প্রায় দুই যুগ আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ফুলদী নদীতে সেতু হয়নি আজও। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন উপজেলা সদরের দুই পাড়ের অর্ধ লাখ বাসিন্দা।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই মেঘনার শাখা ফুলদী নদীর রসুলপুর পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে গজারিয়াবাসী। দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াত (চার দলীয়) জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা নদীটিতে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় চব্বিশ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। ভিত্তিপ্রস্তরটি (ফলক) উপড়ে পড়ে আছে রসুলপুর গুদারাঘাট পয়েন্টে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয় রসুলপুর পয়েন্টে। এ পয়েন্টে সাব-রেজিস্টার অফিসসহ আরও অনেক সরকারি অফিস রয়েছে। রয়েছে সরকারি কলেজ, সরকারি হাসপাতল, ফায়ার সার্ভিস, দুইটি আলিম মাদ্রাসা- এরমধ্যে একটি মহিলা মাদ্রাসা। আলু সংরক্ষণের দুইটি হিমাগার, খাদ্য গুদাম। ওই পাড়ে সোনালী মার্কেট পয়েন্টে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, পুরাতন থানা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট, জেলা সদরে যাওয়ার ট্রলারঘাট।
প্রতিদিন সরকারি ও ব্যক্তিগত নানা কাজে ইমামপুর, রসুলপুর, মাথাভাঙ্গা, দৌলতপুর, আঁধার মানিক, করিম খাঁ, সোলআনি, বাগাইয়া কান্দি, গোসাইর চর, সোনারকান্দি, বাঁশগাও, কলসের কান্দি, প্রধানের চর, বালুরচর, গজারিয়া, কাজীপুরাসহ উপজেলার উভয় পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের নদী পারাপার হতে হয়। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের নদী পারাপার হতে হয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াতের জন্য। খেয়া (ইঞ্জিনচালিত) নৌকাই সবার ভরসা। যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি থাকলেও তা সময় সাপেক্ষ, কারণ একটি-দুটি গাড়ি নিয়ে ফেরি ছাড়তে চান না চালক। রাতে খেয়া এবং ফেরি দুটোই পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে নদী পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়লে জরুরি প্রয়োজনে এক পাড় থেকে গাড়ি নিয়ে অন্য পাড়ে যেতে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। এসব কারণে প্রায়ই দুর্ভোগে পড়েন দুই পাড়ের অসংখ্য মানুষ।
গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মেঘনার শাখা ফুলদী নদীর রসুলপুর পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণের জন্য ‘একাধিকবার নানা সমীক্ষা করা হলেও’ প্রকল্প বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামিউল আরেফিন সংবাদকে বলেন, উভয় পাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি আছে। তবে ফুলদী নদীতে সেতু নির্মাণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রায় দুই যুগ আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ফুলদী নদীতে সেতু হয়নি আজও। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন উপজেলা সদরের দুই পাড়ের অর্ধ লাখ বাসিন্দা।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই মেঘনার শাখা ফুলদী নদীর রসুলপুর পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে গজারিয়াবাসী। দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াত (চার দলীয়) জোট সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা নদীটিতে সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় চব্বিশ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। ভিত্তিপ্রস্তরটি (ফলক) উপড়ে পড়ে আছে রসুলপুর গুদারাঘাট পয়েন্টে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয় রসুলপুর পয়েন্টে। এ পয়েন্টে সাব-রেজিস্টার অফিসসহ আরও অনেক সরকারি অফিস রয়েছে। রয়েছে সরকারি কলেজ, সরকারি হাসপাতল, ফায়ার সার্ভিস, দুইটি আলিম মাদ্রাসা- এরমধ্যে একটি মহিলা মাদ্রাসা। আলু সংরক্ষণের দুইটি হিমাগার, খাদ্য গুদাম। ওই পাড়ে সোনালী মার্কেট পয়েন্টে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়, পুরাতন থানা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট, জেলা সদরে যাওয়ার ট্রলারঘাট।
প্রতিদিন সরকারি ও ব্যক্তিগত নানা কাজে ইমামপুর, রসুলপুর, মাথাভাঙ্গা, দৌলতপুর, আঁধার মানিক, করিম খাঁ, সোলআনি, বাগাইয়া কান্দি, গোসাইর চর, সোনারকান্দি, বাঁশগাও, কলসের কান্দি, প্রধানের চর, বালুরচর, গজারিয়া, কাজীপুরাসহ উপজেলার উভয় পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের নদী পারাপার হতে হয়। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের নদী পারাপার হতে হয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াতের জন্য। খেয়া (ইঞ্জিনচালিত) নৌকাই সবার ভরসা। যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি থাকলেও তা সময় সাপেক্ষ, কারণ একটি-দুটি গাড়ি নিয়ে ফেরি ছাড়তে চান না চালক। রাতে খেয়া এবং ফেরি দুটোই পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।
ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে নদী পারাপার বিপজ্জনক হয়ে পড়লে জরুরি প্রয়োজনে এক পাড় থেকে গাড়ি নিয়ে অন্য পাড়ে যেতে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। এসব কারণে প্রায়ই দুর্ভোগে পড়েন দুই পাড়ের অসংখ্য মানুষ।
গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মেঘনার শাখা ফুলদী নদীর রসুলপুর পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণের জন্য ‘একাধিকবার নানা সমীক্ষা করা হলেও’ প্রকল্প বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামিউল আরেফিন সংবাদকে বলেন, উভয় পাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি আছে। তবে ফুলদী নদীতে সেতু নির্মাণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি।