ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাশী ইউনিয়নের চকনুর বাজার হতে গোদগাতী হয়ে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নে যাওয়ার কাঁচা রাস্তায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এই সড়কে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজনৈতিক নেতারা তা বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাঙ্গাশী ইউনিয়নের চক নুর বাজার থেকে গোদগাতী গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। সড়কের দুই পাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। কোথাও পানি জমে আছে। কোথাও কাদায় ভরা। রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট ও ছোট ব্রিজ। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই পথে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, মিশুক ও মোটরসাইকেল।
রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে চক নুর, গোদগাতী, ভাতহাড়িয়া, তেবাড়িয়া, ব্রহ্মগাছা, খামারগাতী, ভামনভাগ, কুটার গাতী, কালিয়া বাড়ী গ্রামসহ প্রায় ১৫ টি গ্রামের ২১-২২ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। বৃষ্টির দিনে ভোগান্তির শেষ নাই।
আয়শা, জুবায়েরসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ডেলিভারি রোগী কিংবা অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি হয় বেশি। রাস্তা পাকা হলে আমরা নিয়মিত পাঠশালায় যেতে পারব। জরুরী রোগীও দ্রুত সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হবে। গোদগাতী গ্রামের বাসিন্দা সেলিম রেজা বলেন, মাসখানেক আগে বৃষ্টির মধ্যে এক প্রসূতিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথের যা অবস্থা, শেষে পর্যন্ত হাসপাতালে নেওয়ার আগে রাস্তার ওপরই বাচ্চার জন্ম হয়। সময়মতো চিকিৎসা নিতে না পারায় নবজাতকের মৃত্যু হয়। রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের কষ্ট ভাষায় বোঝানো যাবে না। অনেক সময় যাত্রী নামিয়ে আবার তুলতে হয়। বৃষ্টির দিনে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি।
ভামনভাগ গ্রামের কৃষক জয়নুল হক বলেন, রাস্তা খারাপ থাকায় পরিবহন খরচও তিন গুণ বেড়ে গেছে। এক মন ধান বাজারে নিতে আগে ভাড়া লাগতো ১০ টাকা, এখন লাগে ৩০ টাকা। তারপরও গাড়ি পাওয়া যায় না। আবার মাঝে মধ্যে মালবাহী গাড়ি উল্টে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
গোদগাতী নিবাসী সলঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক নুরুন্নাহার বলেন, নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এই রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র কাগজে কলমেই আছে। বাস্তবে রূপ নেয়নি।
নেতারা খালি ওয়াদা দিয়ে এ এলাকার মানুষের ভোট নেন, রাস্তা-ঘাট কিছুই করেন না এমন অভিযোগের উত্তরে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি অতি দ্রুতই মেরামত হবে বলে জানা গেছে।
তবে ওই রাস্তার কাজ খুব দ্রুতই শুরু হবে বলে জানা যায় উপজেলা প্রকৌশলী ও নির্বাহী অফিস সূত্রে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাশী ইউনিয়নের চকনুর বাজার হতে গোদগাতী হয়ে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নে যাওয়ার কাঁচা রাস্তায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এই সড়কে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। একাধিকবার রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজনৈতিক নেতারা তা বাস্তবায়ন করেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাঙ্গাশী ইউনিয়নের চক নুর বাজার থেকে গোদগাতী গ্রামের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। সড়কের দুই পাশে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। কোথাও পানি জমে আছে। কোথাও কাদায় ভরা। রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্ট ও ছোট ব্রিজ। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এই পথে চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, মিশুক ও মোটরসাইকেল।
রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে চক নুর, গোদগাতী, ভাতহাড়িয়া, তেবাড়িয়া, ব্রহ্মগাছা, খামারগাতী, ভামনভাগ, কুটার গাতী, কালিয়া বাড়ী গ্রামসহ প্রায় ১৫ টি গ্রামের ২১-২২ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরাও রয়েছে। বৃষ্টির দিনে ভোগান্তির শেষ নাই।
আয়শা, জুবায়েরসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ডেলিভারি রোগী কিংবা অসুস্থ কাউকে হাসপাতালে নিতে ভোগান্তি হয় বেশি। রাস্তা পাকা হলে আমরা নিয়মিত পাঠশালায় যেতে পারব। জরুরী রোগীও দ্রুত সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানো সম্ভব হবে। গোদগাতী গ্রামের বাসিন্দা সেলিম রেজা বলেন, মাসখানেক আগে বৃষ্টির মধ্যে এক প্রসূতিকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথের যা অবস্থা, শেষে পর্যন্ত হাসপাতালে নেওয়ার আগে রাস্তার ওপরই বাচ্চার জন্ম হয়। সময়মতো চিকিৎসা নিতে না পারায় নবজাতকের মৃত্যু হয়। রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ভ্যান চালক শহিদুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের কষ্ট ভাষায় বোঝানো যাবে না। অনেক সময় যাত্রী নামিয়ে আবার তুলতে হয়। বৃষ্টির দিনে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করি।
ভামনভাগ গ্রামের কৃষক জয়নুল হক বলেন, রাস্তা খারাপ থাকায় পরিবহন খরচও তিন গুণ বেড়ে গেছে। এক মন ধান বাজারে নিতে আগে ভাড়া লাগতো ১০ টাকা, এখন লাগে ৩০ টাকা। তারপরও গাড়ি পাওয়া যায় না। আবার মাঝে মধ্যে মালবাহী গাড়ি উল্টে পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।
গোদগাতী নিবাসী সলঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক নুরুন্নাহার বলেন, নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বার বার আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এই রাস্তা পাকা করার প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র কাগজে কলমেই আছে। বাস্তবে রূপ নেয়নি।
নেতারা খালি ওয়াদা দিয়ে এ এলাকার মানুষের ভোট নেন, রাস্তা-ঘাট কিছুই করেন না এমন অভিযোগের উত্তরে ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি অতি দ্রুতই মেরামত হবে বলে জানা গেছে।
তবে ওই রাস্তার কাজ খুব দ্রুতই শুরু হবে বলে জানা যায় উপজেলা প্রকৌশলী ও নির্বাহী অফিস সূত্রে।