ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠার নামে এক কৃষকের ২০ শতাংশ পৈত্রিক জমি জোরপূর্বক দখল ও বনায়নকৃত প্রায় ১৭৫টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক হাবিবুর রহমান।
অভিযোগে জানা যায়, স্কুলের জন্য জমি না দেওয়ায় হাবিবুর রহমানের ওপর শুরু হয় চাপ ও হুমকি।
স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ী মো. শাহনেওয়াজ শাহীন ও তার সমর্থকরা জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিতে শাহনেওয়াজ শাহীন স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রামের কয়েকজনের সম্মতিতে জমি নির্ধারণের সময় হাবিবুর রহমানের জমির একটি অংশে রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজন হলে কিছু গাছ কাটা হয়। কিন্তু এখন তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ২০ শতাংশ পৈত্রিক জমি জোর করে নিতে চায় শাহীন ও তার সমর্থকরা। আমি রাজী না হওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর তারা প্রথমে ২৫টি গাছ কেটে ফেলে, পরে ২৫ অক্টোবর আরও ১৬০টি গাছ কেটে নেয়। থানায় অভিযোগ করার পরও হুমকি অব্যাহত থাকায় জীবন বাঁচাতে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।
ভুক্তভোগীর আত্মীয় মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা বললেও উদ্দেশ্য আসলে খাসজমি দখল করে এবং সৌন্দর্য বর্ধনে হাবিবুর রহমানের জায়গা নিয়ে মাছের প্রজেক্ট করা। কারণ, এলাকায় ইতোমধ্যে অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে কামিল মাদ্রাসা, সাইচাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চান্দপুর হাই স্কুলসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাস্তাঘাট নেই, অনুন্নত একটি এলাকা।
হাবিবুর রহমানের জমির বিপরীতে বিনিময়ে আরও ১৭ শতাংশ জমি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবর থানায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হলে এ এলাকার মানুষ আলোকিত হবে।
ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন রুহুল বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন এবং উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য এসিল্যান্ডকে বলে দিয়েছি।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে আগামী শুক্রবার থানায় ডেকেছি, সমাধান না হলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠার নামে এক কৃষকের ২০ শতাংশ পৈত্রিক জমি জোরপূর্বক দখল ও বনায়নকৃত প্রায় ১৭৫টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক হাবিবুর রহমান।
অভিযোগে জানা যায়, স্কুলের জন্য জমি না দেওয়ায় হাবিবুর রহমানের ওপর শুরু হয় চাপ ও হুমকি।
স্থানীয় কয়লা ব্যবসায়ী মো. শাহনেওয়াজ শাহীন ও তার সমর্থকরা জানান, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিতে শাহনেওয়াজ শাহীন স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। গ্রামের কয়েকজনের সম্মতিতে জমি নির্ধারণের সময় হাবিবুর রহমানের জমির একটি অংশে রাস্তা নির্মাণের প্রয়োজন হলে কিছু গাছ কাটা হয়। কিন্তু এখন তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ২০ শতাংশ পৈত্রিক জমি জোর করে নিতে চায় শাহীন ও তার সমর্থকরা। আমি রাজী না হওয়ায় ৯ সেপ্টেম্বর তারা প্রথমে ২৫টি গাছ কেটে ফেলে, পরে ২৫ অক্টোবর আরও ১৬০টি গাছ কেটে নেয়। থানায় অভিযোগ করার পরও হুমকি অব্যাহত থাকায় জীবন বাঁচাতে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।
ভুক্তভোগীর আত্মীয় মো. সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, স্কুল প্রতিষ্ঠার কথা বললেও উদ্দেশ্য আসলে খাসজমি দখল করে এবং সৌন্দর্য বর্ধনে হাবিবুর রহমানের জায়গা নিয়ে মাছের প্রজেক্ট করা। কারণ, এলাকায় ইতোমধ্যে অর্ধ কিলোমিটারের মধ্যে কামিল মাদ্রাসা, সাইচাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ও চান্দপুর হাই স্কুলসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। রাস্তাঘাট নেই, অনুন্নত একটি এলাকা।
হাবিবুর রহমানের জমির বিপরীতে বিনিময়ে আরও ১৭ শতাংশ জমি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবর থানায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। স্কুলটি প্রতিষ্ঠা হলে এ এলাকার মানুষ আলোকিত হবে।
ফতেহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন রুহুল বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন এবং উভয় পক্ষকে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য এসিল্যান্ডকে বলে দিয়েছি।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন অভিযোগ পেয়েছি। উভয় পক্ষকে আগামী শুক্রবার থানায় ডেকেছি, সমাধান না হলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।