গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বাজারে উঠছে শীতকালীন সবজি -সংবাদ
পুরোদমে শীতের আবহ এখনো তৈরি না হলেও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতের আগাম সবজির। আর এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে ফুলকপি, শিম, লাউ মূলাসহ নানান শীতের সবজি। এতে শুরুর দিকে দাম চড়া থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম এখন কমতে শুরু করেছে। ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষকরাও।
বিক্রেতারা বলছেন, বেশি লাভের আশায় কৃষকরা শীতের আগাম সবজি চাষ করে থাকেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই আসতে শুরু করেছে হরেক রকম শীতের সবজি। এতে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।
গতকাল সোমবার বিকালে গোবিন্দগঞ্জ পৌর কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এদিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে লাউ প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা, প্রতিকেজি ফুলকপি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, সিম ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ধনে পাতা (দেশি) ২০০ টাকা এবং ধনে পাতা (হাইব্রিড) ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ফুলকপি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, সিম ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা এবং নতুন পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল এই বাজারে। পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন তারা বলেন, ক্রেতাদের আগ্রহ এখন শীতের সবজির ওপর। দিন যত যাবে শীতের আগাম সবজির দামও কমে আসবে। এক সপ্তাহ আগে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সিম এখন ১৬০ টাকা। আবার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ধনে পাতা বর্তমানে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। পৌর শহরের ঘোষপাড়া থেকে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা জোবাইদুর রহমান সাগর বলেন, শীতের আগাম সবজির বর্তমান দাম মোটামুটি হাতের নাগালেই আছে। তবে বেশকিছু দোকানে বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে দেখলাম ব্যবসায়ীদের। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি বাড়ানো উচিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে বাজারে চাহিদার তুলনায় শীতের আগাম সবজির সরবরাহ কম। এখন ফুলকপি, শিম, মূলা ও লাউ বাজারে আসতে শুরু করেছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের সবজির দাম আরও কমে যাবে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বাজারে উঠছে শীতকালীন সবজি -সংবাদ
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
পুরোদমে শীতের আবহ এখনো তৈরি না হলেও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজারে সরবরাহ বেড়েছে শীতের আগাম সবজির। আর এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে ফুলকপি, শিম, লাউ মূলাসহ নানান শীতের সবজি। এতে শুরুর দিকে দাম চড়া থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম এখন কমতে শুরু করেছে। ন্যায্য মূল্য পেয়ে খুশি কৃষকরাও।
বিক্রেতারা বলছেন, বেশি লাভের আশায় কৃষকরা শীতের আগাম সবজি চাষ করে থাকেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই আসতে শুরু করেছে হরেক রকম শীতের সবজি। এতে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে।
গতকাল সোমবার বিকালে গোবিন্দগঞ্জ পৌর কাঁচাবাজার এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এদিন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে লাউ প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা, প্রতিকেজি ফুলকপি ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, সিম ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ধনে পাতা (দেশি) ২০০ টাকা এবং ধনে পাতা (হাইব্রিড) ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ফুলকপি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, সিম ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ধনে পাতা ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা এবং নতুন পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল এই বাজারে। পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন তারা বলেন, ক্রেতাদের আগ্রহ এখন শীতের সবজির ওপর। দিন যত যাবে শীতের আগাম সবজির দামও কমে আসবে। এক সপ্তাহ আগে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সিম এখন ১৬০ টাকা। আবার ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ধনে পাতা বর্তমানে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। পৌর শহরের ঘোষপাড়া থেকে সবজি কিনতে আসা ক্রেতা জোবাইদুর রহমান সাগর বলেন, শীতের আগাম সবজির বর্তমান দাম মোটামুটি হাতের নাগালেই আছে। তবে বেশকিছু দোকানে বেশি দামে সবজি বিক্রি করতে দেখলাম ব্যবসায়ীদের। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি বাড়ানো উচিত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে বাজারে চাহিদার তুলনায় শীতের আগাম সবজির সরবরাহ কম। এখন ফুলকপি, শিম, মূলা ও লাউ বাজারে আসতে শুরু করেছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের সবজির দাম আরও কমে যাবে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে সবজির দাম স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।