ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের চার জেলেকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নাফনদীর মোহনায় মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেরা হলেন—নুর কালাম, শফি আলম, আবুল কালাম ও নৌকার মালিক আব্দুর রহমান। সবাই শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা।
শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া নৌঘাটের সভাপতি আবদুল গণি বলেন, আব্দুর রহমান নিজের নৌকাসহ চার মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ ধরতে যায়।
তখনই আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরই এ ঘটনা ঘটল, ফলে স্থানীয় জেলেরা আতঙ্কে রয়েছে।
ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, একটি নৌকাসহ চার মাঝিমাল্লাকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে নাফনদী ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা গেলেও এখনো অন্তত ১০০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এতে সাগরে যেতে ভয় পাচ্ছেন অনেক জেলে।
মিয়ানমারভিত্তিক গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, অবৈধভাবে আরাকানের জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে চার বাংলাদেশি মাঝিমাল্লাকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের চার জেলেকে নৌকাসহ ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নাফনদীর মোহনায় মাছ ধরার সময় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃত জেলেরা হলেন—নুর কালাম, শফি আলম, আবুল কালাম ও নৌকার মালিক আব্দুর রহমান। সবাই শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা।
শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়া নৌঘাটের সভাপতি আবদুল গণি বলেন, আব্দুর রহমান নিজের নৌকাসহ চার মাঝিমাল্লা নিয়ে মাছ ধরতে যায়।
তখনই আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরই এ ঘটনা ঘটল, ফলে স্থানীয় জেলেরা আতঙ্কে রয়েছে।
ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, একটি নৌকাসহ চার মাঝিমাল্লাকে আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, গত আট মাসে নাফনদী ও আশপাশের এলাকা থেকে প্রায় ৩০০ জেলেকে অপহরণ করেছে আরাকান আর্মি। এর মধ্যে প্রায় ২০০ জনকে ফেরত আনা গেলেও এখনো অন্তত ১০০ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এতে সাগরে যেতে ভয় পাচ্ছেন অনেক জেলে।
মিয়ানমারভিত্তিক গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, অবৈধভাবে আরাকানের জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে চার বাংলাদেশি মাঝিমাল্লাকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত প্রায় ১৮৮ জন জেলে ও ৩০টি নৌকা আটক করে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।