ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উলিপুর শহরের মসজিদুল হুদা মোড়ে সচেতন ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নিহত নবজাতকের নানী রূবিনা বেগম, ছাত্র নেতা নাজমুল হাসান, মনির হোসাইন, সারফারাজ সৌরভ, আসাদুজ্জামান আসাদ, রোমিও হাসান প্রমুখ।
এ সময় তারা বলেন, উলিপুর ডক্টরস্ কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সকল ক্লিনিকের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তদন্ত করতে হবে। উক্ত ক্লিনিকের সকল ডাক্তার-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মালিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্টরস্ ক্লিনিকসহ যে সকল ক্লিনিকে রক্ত বাণিজ্য হয় সে সকল ক্লিনিক বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর উলিপুর ডক্টরস্ কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌরসভার নাড়িকেলবাড়ি এলাকার বেলাল বকসীর স্ত্রী বিথি খাতুনকে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই নবজাতক জন্মগ্রহণ করেন। এ সময় নবজাতকের মায়ের জরায়ু কেটে ফেলা হয় এবং সেখানে ১২টি সেলাই দেয়া হয়। এরপর নবজাতকের শ্বাসকষ্ট হলে পরদিন ২১ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিহত নবজাতকের বাবা বেলাল বকসী বাদী হয়ে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উলিপুর ডক্টরস্ কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালক ডা. লোকমান হাকিম জানান, ওই রোগীর প্রথম সন্তান ছিল এটি। এ কারনে পরিবারের পক্ষ থেকে সিজারিয়ান না করার অনুরোধ ছিল। ফলে জরায়ু অপারেশন করে নবজাতককে বের করা হয়। এ সময় নবজাতকের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে নবজাতকের মায়ের চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে ভিকটিমের পরিবারের সাথে আলোচনা করে মিমাংসা করা হয়। বর্তমানে একটি তৃতীয় পক্ষ ক্লিনিকের সুনামক্ষুন্নœ ও ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের জন্য মানববন্ধন করেছে। এছাড়া ভুল চিকিৎসার বিষয়টি সত্য নয়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরে শুনেছি উভয় পক্ষ মিমাংসা করেছে। যেহেতু ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে উলিপুর শহরের মসজিদুল হুদা মোড়ে সচেতন ছাত্র জনতার ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, নিহত নবজাতকের নানী রূবিনা বেগম, ছাত্র নেতা নাজমুল হাসান, মনির হোসাইন, সারফারাজ সৌরভ, আসাদুজ্জামান আসাদ, রোমিও হাসান প্রমুখ।
এ সময় তারা বলেন, উলিপুর ডক্টরস্ কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সকল ক্লিনিকের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে তদন্ত করতে হবে। উক্ত ক্লিনিকের সকল ডাক্তার-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মালিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ডক্টরস্ ক্লিনিকসহ যে সকল ক্লিনিকে রক্ত বাণিজ্য হয় সে সকল ক্লিনিক বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর উলিপুর ডক্টরস্ কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌরসভার নাড়িকেলবাড়ি এলাকার বেলাল বকসীর স্ত্রী বিথি খাতুনকে সন্তান প্রসবের জন্য ভর্তি করা হয়। ওই রাতেই নবজাতক জন্মগ্রহণ করেন। এ সময় নবজাতকের মায়ের জরায়ু কেটে ফেলা হয় এবং সেখানে ১২টি সেলাই দেয়া হয়। এরপর নবজাতকের শ্বাসকষ্ট হলে পরদিন ২১ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকের মৃত্যু হয়। পরে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিহত নবজাতকের বাবা বেলাল বকসী বাদী হয়ে ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে উলিপুর ডক্টরস্ কমিউনিটি ক্লিনিকের পরিচালক ডা. লোকমান হাকিম জানান, ওই রোগীর প্রথম সন্তান ছিল এটি। এ কারনে পরিবারের পক্ষ থেকে সিজারিয়ান না করার অনুরোধ ছিল। ফলে জরায়ু অপারেশন করে নবজাতককে বের করা হয়। এ সময় নবজাতকের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিয়ে নবজাতকের মায়ের চিকিৎসাসহ অন্যান্য বিষয়ে ভিকটিমের পরিবারের সাথে আলোচনা করে মিমাংসা করা হয়। বর্তমানে একটি তৃতীয় পক্ষ ক্লিনিকের সুনামক্ষুন্নœ ও ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের জন্য মানববন্ধন করেছে। এছাড়া ভুল চিকিৎসার বিষয়টি সত্য নয়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিল্লুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ভিকটিমকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরে শুনেছি উভয় পক্ষ মিমাংসা করেছে। যেহেতু ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে মানববন্ধন হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।