মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা চকমিরপুর ইউনিয়নের সমেতপুর ১নং ওয়ার্ডের রাস্তার বেহাল দশা। দৌলতপুর বাজার হতে ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত এই রাস্তাগুলো। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন বিগত সময়ে অনেকবার এই রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ আসলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে রাস্তার গুলোর এমন পরিণত হয়েছে।
দৌলতপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ইমদাদুল হোসেন বলেন আজাদ সরদার এর বাড়ি হতে তফিল উদ্দিন এর বাড়ি পর্যন্ত ১০০ থেকে ১৫০ মিটার রাস্তা হবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা আমাদের পক্ষে অনেক কষ্ট হয়ে পড়ে। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বৃষ্টি হলে তাদের স্কুলে যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায় এমনকি অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এ রাস্তা দিয়ে নাগরপুর থানার ৭/৮টি গ্রামের প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ শত মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে। কারণ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আমাদের দৌলতপুর বাজারে আসতে হয় । এই রাস্তা তাদের এক মাত্র ভরসা। এই রাস্তাটি যদি ইটের সেলিং করা হয় তাহলে এলাকার মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে । এ কারণে দৌলতপুর বাজার ও অনেক উপকৃত হবে ।
অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে সম্ভব হয় না। সারোটিয়াগাজী, পাছ আরড়া, ধুনাই, ভুগোলহাট, নবুদিয়া এসব এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায় আমরা টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বাসিন্দা হলেও আমাদের এলাকার ছেলেমেয়েরা দৌলতপুর হাই স্কুল ও দৌলতপুর সরকারি মতিলাল ডিগ্রী কলেজে লেখাপড়া করে এবং যারা কৃষি কাজ করে শস্য উৎপাদন করে তারা সঠিক সময়ে বাজারে আসতে পারেনা। এ কারণে তারা শস্য ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সমেতপুর ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রিপন মিয়া দৈনিক সংবাদকে বলেন, মৃত মুজিবরের বাড়ি হতে মৃত নিয়াল ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি বিগত ২০ বছরের মধ্যে কোন প্রকার উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়নি। লুৎফর মাস্টার এর বাড়ি হতে রামচন্দ্রপুর মোল্লাপাড়া নুর আলম এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাাটি কিছু প্রকল্পে আসলেও তাপ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ছোট ছোট প্রকল্প দিয়ে যে কয়েকবার মাটি ফেলা হয়েছে তা আবার বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা মো. আজাদ সরদারের বাড়ি হতে মো. তফিল উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির। এখানে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে তাও অতি নগণ্য। বর্ষার মৌসুমির আগে যতটুকু মাটি ফেলা হয় তা আবার বর্ষার পানি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়।
এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। অতি দ্রুত রাস্তাটি ইটের সলিং করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা এখান থেকে প্রতিদিন শতশত লোক যাতায়াত করে থাকে। আমি প্রথমেই এই রাস্তার একটি প্রকল্প দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু কেউ সাহস পায় না কাজ করার জন্য। কারণ এখানে মাটির অনেক সংকট। রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করে ইটের সলিং করা খুবই প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর উপজেলা চকমিরপুর ইউনিয়নের সমেতপুর ১নং ওয়ার্ডের রাস্তার বেহাল দশা। দৌলতপুর বাজার হতে ১০০ মিটার দূরে অবস্থিত এই রাস্তাগুলো। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন বিগত সময়ে অনেকবার এই রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ আসলেও তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে রাস্তার গুলোর এমন পরিণত হয়েছে।
দৌলতপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ইমদাদুল হোসেন বলেন আজাদ সরদার এর বাড়ি হতে তফিল উদ্দিন এর বাড়ি পর্যন্ত ১০০ থেকে ১৫০ মিটার রাস্তা হবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও এ রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ। সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা আমাদের পক্ষে অনেক কষ্ট হয়ে পড়ে। স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বৃষ্টি হলে তাদের স্কুলে যাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায় এমনকি অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এ রাস্তা দিয়ে নাগরপুর থানার ৭/৮টি গ্রামের প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ শত মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে। কারণ তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আমাদের দৌলতপুর বাজারে আসতে হয় । এই রাস্তা তাদের এক মাত্র ভরসা। এই রাস্তাটি যদি ইটের সেলিং করা হয় তাহলে এলাকার মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে গাড়িতে যাতায়াত করতে পারবে । এ কারণে দৌলতপুর বাজার ও অনেক উপকৃত হবে ।
অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলাদের জন্য উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে সম্ভব হয় না। সারোটিয়াগাজী, পাছ আরড়া, ধুনাই, ভুগোলহাট, নবুদিয়া এসব এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানাযায় আমরা টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বাসিন্দা হলেও আমাদের এলাকার ছেলেমেয়েরা দৌলতপুর হাই স্কুল ও দৌলতপুর সরকারি মতিলাল ডিগ্রী কলেজে লেখাপড়া করে এবং যারা কৃষি কাজ করে শস্য উৎপাদন করে তারা সঠিক সময়ে বাজারে আসতে পারেনা। এ কারণে তারা শস্য ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে সমেতপুর ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রিপন মিয়া দৈনিক সংবাদকে বলেন, মৃত মুজিবরের বাড়ি হতে মৃত নিয়াল ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি বিগত ২০ বছরের মধ্যে কোন প্রকার উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়নি। লুৎফর মাস্টার এর বাড়ি হতে রামচন্দ্রপুর মোল্লাপাড়া নুর আলম এর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাাটি কিছু প্রকল্পে আসলেও তাপ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ছোট ছোট প্রকল্প দিয়ে যে কয়েকবার মাটি ফেলা হয়েছে তা আবার বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা মো. আজাদ সরদারের বাড়ি হতে মো. তফিল উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির। এখানে যে প্রকল্প দেওয়া হয়েছে তাও অতি নগণ্য। বর্ষার মৌসুমির আগে যতটুকু মাটি ফেলা হয় তা আবার বর্ষার পানি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যায়।
এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। অতি দ্রুত রাস্তাটি ইটের সলিং করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন বলেন এই রাস্তাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা এখান থেকে প্রতিদিন শতশত লোক যাতায়াত করে থাকে। আমি প্রথমেই এই রাস্তার একটি প্রকল্প দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। কিন্তু কেউ সাহস পায় না কাজ করার জন্য। কারণ এখানে মাটির অনেক সংকট। রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করে ইটের সলিং করা খুবই প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।