alt

যুদ্ধ বন্ধের আশা হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম : শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

‘আমরা জীবন পুনর্গঠন প্রচেষ্টার জন্য একটি বাস্তব সুযোগের অপেক্ষায় আছি। যুদ্ধের পর প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আবার সবকিছু ঠিকঠাক করতে শুরু করেছিলাম। তারপরও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হয়। সৌভাগ্যক্রমে এটি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বারবার ইসরায়েলের হামলায় মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসত আমাদের মিলছে না। ভয়ে আছি, কখন আবার হামলা হয়!’ গাজার বাসিন্দা মাজেন শাহীন আলজাজিরাকে এসব কথা বলেন। ইসরায়েলের ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে অনেক ফিলিস্তিনি আশা হারিয়ে ফেলছেন।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের বারবার হামলায় গাজার বাসিন্দাদের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দখলদার বাহিনী যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে– এই শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। বাস্তুচ্যুত মানুষ ঘরে ফিরে জীবন গোছাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের রাত কাটছে নির্ঘুম।

গাজা শহরের বাসিন্দা হাসান লুব্বাদ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজাজুড়ে নতুন হামলার পরে ভেবেছিলাম, কিছুটা নিরাপত্তা ও শান্তি আসবে জনপদে। নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলাম। যারা বিশ্বাস করেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে; হামলার শঙ্কায় তারা আবারও ভয়ের মধ্যে বাস করছেন।’

এ অবস্থায় বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন– এই যুদ্ধবিরতি দিয়ে কী হলো। এর মাধ্যমে শান্তি তো আসেনি। বরং প্রতিনিয়ত কখন হামলার মুখে পড়বে নিষ্পাপ শিশুরা– সেই শঙ্কা কাজ করছে। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। প্রথম দিকে গাজায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বারবার ইসরায়েলি লঙ্ঘনের ফলে ফিলিস্তিনিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। দুই বছর আগের যে জীবন ছিল তাদের, সেই জীবন আর ফিরে পাওয়ার আশা নেই।

গত বুধবার এক দিনের হামলায় ১০৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। দক্ষিণ গাজায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলায় আহত হন ২৫৩ জন, যা এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন। তবে হামলা থেমে নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ১০টি বিমান হামলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ‘পুনরায় শুরু’র ঘোষণা দিয়ে তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামলায় ২১১ জন নিহত এবং ৫৯৭ জন আহত হয়েছেন। গত দুই বছরে ৬৮ হাজার ৫২৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছেন। গত ১০ অক্টোবর গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অধীনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয় হামাস। দ্বিতীয় দফার পরিকল্পনায় গাজার পুনর্গঠন ও হামাস ছাড়াই একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা আছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রশ্ন, আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি কোথায়? কোথায় সেই মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো, যারা শান্তির ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল? বুধবারের হামলায় শাহীনের এক বন্ধু গুরুতর আহত হন। গাজা শহরের বাসিন্দা সুহা আওয়াদ বলছেন, ‘আমরা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চাই। আমরা কেবল নিরাপদে থাকতে চাই। যুদ্ধবিরতির প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতি চাই; কেবল এক বা দুই সপ্তাহের জন্য হবে না।’

ছবি

সুনামগঞ্জে জমি থেকে ৫ কোটি টাকার বালু চুরির অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

সাগরে প্রথম জাল ফেলেই ১৪০ মণ ইলিশ ধরলো জেলেরা

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে রোহিঙ্গা যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

‘গুলির শব্দ শুনে’ অভিযান: অভিনেতা মন্টুর ছেলেসহ চারজন কারাগারে

ছবি

অবশেষে সংরক্ষণের কাজ চলছে দিনাজপুরের ভগ্নপ্রায় সেই রাজবাড়ির

ছবি

মোন্থার প্রভাবে ৩ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস

সারদা পুলিশ একাডেমি থেকে ‘নিখোঁজ’ ডিআইজি এহসানউল্লাহ

ছবি

অজ্ঞাতনামা লাশ আর কারা হেফাজতে মৃত্যু বেড়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকায় জনমনে সন্দেহ: এমএসএফ

জয়দেবপুর রেলক্রসিং: দোকান আর অটোরিকশার দাপট, জনদুর্ভোগ চরমে

স্বল্পমূল্যের ওএমএস আটা: দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও অধিকাংশই ব্যর্থ

ছবি

বিশ্বে ভূপৃষ্টের তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে

ভোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

ছবি

জয়পুরহাটে চিলাহাটি এক্সপ্রেস যাত্রাবিরতির অনুমোদন

ছবি

মহাদেবপুরে নির্বিঘ্নে সার ও বীজ সরবরাহে মতবিনিময় সভা

ছবি

সাঘাটায় মেয়াদের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও বাস্তবায়ন হয়নি এডিপি প্রকল্প

ছবি

শেরপুরে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

ছবি

শেরপুরে নাবিল হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

ছবি

জাল স্বাক্ষরে পদত্যাগপত্র তৈরির অভিযোগ মোরেলগঞ্জে ১৫ বছর ধরে নিজ কর্মস্থল থেকে বিতাড়িত অধ্যক্ষ

ছবি

ডিম ছাড়া শেষ, শুরু হলো জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

অবৈধ ড্রেজারের তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি

ছবি

কটিয়াদী সড়কে বড় বড় গর্ত, যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

কিশোরগঞ্জে খাল ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ বিনোদনের প্রাচীন ঐতিহ্য- বানরের খেলা

ছবি

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদক উদ্ধার ও ৯ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ধোবাউড়ায় তুচ্চ ঘটনায় চুরিকাঘাতে খুন, আটক ৩

ছবি

সলঙ্গায় প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ

ফকিরহাটে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে লুটপাট

ছবি

নড়াইলে ২ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

ছবি

মাদকসেবীকে বাঁচাতে সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছনা

ছবি

নড়াইলে চাষিদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

মোরেলগঞ্জের কমলা চাষে সফল নাসির মল্লিক

ছবি

নন্দীগ্রামে প্রশিক্ষণ পেয়েও ঋণ পাচ্ছেন না যুবকরা

ছবি

বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে গলাচিপার গুরিন্দা জামে মসজিদ

ছবি

চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙনে ৩০ মিটার বাঁধ বিলীন

ছবি

দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ইছামতী নদী

ছবি

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সরাসরি আদেশ দাবি হাসনাতের

tab

যুদ্ধ বন্ধের আশা হারাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

বিদেশী সংবাদ মাধ্যম

শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

‘আমরা জীবন পুনর্গঠন প্রচেষ্টার জন্য একটি বাস্তব সুযোগের অপেক্ষায় আছি। যুদ্ধের পর প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আবার সবকিছু ঠিকঠাক করতে শুরু করেছিলাম। তারপরও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘিত হয়। সৌভাগ্যক্রমে এটি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বারবার ইসরায়েলের হামলায় মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসত আমাদের মিলছে না। ভয়ে আছি, কখন আবার হামলা হয়!’ গাজার বাসিন্দা মাজেন শাহীন আলজাজিরাকে এসব কথা বলেন। ইসরায়েলের ক্রমাগত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কারণে অনেক ফিলিস্তিনি আশা হারিয়ে ফেলছেন।

যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের বারবার হামলায় গাজার বাসিন্দাদের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দখলদার বাহিনী যে কোনো সময় হামলা চালাতে পারে– এই শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। বাস্তুচ্যুত মানুষ ঘরে ফিরে জীবন গোছাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাদের রাত কাটছে নির্ঘুম।

গাজা শহরের বাসিন্দা হাসান লুব্বাদ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজাজুড়ে নতুন হামলার পরে ভেবেছিলাম, কিছুটা নিরাপত্তা ও শান্তি আসবে জনপদে। নতুন আশায় বুক বেঁধেছিলাম। যারা বিশ্বাস করেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে; হামলার শঙ্কায় তারা আবারও ভয়ের মধ্যে বাস করছেন।’

এ অবস্থায় বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন– এই যুদ্ধবিরতি দিয়ে কী হলো। এর মাধ্যমে শান্তি তো আসেনি। বরং প্রতিনিয়ত কখন হামলার মুখে পড়বে নিষ্পাপ শিশুরা– সেই শঙ্কা কাজ করছে। চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়। প্রথম দিকে গাজায় কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বারবার ইসরায়েলি লঙ্ঘনের ফলে ফিলিস্তিনিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। দুই বছর আগের যে জীবন ছিল তাদের, সেই জীবন আর ফিরে পাওয়ার আশা নেই।

গত বুধবার এক দিনের হামলায় ১০৪ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েল। দক্ষিণ গাজায় বেশ কয়েকটি বিমান হামলায় আহত হন ২৫৩ জন, যা এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির সবচেয়ে বড় লঙ্ঘন। তবে হামলা থেমে নেই।

গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ১০টি বিমান হামলা হয়েছে। যুদ্ধবিরতি ‘পুনরায় শুরু’র ঘোষণা দিয়ে তারা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামলায় ২১১ জন নিহত এবং ৫৯৭ জন আহত হয়েছেন। গত দুই বছরে ৬৮ হাজার ৫২৭ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছেন। গত ১০ অক্টোবর গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার অধীনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। প্রথম পর্যায়ে প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি দেয় হামাস। দ্বিতীয় দফার পরিকল্পনায় গাজার পুনর্গঠন ও হামাস ছাড়াই একটি নতুন শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা বলা আছে।

ফিলিস্তিনিদের প্রশ্ন, আন্তর্জাতিক গ্যারান্টি কোথায়? কোথায় সেই মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো, যারা শান্তির ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল? বুধবারের হামলায় শাহীনের এক বন্ধু গুরুতর আহত হন। গাজা শহরের বাসিন্দা সুহা আওয়াদ বলছেন, ‘আমরা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান ও সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি চাই। আমরা কেবল নিরাপদে থাকতে চাই। যুদ্ধবিরতির প্রতি পূর্ণ প্রতিশ্রুতি চাই; কেবল এক বা দুই সপ্তাহের জন্য হবে না।’

back to top