ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে অপহৃত ২২ জনকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২১ জন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশি নাগরিক। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাত শিশু, চার নারী ও ১০ জন পুরুষ রয়েছেন। গত রোববার টেকনাফের হাতিয়ারঘোনা করাচিপাড়ার গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার উপকূলে ইয়াবা কারবারের পাশাপাশি সাগরপথে মানবপাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ক্যাম্পের সিপিসি-১ দলের সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধশ্বাস অভিযানে মুক্তিপণ আদায় ও বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আটক ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানের সময় পাচারকারীরা উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তবে ভিকটিমদের জবানবন্দি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাচারচক্রের সদস্যদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মোবারক (১৭) জানান, গত ১৩ অক্টোবর বিকালে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করে করাচিপাড়ার পাহাড়ে নিয়ে যায় একদল লোক। পরে মারধর করে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
অন্য ভিকটিমদেরও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দিলে তাঁদের মালয়েশিয়ায় পাচারের হুমকি দেওয়া হয়।
ভিকটিমদের অভিযোগ, পাচারকারীরা মুক্তিপণ না পেয়ে সিগারেটের আগুনে শরীর পুড়িয়ে এবং প্লায়ার্স দিয়ে নখ তুলে নির্মম নির্যাতন চালায়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। র্যাব বলছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে অপহৃত ২২ জনকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ২১ জন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশি নাগরিক। রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাত শিশু, চার নারী ও ১০ জন পুরুষ রয়েছেন। গত রোববার টেকনাফের হাতিয়ারঘোনা করাচিপাড়ার গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার উপকূলে ইয়াবা কারবারের পাশাপাশি সাগরপথে মানবপাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-১৫ সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ক্যাম্পের সিপিসি-১ দলের সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধশ্বাস অভিযানে মুক্তিপণ আদায় ও বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আটক ২২ জনকে উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, অভিযানের সময় পাচারকারীরা উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। তবে ভিকটিমদের জবানবন্দি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাচারচক্রের সদস্যদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া মোবারক (১৭) জানান, গত ১৩ অক্টোবর বিকালে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করে করাচিপাড়ার পাহাড়ে নিয়ে যায় একদল লোক। পরে মারধর করে পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
অন্য ভিকটিমদেরও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের এলাকা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। মুক্তিপণ না দিলে তাঁদের মালয়েশিয়ায় পাচারের হুমকি দেওয়া হয়।
ভিকটিমদের অভিযোগ, পাচারকারীরা মুক্তিপণ না পেয়ে সিগারেটের আগুনে শরীর পুড়িয়ে এবং প্লায়ার্স দিয়ে নখ তুলে নির্মম নির্যাতন চালায়।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাচারকারীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। র্যাব বলছে, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।