ে পালালেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস।
৪ শতাধিক ঠিকাদার ১৬টি কাজের টেন্ডারের বিপরীতে প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকার পে-অর্ডার জমা
প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ তুলে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা
সোমবার,(২০ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে এক জরুরি বৈঠকে বসেন ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা। এসময় তারা নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বেচ্ছাচারিতা ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তাদের তোপের মুখে নির্বাহী প্রকৌশলী সেখান থেকে একপ্রকার পালিয়ে যান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চার শতাধিক ঠিকাদার ১৬টি কাজের টেন্ডারে অংশ নিতে সোমবার, অফিসে উপস্থিত হন। এসব টেন্ডারের ওপেনিং ডেট ছিল ওইদিনই। নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদাররা প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়েছিলেন।
তবে হঠাৎ নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস জানিয়ে দেন, টেন্ডারগুলো বাতিল করা হয়েছে এবং বাতিল সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বা আগে থেকে কেন কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি- এসব বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা।
অঘোষিতভাবে নির্বাহী প্রকৌশলীর টেন্ডার বাতিলের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঠিকাদাররা। তারা জানান, ‘কোনো পূর্ব ঘোষণা বা কারণ না জানিয়ে হঠাৎ টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। এতে আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এর সঠিক কারণ এবং সুরাহা দিতে না পারলে আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে তালা ঝুলিয়ে দেবো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে তিনি এখানে এসে সে সরকারের এজেন্ডা এখনো বাস্তবায়ন করছেন এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল ঠিকাদারদের সব ধরনের বিল তিনি সুকৌশলে পরিশোধও করছেন। এখন তিনি এ ধরনের নাটকীয় ঘটনার অবতারণা করছেন।’
নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস অফিস ছেড়ে চলে যাবার পরও দীর্ঘ সময় তার কক্ষে অপেক্ষা করে তাকে বা তার স্টাফদের পাওয়া যায়নি।
মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঢাকা থেকে আমাদের কাছে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ঠিকাদারদের তোপের মুখে সমন্বয় সভা থেকে নির্বাহী প্রকৌশলী একপ্রকার পালিয়ে যান -সংবাদ
সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
ঠাকুরগাঁওয়ে ঠিকাদারদের তোপের মুখে অফিস ছেড়ে পালালেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস।
৪ শতাধিক ঠিকাদার ১৬টি কাজের টেন্ডারের বিপরীতে প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকার পে-অর্ডার জমা
প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা অভিযোগ তুলে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা
সোমবার,(২০ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে এক জরুরি বৈঠকে বসেন ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদাররা। এসময় তারা নির্বাহী প্রকৌশলীর স্বেচ্ছাচারিতা ও সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তাদের তোপের মুখে নির্বাহী প্রকৌশলী সেখান থেকে একপ্রকার পালিয়ে যান।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চার শতাধিক ঠিকাদার ১৬টি কাজের টেন্ডারে অংশ নিতে সোমবার, অফিসে উপস্থিত হন। এসব টেন্ডারের ওপেনিং ডেট ছিল ওইদিনই। নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদাররা প্রায় ৬৯ লক্ষ টাকার পে-অর্ডার জমা দিয়েছিলেন।
তবে হঠাৎ নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস জানিয়ে দেন, টেন্ডারগুলো বাতিল করা হয়েছে এবং বাতিল সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বা আগে থেকে কেন কোনো নোটিশ দেয়া হয়নি- এসব বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দিতে রাজি হননি বলে অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা।
অঘোষিতভাবে নির্বাহী প্রকৌশলীর টেন্ডার বাতিলের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঠিকাদাররা। তারা জানান, ‘কোনো পূর্ব ঘোষণা বা কারণ না জানিয়ে হঠাৎ টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। এতে আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এর সঠিক কারণ এবং সুরাহা দিতে না পারলে আমরা নির্বাহী প্রকৌশলীর রুমে তালা ঝুলিয়ে দেবো। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে তিনি এখানে এসে সে সরকারের এজেন্ডা এখনো বাস্তবায়ন করছেন এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল ঠিকাদারদের সব ধরনের বিল তিনি সুকৌশলে পরিশোধও করছেন। এখন তিনি এ ধরনের নাটকীয় ঘটনার অবতারণা করছেন।’
নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন বিশ্বাস অফিস ছেড়ে চলে যাবার পরও দীর্ঘ সময় তার কক্ষে অপেক্ষা করে তাকে বা তার স্টাফদের পাওয়া যায়নি।
মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ঢাকা থেকে আমাদের কাছে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করেছি। তবে ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন অভিযোগের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।