alt

মোরেলগঞ্জের কমলা চাষে সফল নাসির মল্লিক

গনেশ পাল, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : বাগান পরিচর্যা করছেন নাসির মল্লিক -সংবাদ

বেকার জীবন যে কতবড় অভিষপ্তের তা বলে বুঝানো যাবে না। ছোট ছোট ৫টি ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পাড় করেছি সুখের সন্ধানে কোথাও সুখ মেলেনি। অবশেষে স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। পরিশ্রম মানুষকে সাফল্যের দারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে। এরকম বেকার জীবনের বাস্তবতার গল্প বললেন একজন সফল উদ্যেক্তা কমলা চাষী বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পুটিখালী গ্রামের নাসির উদ্দিন মল্লিক।

সরজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পুটিখালী গ্রামের সফল উদ্যেক্তা কমলা চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিক। তার পিতা তৈয়ব আলী মল্লিক একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী, ৩ ভাইয়ের মধ্য সফল চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিক বড়, ছোট দুই ভাই খুলনা বিভাগীয় শহরে থাকে। সংসারের বড় ছেলে হিসাবে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ পিতা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। পিতার সামান্য বসত বাড়ি সহ ২ বিঘা জমি থেকে কোন মত সংসার চলে। বেকারে জীবনে পার করতে হয় তার। চাষী নাসির উদ্দিনের দীর্ঘ বছরে বেকার জীবনে অনেক কষ্টে দিনপাত করতে হয়েছে। তবে তার স্বপ্ন ছিল বেকার থাকবে না। কিছু একটা করে সংসারের চাকা ঘুরাতে হবে। এমনি করে ইউটিউব থেকে দেখে চুয়াডংগার একটি কমলা বাগান থেকে প্রথমে তিনি ৫০টি চায়না কমলার চারা কিনে আনেন ১২৫ টাকা দরে। ২০২০ সালে সাড়ে ৭ কাঠা জমিতে ৫০টি এ কমলা চারা রোপন করে চাষ শুরু করেন। ১ বছর পরে সফল এ চাষীর নাসির উদ্দিন মল্লিকের গাছে ফলন আসে।

প্রাথমিক ভাবে এক একটি গাছে ২৫/৩০টি কমলা ফল হয়। গত বছর তিনি এ বাগান থেকে ১৭ মন ২৩ কেজি কমলা ফল বিক্রি করেছেন প্রতি মন ১৩ হাজার ২ শত টাকা দরে। প্রায় তিনি ৩ লক্ষ টাকার ফল বিক্রী করেছে এ বাগান থেকে। এ বছরে তার কমলা বাগানে ফলন হয়েছে দ্বিগুন যদিও বাজার দর একটু কম। তারপরেও এ কমলা বাগান থেকে ২০ মনের অধিক ফল বাজারজাত করতে পারবেন বলে তিনি জানান।

এ সফল উদ্যেক্তা চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, অতিরিক্ত লবনাক্ততায় যেখানে অন্য ফসল ফলােেত খুবই কষ্ট হয় তার মধ্যেও এ চায়না কমলা তার বাগানে অতিরিক্ত ফলন হয়েছে। এটি সবই সৃষ্টিকর্তার দান। তবে পরিচর্যায় সার্বক্ষনিক পরিবারের লোকজন থাকি। কমলাগুলো খেতেও খুবই মিষ্টি। যে কারনে স্থানীয় বাজারে চাহিদা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলা উপজেলার বেপারীরা এসে বাগান থেকে ফল কেটে নিয়া যায়। গত বছর ১৩ হাজার টাকার বেশি দরে প্রতি মন এ চায়না কমলা বিক্রী হয়েছে। এ বছর বেপারিরা দাম বলছে প্রতি মন ১১ হাজার টাকা। দু-একদিনে মধ্য বাগান থেকে কমলা ফল কর্তন করা হবে। তার এ বাগান থেকে প্রায় ৪ লাক্ষ টাকার চায়না কমলা ফল এ বছর তিনি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

একজন সফল চাষী হিসাবে নাসির মল্লিক আরও বলেন লেখা পড়া শেষ করে সরকারি চাকুরি করতে হবে এমনটা নয়, বিদেশের মাটিতে অর্থ উপার্জনের জন্য লাগাম ঘোড়ার মত ছোটার প্রয়োজন হবে না। এ দেশে বসেই দেশের মাটিতেই সোনা ফলানো সম্ভব হতে পারে একজন সফল উদ্যেক্তা। যদি থাকে অধ্যাবসা আর পরিশ্রম।

এ সম্পের্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিধ সাইফুল ইসলাম বলেন এ উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তর থেকে কমলা চাষের কোন প্রকল্প নেই তবে ২/১ জন ব্যাক্তি উদ্যেগে এলাকা ভিত্তিক নিজ বাড়িতে চাষাবাদ করতে পারে পুটিখালী ইউনিয়নে সফল কমলা চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিকের কমলা বাগানের চাষাবাদে ভালো ফলনের বিষয়ে তিনি অবহিত নন। তবে এ চাষীর বাগানের খোঁজ খবর নিয়ে তাকে চাষাবাদে আরও আগ্রহ বৃদ্ধির সাপোর্ট দেওয়া হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

ছবি

সুনামগঞ্জে জমি থেকে ৫ কোটি টাকার বালু চুরির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সাগরে প্রথম জাল ফেলেই ১৪০ মণ ইলিশ ধরলো জেলেরা

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

‘গুলির শব্দ শুনে’ অভিযান: অভিনেতা মন্টুর ছেলেসহ চারজন কারাগারে

ছবি

অবশেষে সংরক্ষণের কাজ চলছে দিনাজপুরের ভগ্নপ্রায় সেই রাজবাড়ির

ছবি

মোন্থার প্রভাবে ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে ‘নিখোঁজ’ ডিআইজি এহসানউল্লাহ

ছবি

অজ্ঞাতনামা লাশ আর কারা হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় জনমনে সন্দেহ: এমএসএফ

জয়দেবপুর রেলক্রসিং: দোকান আর অটোরিকশার দাপট, জনদুর্ভোগ চরমে

স্বল্পমূল্যের ওএমএস আটা: দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও অধিকাংশই ব্যর্থ

ছবি

বিশ্বে ভূপৃষ্টের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে

ছবি

যুদ্ধ বন্ধের আশা হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

ছবি

জয়পুরহাটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতির অনুমোদন

ছবি

মহাদেবপুরে নির্বিঘ্নে সার ও বীজ সরবরাহে মতবিনিময় সভা

ছবি

সাঘাটায় মেয়াদের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও বাস্তবায়ন হয়নি এডিপি প্রকল্প

ছবি

শেরপুরে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

ছবি

শেরপুরে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

ছবি

জাল স্বাক্ষরে পদত্যাগপত্র তৈরির অভিযোগ মোরেলগঞ্জে ১৫ বছর ধরে নিজ কর্মস্থল থেকে বিতাড়িত অধ্যক্ষ

ছবি

ডিম ছাড়া শেষ, শুরু হলো জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

অবৈধ ড্রেজারের তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

ছবি

কটিয়াদী সড়কে বড় বড় গর্ত, যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

কিশোরগঞ্জে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বিনোদনের প্রাচীন ঐতিহ্য- বানরের খেলা

ছবি

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদক উদ্ধার ও ৯ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ধোবাউড়ায় তুচ্চ ঘটনায় চুরিকাঘাতে খুন, আটক ৩

ছবি

সলঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ

ফকিরহাটে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে লুটপাট

ছবি

নড়াইলে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

মাদকসেবীকে বাঁচাতে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছনা

ছবি

নড়াইলে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

নন্দীগ্রামে প্রশিক্ষণ পেয়েও ঋণ পাচ্ছেন না যুবকরা

ছবি

বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে গলাচিপার গুরিন্দা জামে মসজিদ

ছবি

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার বাঁধ বিলীন

ছবি

দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ইছামতী নদী

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সরাসরি আদেশ দাবি হাসনাতের

tab

মোরেলগঞ্জের কমলা চাষে সফল নাসির মল্লিক

গনেশ পাল, মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট)

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : বাগান পরিচর্যা করছেন নাসির মল্লিক -সংবাদ

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

বেকার জীবন যে কতবড় অভিষপ্তের তা বলে বুঝানো যাবে না। ছোট ছোট ৫টি ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পাড় করেছি সুখের সন্ধানে কোথাও সুখ মেলেনি। অবশেষে স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হয়েছে। পরিশ্রম মানুষকে সাফল্যের দারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে। এরকম বেকার জীবনের বাস্তবতার গল্প বললেন একজন সফল উদ্যেক্তা কমলা চাষী বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পুটিখালী গ্রামের নাসির উদ্দিন মল্লিক।

সরজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, উপজেলার পুটিখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড পুটিখালী গ্রামের সফল উদ্যেক্তা কমলা চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিক। তার পিতা তৈয়ব আলী মল্লিক একজন অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী, ৩ ভাইয়ের মধ্য সফল চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিক বড়, ছোট দুই ভাই খুলনা বিভাগীয় শহরে থাকে। সংসারের বড় ছেলে হিসাবে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ পিতা পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। পিতার সামান্য বসত বাড়ি সহ ২ বিঘা জমি থেকে কোন মত সংসার চলে। বেকারে জীবনে পার করতে হয় তার। চাষী নাসির উদ্দিনের দীর্ঘ বছরে বেকার জীবনে অনেক কষ্টে দিনপাত করতে হয়েছে। তবে তার স্বপ্ন ছিল বেকার থাকবে না। কিছু একটা করে সংসারের চাকা ঘুরাতে হবে। এমনি করে ইউটিউব থেকে দেখে চুয়াডংগার একটি কমলা বাগান থেকে প্রথমে তিনি ৫০টি চায়না কমলার চারা কিনে আনেন ১২৫ টাকা দরে। ২০২০ সালে সাড়ে ৭ কাঠা জমিতে ৫০টি এ কমলা চারা রোপন করে চাষ শুরু করেন। ১ বছর পরে সফল এ চাষীর নাসির উদ্দিন মল্লিকের গাছে ফলন আসে।

প্রাথমিক ভাবে এক একটি গাছে ২৫/৩০টি কমলা ফল হয়। গত বছর তিনি এ বাগান থেকে ১৭ মন ২৩ কেজি কমলা ফল বিক্রি করেছেন প্রতি মন ১৩ হাজার ২ শত টাকা দরে। প্রায় তিনি ৩ লক্ষ টাকার ফল বিক্রী করেছে এ বাগান থেকে। এ বছরে তার কমলা বাগানে ফলন হয়েছে দ্বিগুন যদিও বাজার দর একটু কম। তারপরেও এ কমলা বাগান থেকে ২০ মনের অধিক ফল বাজারজাত করতে পারবেন বলে তিনি জানান।

এ সফল উদ্যেক্তা চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, অতিরিক্ত লবনাক্ততায় যেখানে অন্য ফসল ফলােেত খুবই কষ্ট হয় তার মধ্যেও এ চায়না কমলা তার বাগানে অতিরিক্ত ফলন হয়েছে। এটি সবই সৃষ্টিকর্তার দান। তবে পরিচর্যায় সার্বক্ষনিক পরিবারের লোকজন থাকি। কমলাগুলো খেতেও খুবই মিষ্টি। যে কারনে স্থানীয় বাজারে চাহিদা রয়েছে। পার্শ্ববর্তী জেলা উপজেলার বেপারীরা এসে বাগান থেকে ফল কেটে নিয়া যায়। গত বছর ১৩ হাজার টাকার বেশি দরে প্রতি মন এ চায়না কমলা বিক্রী হয়েছে। এ বছর বেপারিরা দাম বলছে প্রতি মন ১১ হাজার টাকা। দু-একদিনে মধ্য বাগান থেকে কমলা ফল কর্তন করা হবে। তার এ বাগান থেকে প্রায় ৪ লাক্ষ টাকার চায়না কমলা ফল এ বছর তিনি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

একজন সফল চাষী হিসাবে নাসির মল্লিক আরও বলেন লেখা পড়া শেষ করে সরকারি চাকুরি করতে হবে এমনটা নয়, বিদেশের মাটিতে অর্থ উপার্জনের জন্য লাগাম ঘোড়ার মত ছোটার প্রয়োজন হবে না। এ দেশে বসেই দেশের মাটিতেই সোনা ফলানো সম্ভব হতে পারে একজন সফল উদ্যেক্তা। যদি থাকে অধ্যাবসা আর পরিশ্রম।

এ সম্পের্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিধ সাইফুল ইসলাম বলেন এ উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তর থেকে কমলা চাষের কোন প্রকল্প নেই তবে ২/১ জন ব্যাক্তি উদ্যেগে এলাকা ভিত্তিক নিজ বাড়িতে চাষাবাদ করতে পারে পুটিখালী ইউনিয়নে সফল কমলা চাষী নাসির উদ্দিন মল্লিকের কমলা বাগানের চাষাবাদে ভালো ফলনের বিষয়ে তিনি অবহিত নন। তবে এ চাষীর বাগানের খোঁজ খবর নিয়ে তাকে চাষাবাদে আরও আগ্রহ বৃদ্ধির সাপোর্ট দেওয়া হবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।

back to top