ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লার ১৭তম উপজেলা হিসেবে ২০১৭ সালে লালমাই উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। উপজেলা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৮ বছরেও অগ্নর্নিবাপণের জন্য কোন ফায়ারসার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাটবাজারে দোকানপাট, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বর্পূণ স্থাপনা অগ্নিঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতিবছরই অগ্নিকাণ্ডে মানুষের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার কোথাও যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে পাশ্ববর্তী উপজেলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ অথবা লাকসাম উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওপর ভরসা করতে হয়। এসব উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ততক্ষণে আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সম্প্রতি লালমাই উপজেলার বাগমারা কানিয়াপুকুর পাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, উপজেলার সদর বাগমারা বাজার কিংবা ভূশ্চি বাজারেও অগ্নি কান্ডের ঘটনায় বহু দোকানপাট পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে। পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই সকল কিছু পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ফলে, ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ফায়ারসার্ভিস টিম পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়েছে।
উপজেলাজুড়ে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লালমাই থানা অস্থায়ী কার্যালয়, পল্লী বিদ্যুতের একটি জোনাল অফিস রয়েছে উপজেলার সদরের বাগমারায়। ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও এক ডজন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মেঘনা গ্রুপের একটি শিল্প কারখানা। রিদম ও সততা ফার্নিচারের ৪টি ফ্যাক্টরিসহ শতাধিক উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। পাঁচ শতাধিক বহুতল ভবন রয়েছে। দুটি স্নাতক কলেজ, ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪টি মাদ্রাসা ও ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলার বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ সুজন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার স্টেশন না থাকায় থানা পুলিশসহ দুই একটি বড় প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের প্রাণের দাবি একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।
সামাজিক সংগঠন হাজী সামছুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতগ্রিস্ত হচ্ছেন। অগ্নঝিুঁকি এড়াতে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রী খীসা বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের নিমিত্তে লালমাই উপজেলায় সরকারি খাস জায়গা না থাকায় জমি অধগ্রিহণের প্রয়োজনীয়তা ও কাগজপত্রাদিসহ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সংশ্লষ্টি র্কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা সরকারি চাকরি করি এই বিষয়টা স্থানীয়ভাবে প্রস্তাব গেলে সরকার আমাদের নির্দেশ করলে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার ১৭তম উপজেলা হিসেবে ২০১৭ সালে লালমাই উপজেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। উপজেলা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৮ বছরেও অগ্নর্নিবাপণের জন্য কোন ফায়ারসার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হয়নি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাটবাজারে দোকানপাট, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বর্পূণ স্থাপনা অগ্নিঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। প্রতিবছরই অগ্নিকাণ্ডে মানুষের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলার কোথাও যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে পাশ্ববর্তী উপজেলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ অথবা লাকসাম উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওপর ভরসা করতে হয়। এসব উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে ততক্ষণে আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সম্প্রতি লালমাই উপজেলার বাগমারা কানিয়াপুকুর পাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও, উপজেলার সদর বাগমারা বাজার কিংবা ভূশ্চি বাজারেও অগ্নি কান্ডের ঘটনায় বহু দোকানপাট পুড়ে ছাঁই হয়ে গিয়েছে। পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই সকল কিছু পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ফলে, ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ফায়ারসার্ভিস টিম পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়েছে।
উপজেলাজুড়ে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য লালমাই থানা অস্থায়ী কার্যালয়, পল্লী বিদ্যুতের একটি জোনাল অফিস রয়েছে উপজেলার সদরের বাগমারায়। ২০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতাল, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক ও এক ডজন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। মেঘনা গ্রুপের একটি শিল্প কারখানা। রিদম ও সততা ফার্নিচারের ৪টি ফ্যাক্টরিসহ শতাধিক উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান। পাঁচ শতাধিক বহুতল ভবন রয়েছে। দুটি স্নাতক কলেজ, ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪টি মাদ্রাসা ও ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলার বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী দ্বীন মোহাম্মদ সুজন বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার স্টেশন না থাকায় থানা পুলিশসহ দুই একটি বড় প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের প্রাণের দাবি একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন।
সামাজিক সংগঠন হাজী সামছুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বেশি ক্ষতগ্রিস্ত হচ্ছেন। অগ্নঝিুঁকি এড়াতে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
এই বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রী খীসা বলেন, ফায়ার সার্ভিস স্থাপনের নিমিত্তে লালমাই উপজেলায় সরকারি খাস জায়গা না থাকায় জমি অধগ্রিহণের প্রয়োজনীয়তা ও কাগজপত্রাদিসহ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত সংশ্লষ্টি র্কতৃপক্ষ এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে কুমিল্লার সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা সরকারি চাকরি করি এই বিষয়টা স্থানীয়ভাবে প্রস্তাব গেলে সরকার আমাদের নির্দেশ করলে আমরা তা বাস্তবায়ন করবো।