বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সেতারা আব্বাস টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পরেই কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাওলানা মো. দিদারুল ইসলাম।
টানা ১৫ বছর বিতাড়িত থাকার পরে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে চাকুরি ফেরতসহ নিজ এলাকায় ফিরতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে তাকে কলেজ কমিটি সাময়িক ও চূড়ান্ত বরখাস্ত করে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আপিল আর্বিট্রেশন সেলের অনুমোদন নেওয়া হয়নি ওই বরখাস্তের বিষয়ে। এর কয়েক মাস পরে আবার দেখানো হয় তার পদত্যাগপত্র ও চুড়ান্ত অব্যাহতি। এসব কারনে ২০১৫ সালে তার এমপিও বাতিল হয় এবং তিনি কলেজ থেকে ‘নাই’ হয়ে যান।
জানা গেছে, ২০০১ সালে সুন্দরবন টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন মাওলানা দিদারুল ইসলাম। নিয়োগ পান অধ্যক্ষ পদে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে স্বীকৃতি পায় কলেজটি। এর কিছুদিন পরে তৎকালীন এমপি ড. মিয়া আব্বাস উদ্দিন প্রভাব ও কৌশল খাটিয়ে কলেজটি তার করে নেন। নিজের ও স্ত্রীর নামে নামকরণ করে কলেজটির নামকরণ করা হয়, সেতারা আব্বাস টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ।
নাম পরিবর্তনের পরেও মাওলানা দিদারুল ইসলামকে অধ্যক্ষ হিসেবেই রাখা হয় ২০১০ সাল পর্যন্ত। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে মাওলানা দিদারুল ইসলামকে একটি প্রেসার বাহিনী দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে একটি মহল। ওই মাসেই কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া অধ্যক্ষের পদ থেকে সাময়িক ও চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয় তাকে। বিধান থাকা স্বত্ত্বেও বরখাস্তের সিদ্ধান্তে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আপিল আর্বিট্রেশন সেলের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। একই বছরের জুলাই মাসে আবার স্বাক্ষর জাল করে পদত্যাগপত্র জমা দেখিয়ে তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দেয় কমিটি। অথচ ওই সময়ে কলেজটি পরিচালনার জন্য কোন কমিটি ছিলোনা। জাল স্বাক্ষর দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরীও করে রেখেছেন দিদারুল ইসলাম। এর পরে আর কলেজমুখী হতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে দিদারুল ইসলাম বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সময় ও অর্থ দুটোই খুইয়েছি। এখন সংসার চালাতে পারছিনা। শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থানসহ সবকিছু বিবেচনায় কষ্টে দিন যাচ্ছে। নিজ হাতে কলেজ করেছি। যোগ্যতার প্রমান দিয়ে চাকুরি পেয়েছি। নানা চক্রান্তে ১৫টি বছর পথে পথে কাটিয়েছি। এখন অধিকার ও ন্যায্যতারভিত্তিতে চাকুরি ফিরে চাই।
সেতারা আব্বাস টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাওলানা দিদারুল ইসলাম একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে মোটা বেতনে চাকুরি পেয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে ২০১০ সালে চলে গেছেন। ২০১৫ সালে তার এমপিও বাতিল হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি কলেজে ফেরার জন্য কারিগরি বোর্ডে আবেদন ও পৃথক দুটি রিট পিটিশন দায়ের করলে রিট দুটি মহামান্য হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন বলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান। এখন যদি তিনি (দিদারুল ইসলাম) কলেজে আবার ফিরতে চান সেটা অবশ্যই আইনগত বিষয়।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা দিদারুল ইসলামের একটি অভিযোগ কলেজের বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার দপ্তরে প্রাথমিক সুনানি হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের আলোকে রয়েছে।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে সেতারা আব্বাস টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পরেই কলেজ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মাওলানা মো. দিদারুল ইসলাম।
টানা ১৫ বছর বিতাড়িত থাকার পরে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে চাকুরি ফেরতসহ নিজ এলাকায় ফিরতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে তাকে কলেজ কমিটি সাময়িক ও চূড়ান্ত বরখাস্ত করে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আপিল আর্বিট্রেশন সেলের অনুমোদন নেওয়া হয়নি ওই বরখাস্তের বিষয়ে। এর কয়েক মাস পরে আবার দেখানো হয় তার পদত্যাগপত্র ও চুড়ান্ত অব্যাহতি। এসব কারনে ২০১৫ সালে তার এমপিও বাতিল হয় এবং তিনি কলেজ থেকে ‘নাই’ হয়ে যান।
জানা গেছে, ২০০১ সালে সুন্দরবন টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন মাওলানা দিদারুল ইসলাম। নিয়োগ পান অধ্যক্ষ পদে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে স্বীকৃতি পায় কলেজটি। এর কিছুদিন পরে তৎকালীন এমপি ড. মিয়া আব্বাস উদ্দিন প্রভাব ও কৌশল খাটিয়ে কলেজটি তার করে নেন। নিজের ও স্ত্রীর নামে নামকরণ করে কলেজটির নামকরণ করা হয়, সেতারা আব্বাস টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ।
নাম পরিবর্তনের পরেও মাওলানা দিদারুল ইসলামকে অধ্যক্ষ হিসেবেই রাখা হয় ২০১০ সাল পর্যন্ত। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে মাওলানা দিদারুল ইসলামকে একটি প্রেসার বাহিনী দিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে একটি মহল। ওই মাসেই কোন প্রকার নোটিশ ছাড়া অধ্যক্ষের পদ থেকে সাময়িক ও চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয় তাকে। বিধান থাকা স্বত্ত্বেও বরখাস্তের সিদ্ধান্তে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আপিল আর্বিট্রেশন সেলের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। একই বছরের জুলাই মাসে আবার স্বাক্ষর জাল করে পদত্যাগপত্র জমা দেখিয়ে তাকে চূড়ান্ত অব্যাহতি দেয় কমিটি। অথচ ওই সময়ে কলেজটি পরিচালনার জন্য কোন কমিটি ছিলোনা। জাল স্বাক্ষর দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরীও করে রেখেছেন দিদারুল ইসলাম। এর পরে আর কলেজমুখী হতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে দিদারুল ইসলাম বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সময় ও অর্থ দুটোই খুইয়েছি। এখন সংসার চালাতে পারছিনা। শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক অবস্থানসহ সবকিছু বিবেচনায় কষ্টে দিন যাচ্ছে। নিজ হাতে কলেজ করেছি। যোগ্যতার প্রমান দিয়ে চাকুরি পেয়েছি। নানা চক্রান্তে ১৫টি বছর পথে পথে কাটিয়েছি। এখন অধিকার ও ন্যায্যতারভিত্তিতে চাকুরি ফিরে চাই।
সেতারা আব্বাস টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাওলানা দিদারুল ইসলাম একটি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে মোটা বেতনে চাকুরি পেয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে ২০১০ সালে চলে গেছেন। ২০১৫ সালে তার এমপিও বাতিল হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি কলেজে ফেরার জন্য কারিগরি বোর্ডে আবেদন ও পৃথক দুটি রিট পিটিশন দায়ের করলে রিট দুটি মহামান্য হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন বলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান। এখন যদি তিনি (দিদারুল ইসলাম) কলেজে আবার ফিরতে চান সেটা অবশ্যই আইনগত বিষয়।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা দিদারুল ইসলামের একটি অভিযোগ কলেজের বর্তমান সভাপতি ও উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার দপ্তরে প্রাথমিক সুনানি হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের আলোকে রয়েছে।
