চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, যার অর্ধেকেরও বেশি সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় মারা যান বা স্থায়ী অক্ষমতায় ভোগেন। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান ও স্থূলতা এখনো ঝুঁকির প্রধান কারণ।
সোমবার,(২৭ অক্টোবর ২০২৫) বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন স্ট্রোক চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টার জরুরি সেবা চালু করেছে। আমরা চাই, মানুষ দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসা নিক- এটাই এ দিবসের মূল বার্তা।
চমেক নিউরোসার্জারি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
এসময় মেয়র বলেন, নিয়মিত ব্যায়াম, লবণ ও তেল-চর্বিজাত খাবার সীমিত করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বক্তব্যে নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মো. সাইফুল আলম বলেন, স্ট্রোকের ৮০ শতাংশই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা, ধূমপান বন্ধ করা, লবণ ও তেল কম খাওয়া, এবং দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা- এই ছোট পরিবর্তনগুলোই জীবন বাঁচাতে পারে। ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, স্ট্রোক প্রতিরোধ মানেই জীবন বাঁচানো। আজকের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো- সাধারণ মানুষকে বোঝানো যে স্ট্রোক হঠাৎ ঘটে, কিন্তু এর ঝুঁকি প্রতিদিন তৈরি হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় চমেক ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া সাইকেল র্যালি হাসপাতালের মূল মাঠে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাইকেল ফেস্ট, ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন ক্রীড়া আয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, যার অর্ধেকেরও বেশি সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় মারা যান বা স্থায়ী অক্ষমতায় ভোগেন। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান ও স্থূলতা এখনো ঝুঁকির প্রধান কারণ।
সোমবার,(২৭ অক্টোবর ২০২৫) বিশ্ব স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন স্ট্রোক চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টার জরুরি সেবা চালু করেছে। আমরা চাই, মানুষ দ্রুত শনাক্ত করে চিকিৎসা নিক- এটাই এ দিবসের মূল বার্তা।
চমেক নিউরোসার্জারি বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
এসময় মেয়র বলেন, নিয়মিত ব্যায়াম, লবণ ও তেল-চর্বিজাত খাবার সীমিত করা, ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বক্তব্যে নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. মো. সাইফুল আলম বলেন, স্ট্রোকের ৮০ শতাংশই প্রতিরোধযোগ্য। নিয়মিত রক্তচাপ ও রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা, ধূমপান বন্ধ করা, লবণ ও তেল কম খাওয়া, এবং দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা- এই ছোট পরিবর্তনগুলোই জীবন বাঁচাতে পারে। ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, স্ট্রোক প্রতিরোধ মানেই জীবন বাঁচানো। আজকের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো- সাধারণ মানুষকে বোঝানো যে স্ট্রোক হঠাৎ ঘটে, কিন্তু এর ঝুঁকি প্রতিদিন তৈরি হয়।
এর আগে সকাল ৯টায় চমেক ক্যাম্পাস থেকে শুরু হওয়া সাইকেল র্যালি হাসপাতালের মূল মাঠে শেষ হয়।
পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় সাইকেল ফেস্ট, ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্টসহ বিভিন্ন ক্রীড়া আয়োজন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল আলম এবং সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।