বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জনবল সংকট ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহু বেকার যুবক ঋণ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। নিয়ম মেনে প্রশিক্ষণ শেষ করেও তারা আত্মকর্মসংস্থান গড়ার জন্য অফিসে ঘুরে ঘুরে ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে-এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আত্মকর্মসংস্থান ও পরিবারভিত্তিক কর্মসূচির আওতায় মোট ১,৪৫৯ জন ঋণগ্রহীতা ৪ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা পেয়েছেন। এর মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন যুবক ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেয়েছেন এবং পরিবারভিত্তিক কর্মসূচিতে প্রতি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
অফিসের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৪ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৫২৫ টাকা আদায় হয়েছে। তবে এখনো ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৪৭৫ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ, যা আদায়ে কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। অফিস সূত্রে জানা যায়, মাঠ পর্যায়ে অনেক ঋণগ্রহীতা কিস্তি পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। ফলে আদায়ের হার সন্তোষজনক নয়।
সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রাম অফিসে যোগদান করেন। তবে গত কয়েক বছরে ঋণ খেলাপি আদায় প্রক্রিয়ায় আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সমাজের শিক্ষিত যুবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা অনেকেই যুব উন্নয়ন অফিসের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু ঋণ না পেয়ে এখন হতাশ। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগও কমে যাচ্ছে।
নন্দীগ্রামের কয়েকজন যুবক জানান, প্রশিক্ষণ শেষে প্রকল্পের অনুমোদন বা অর্থ ছাড়ে বিলম্ব হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের অভাবে প্রকৃত উদ্যোক্তারা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, রকেটের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের সুযোগ থাকলেও অনেক ঋণগ্রহীতা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধে অনীহা দেখাচ্ছেন। এতে আদায় ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে খেলাপি ঋণ আদায়ে প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে নতুন ঋণ বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। তবে খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, যথাযথ তদারকি ও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা গেলে নন্দীগ্রামের শত শত প্রশিক্ষিত যুবক আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারবে। এতে একদিকে কমবে বেকারত্ব, অন্যদিকে বাড়বে স্থানীয় অর্থনীতির গতি।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জনবল সংকট ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহু বেকার যুবক ঋণ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন। নিয়ম মেনে প্রশিক্ষণ শেষ করেও তারা আত্মকর্মসংস্থান গড়ার জন্য অফিসে ঘুরে ঘুরে ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে-এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আত্মকর্মসংস্থান ও পরিবারভিত্তিক কর্মসূচির আওতায় মোট ১,৪৫৯ জন ঋণগ্রহীতা ৪ কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা পেয়েছেন। এর মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় প্রতিজন যুবক ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেয়েছেন এবং পরিবারভিত্তিক কর্মসূচিতে প্রতি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
অফিসের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৪ কোটি ১২ লাখ ৯২ হাজার ৫২৫ টাকা আদায় হয়েছে। তবে এখনো ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৪৭৫ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খেলাপি ঋণ, যা আদায়ে কর্মকর্তারা হিমশিম খাচ্ছেন। অফিস সূত্রে জানা যায়, মাঠ পর্যায়ে অনেক ঋণগ্রহীতা কিস্তি পরিশোধে অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন। ফলে আদায়ের হার সন্তোষজনক নয়।
সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর নন্দীগ্রাম অফিসে যোগদান করেন। তবে গত কয়েক বছরে ঋণ খেলাপি আদায় প্রক্রিয়ায় আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সমাজের শিক্ষিত যুবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা অনেকেই যুব উন্নয়ন অফিসের প্রশিক্ষণ নিয়েছি। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু ঋণ না পেয়ে এখন হতাশ। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগও কমে যাচ্ছে।
নন্দীগ্রামের কয়েকজন যুবক জানান, প্রশিক্ষণ শেষে প্রকল্পের অনুমোদন বা অর্থ ছাড়ে বিলম্ব হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে যথাযথ যাচাই-বাছাইয়ের অভাবে প্রকৃত উদ্যোক্তারা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, রকেটের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের সুযোগ থাকলেও অনেক ঋণগ্রহীতা নিয়মিত কিস্তি পরিশোধে অনীহা দেখাচ্ছেন। এতে আদায় ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে খেলাপি ঋণ আদায়ে প্রতি মাসে গড়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে নতুন ঋণ বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতে চলছে। তবে খেলাপি ঋণ আদায় ও নতুন ঋণ বিতরণ প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহল মনে করছে, যথাযথ তদারকি ও পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করা গেলে নন্দীগ্রামের শত শত প্রশিক্ষিত যুবক আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারবে। এতে একদিকে কমবে বেকারত্ব, অন্যদিকে বাড়বে স্থানীয় অর্থনীতির গতি।
