তিন বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি পেলেও এখন পর্যন্ত বৃত্তির টাকা পায়নি মেধাবী শিক্ষার্থীরা। বৃত্তির টাকা না পাওয়ায় চরম হতাশা আর ক্ষোভে ফুঁসছেন ঘিওর উপজেলার ৫৪ জন বৃত্তি পাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার।
ঘিওর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানা গেছে, ২০২২সালের সর্বশেষ বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলায় মোট ৫৪ জনঅংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ২৭ জন এবং সাধারন গ্রেডে ২১জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে। দীর্ঘ তিনটি বছর অতিবাহিত হবার পরেও কোনো শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা পায়নি। এ বিষয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপাপ্ত একজন শিক্ষার্থী জানান, ৫ম শ্রেনী থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছি। এখন আমি ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করি। এ পর্যন্ত আমার প্রাপ্য টাকা পায়নি। আমাদের বৃত্তিপাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের একাউন্টে টাকা আসার কথা ছিল। আমরা ব্যাংকে গিয়ে খোজ খবর নিয়েছি। কিন্তু আমাদের টাকা আসেনি। একজন অভিভাবক বলেন, ছেলে মেয়েরা অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। অনেক পরিবার খুবই দরিদ্র। প্রতি মাসে খিছু টাকা পেলে অনেক কাছে লাগতো। বর্তমানে মনোবল হারিয়ে ফেলছে অনেকেই।
বড়টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আমাদের কাছে বৃত্তির টাকার ব্যাপারে খোজ খবর নেয়। শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পরে সরাসরি তাদের একাউন্টে টাকা যাবার কথা। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য টাকা না পাওয়ায় তাদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার পারভীন বলেন, আমি যতদুর যানি শিক্ষার্থীদের গেজেট হয়েছে। সারা দেশেই একই অবস্থা । তবে মনে হয় খুব তারাতারি শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পেয়ে যাবে।
ঘিওর ডি, এন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেকেই বৃত্তির টাকা পেয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বৃত্তির টাকা কেন পায়নি তা বলতে পারবোনা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, বৃত্তি হিসাবে শিক্ষার্থীদের যে টাকা দেওয়া হয়। তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হাতে কিছুই নেই। এ ছাড়া অফিসে কোন ফাইল পত্র নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাতিশা তুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেুউ কিছু বলেনি। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে বিষয়টি উপরোক্ত কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
তিন বছর আগে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তি পেলেও এখন পর্যন্ত বৃত্তির টাকা পায়নি মেধাবী শিক্ষার্থীরা। বৃত্তির টাকা না পাওয়ায় চরম হতাশা আর ক্ষোভে ফুঁসছেন ঘিওর উপজেলার ৫৪ জন বৃত্তি পাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার।
ঘিওর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র জানা গেছে, ২০২২সালের সর্বশেষ বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলায় মোট ৫৪ জনঅংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ২৭ জন এবং সাধারন গ্রেডে ২১জন শিক্ষার্থী বৃত্তি লাভ করে। দীর্ঘ তিনটি বছর অতিবাহিত হবার পরেও কোনো শিক্ষার্থী বৃত্তির টাকা পায়নি। এ বিষয়ে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপাপ্ত একজন শিক্ষার্থী জানান, ৫ম শ্রেনী থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছি। এখন আমি ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করি। এ পর্যন্ত আমার প্রাপ্য টাকা পায়নি। আমাদের বৃত্তিপাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের একাউন্টে টাকা আসার কথা ছিল। আমরা ব্যাংকে গিয়ে খোজ খবর নিয়েছি। কিন্তু আমাদের টাকা আসেনি। একজন অভিভাবক বলেন, ছেলে মেয়েরা অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করছে। অনেক পরিবার খুবই দরিদ্র। প্রতি মাসে খিছু টাকা পেলে অনেক কাছে লাগতো। বর্তমানে মনোবল হারিয়ে ফেলছে অনেকেই।
বড়টিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আমাদের কাছে বৃত্তির টাকার ব্যাপারে খোজ খবর নেয়। শিক্ষার্থীরা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার পরে সরাসরি তাদের একাউন্টে টাকা যাবার কথা। বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য টাকা না পাওয়ায় তাদের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার পারভীন বলেন, আমি যতদুর যানি শিক্ষার্থীদের গেজেট হয়েছে। সারা দেশেই একই অবস্থা । তবে মনে হয় খুব তারাতারি শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পেয়ে যাবে।
ঘিওর ডি, এন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেকেই বৃত্তির টাকা পেয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বৃত্তির টাকা কেন পায়নি তা বলতে পারবোনা।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার ভাইজার মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, বৃত্তি হিসাবে শিক্ষার্থীদের যে টাকা দেওয়া হয়। তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের হাতে কিছুই নেই। এ ছাড়া অফিসে কোন ফাইল পত্র নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাতিশা তুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছে কেুউ কিছু বলেনি। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে বিষয়টি উপরোক্ত কর্মকর্তাদের জানানো হবে।