alt

দশমিনায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী) : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

দশমিনা (পটুয়াখালী) : জরাজীর্ণ কাচারি ঘর -সংবাদ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে বিলুপ্ত প্রায় হয়ে যাওয়া কাচারি ঘরের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। গ্রামীন জনপদের অধিকাংশ ধনাঢ্য গৃহস্থের বাড়িতে বিশ্রাম,রাত্রিযাপন করার জন্য এই কাচারি ঘর ছিল। এই ঘর গ্রাম বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির একটি অংশ ছিল। আধুনিক জীবনযাপন ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় ব্যাপক পরিবর্তনের কারনে কালের বিবর্তনে কাচারি ঘর বাঙালির সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। অতিথিশালা কিংবা বিশ্রাম রুমের বিকল্প হিসাবে এই কাচারি ঘর ছিল। গ্রামীন জনপদে এখন আর এই ঘর তেমন দেখা যায় না।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ৭০ থেকে ৮০ দশকে মূলত বাড়ি থেকে একটু দূরে আলাদা খোলামেলা যায়গায় কাচারি ঘরের অবস্থান ছিল। এক সময়ে কাচারি ঘরে বসে জমিদাররা কর ও খাজনা আদায় করতো। উপজেলার অনেক স্থান এখনও কাচারি বাড়ি বা কাচারি বাজার হিসাবে পরিচিত রয়েছে। গ্রামীন জনপদে কোন ব্যক্তি এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাবার পথে অনেক সময় যাত্রা বিরতির জন্য এই ঘরে এসে বিশ্রাম নিতেন। এছাড়া অন্য এলাকার কোন বাসিন্দা, অতিথি, পথচারী এই কাচারি ঘরে এসে বসতেন। প্রয়োজনে কোন অতিথি থাকার ব্যবস্থা না থাকায় কাচারি ঘরের কোন কক্ষে সময় কম থাকার কারনে রাতিযাপন করতো। এক সময় এই ঘর ছিল গ্রামের অভিজাত, সম্পদশালী, অবস্থাপন্ন ও মদ্যবিত্ত গ্রহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক। কাচারি ঘরটি টিন দিয়ে চারদিক বেড়া এবং কাঠের কারুকাজ করা থাকতো। এছাড়া উপরে টিন অথবা ছনের ছাইনি দিয়ে এই ঘর তৈরি করা হতো। গ্রামীন পরিবেশ ও প্রকৃতি বান্ধব গাছপালা দিয়ে চারদিক যিরে রাখা হতো। তখনকার যুগে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা না থাকলেও কাচারি ঘরে আরামদায়ক শীতল পরিবেশ ছিল। তীব্র গরমে কাজিারি ঘরের খোলা জানালা দিয়ে হিমেল বাতাস বয়ে যেত। ফলে অতিথিরা কাচারি ঘরে থাকতেই বেশী পছন্দ করতেন।

দশমিনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও গণমাধ্যমকর্মী আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন,অত্র জনপদের ধনাঢ্য গৃহস্থের বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে এই কাচারি ঘর ছিল।

এই ঘরে দূরদূরান্তের মানুষের বিশ্রামসহ থাকার ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাচারি বাড়ি এখন তেমন আর নেই যা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অত্র উপজেলার গ্রামীন জনপদে এখনও জরাজীর্ন অবস্থায় কয়েকটি ঘর ভগ্নদশায় স্মৃতিময় হয়ে টিকে রয়েছে।

সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ কনটেইনারের বিপজ্জনক পণ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস

ছবি

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ১ এবং আহত অন্তত ৮ জন

ছবি

ফুলের রাজধানী গদখালীতে নতুন বাজার, স্বস্তিতে পাইকাররা

ছবি

চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রাক-ট্রেন সংঘর্ষে নিহত ১, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

সংসদ নির্বাচনে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৩ আনসার সদস্যের ৩ জন থাকবে সশস্ত্র

ছবি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকানপাট, প্রাকৃতিক ঢিবি হচ্ছে সমতল

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে শীতের সবজি কমতে শুরু করেছে দাম

ছবি

টেকনাফে পাচারের উদ্দেশ্যে অপহৃত ২২ জনকে উদ্ধার

ছবি

কক্সবাজার শহর থেকে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ

ছবি

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান

ছবি

পদ্মায় ধরা পরলো ৩১ কেজির দুই বাঘাআইড়, ৩৮ হাজারে বিক্রি

ছবি

আবারও নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

ছবি

কুষ্টিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগ

ছবি

হবিগঞ্জে বাবার দায়ের কোপে মেয়ে নিহত

ছবি

বাগেরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি

ছবি

সায়মা মৃত্যুর বিচার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ

ছবি

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা রেল বন্দরে হাহাকার শ্রমিকদের চোখে অনিশ্চয়তার ছায়া

ছবি

মোল্লাহাটে চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, পুড়িয়ে ধ্বংস

ছবি

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার বেহাল অবস্থা চিকিৎসা বঞ্চিত ৮ লাখাধিক মানুষ

ছবি

সাপাহারে পুনর্ভবা নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে কোমলমতি শিশুদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা

ছবি

রাজশাহীতে ভারতীয় মদ ও পাতার বিড়ি জব্দ

ছবি

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

ছবি

বেগমগঞ্জে পলাতক আসামী কসাই জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

ছবি

মাছ পরিবহন করা পিক-আপের পানিতে সড়কের বেহাল অবস্থা

ছবি

ভালুকায় আমন খেত বাঁচাতে কীটনাশক দোকানে কৃষকের ভীড়

ছবি

শেরপুরের গারো পাহাড়ে তিন দশক ধরে চলছে হাতি-মানুষের সংঘাত

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কাঠের ব্রীজ ভেঙে ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

ছবি

কাঠালিয়ায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ছবি

দুবলারচরে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণে অভিযান

ছবি

নোয়াখালীতে মাদ্রারাসার ছাত্রকে হত্যা

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষক পেল বীজ ও সার

ছবি

লৌহজংয়ে লোকালয়ে কুমির আতঙ্ক

ছবি

বেনাপোলে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ছবি

যশোর হাসপাতালে ফিজিওথেরাপি বাণিজ্য, ধরা পড়লো চারকর্মী

tab

দশমিনায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর

প্রতিনিধি, দশমিনা (পটুয়াখালী)

দশমিনা (পটুয়াখালী) : জরাজীর্ণ কাচারি ঘর -সংবাদ

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন থেকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে বিলুপ্ত প্রায় হয়ে যাওয়া কাচারি ঘরের বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। গ্রামীন জনপদের অধিকাংশ ধনাঢ্য গৃহস্থের বাড়িতে বিশ্রাম,রাত্রিযাপন করার জন্য এই কাচারি ঘর ছিল। এই ঘর গ্রাম বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি ও সংস্কৃতির একটি অংশ ছিল। আধুনিক জীবনযাপন ও বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় ব্যাপক পরিবর্তনের কারনে কালের বিবর্তনে কাচারি ঘর বাঙালির সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে গেছে। অতিথিশালা কিংবা বিশ্রাম রুমের বিকল্প হিসাবে এই কাচারি ঘর ছিল। গ্রামীন জনপদে এখন আর এই ঘর তেমন দেখা যায় না।

উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ৭০ থেকে ৮০ দশকে মূলত বাড়ি থেকে একটু দূরে আলাদা খোলামেলা যায়গায় কাচারি ঘরের অবস্থান ছিল। এক সময়ে কাচারি ঘরে বসে জমিদাররা কর ও খাজনা আদায় করতো। উপজেলার অনেক স্থান এখনও কাচারি বাড়ি বা কাচারি বাজার হিসাবে পরিচিত রয়েছে। গ্রামীন জনপদে কোন ব্যক্তি এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাবার পথে অনেক সময় যাত্রা বিরতির জন্য এই ঘরে এসে বিশ্রাম নিতেন। এছাড়া অন্য এলাকার কোন বাসিন্দা, অতিথি, পথচারী এই কাচারি ঘরে এসে বসতেন। প্রয়োজনে কোন অতিথি থাকার ব্যবস্থা না থাকায় কাচারি ঘরের কোন কক্ষে সময় কম থাকার কারনে রাতিযাপন করতো। এক সময় এই ঘর ছিল গ্রামের অভিজাত, সম্পদশালী, অবস্থাপন্ন ও মদ্যবিত্ত গ্রহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক। কাচারি ঘরটি টিন দিয়ে চারদিক বেড়া এবং কাঠের কারুকাজ করা থাকতো। এছাড়া উপরে টিন অথবা ছনের ছাইনি দিয়ে এই ঘর তৈরি করা হতো। গ্রামীন পরিবেশ ও প্রকৃতি বান্ধব গাছপালা দিয়ে চারদিক যিরে রাখা হতো। তখনকার যুগে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা না থাকলেও কাচারি ঘরে আরামদায়ক শীতল পরিবেশ ছিল। তীব্র গরমে কাজিারি ঘরের খোলা জানালা দিয়ে হিমেল বাতাস বয়ে যেত। ফলে অতিথিরা কাচারি ঘরে থাকতেই বেশী পছন্দ করতেন।

দশমিনা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও গণমাধ্যমকর্মী আহাম্মদ ইব্রাহিম অরবিল বলেন,অত্র জনপদের ধনাঢ্য গৃহস্থের বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে এই কাচারি ঘর ছিল।

এই ঘরে দূরদূরান্তের মানুষের বিশ্রামসহ থাকার ব্যবস্থা ছিল। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কাচারি বাড়ি এখন তেমন আর নেই যা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। অত্র উপজেলার গ্রামীন জনপদে এখনও জরাজীর্ন অবস্থায় কয়েকটি ঘর ভগ্নদশায় স্মৃতিময় হয়ে টিকে রয়েছে।

back to top