দেবীদ্বার : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে খোলা স্থানে গড়ে ওঠা ময়লার ভাগাড় -সংবাদ
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে খোলা স্থানে ময়লার ভাগাড় তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশের আবাসিক এলাকার সীমানা ঘেঁষে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ ভাগাড় তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে।
এতে হাসপাতালের রোগী, পথচারী ও আশপাশের বাসিন্দারা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের বর্জ্য ও বাসাবাড়ির ময়লা একত্রে ফেলে রাখায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে।
প্রতিবেশী ও ভাড়াটিয়া ডিপ্লোমা চিকিৎসক কুহিনূর আক্তার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ পাশে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে পুরো এলাকায়।
অভিযোগকারী কুহিনূর আক্তার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খানের সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে তাঁর নির্দেশে পরিছন্নতা কর্মীরা খোলা স্থানে ময়লা ফেলছেন। তিনি আরও বলেন, আমার পাশের বাড়ির আরেক ডিপ্লোমা চিকিৎসক একইভাবে রোগী দেখেন, কিন্তু তাঁর প্রতি এমন আচরণ করা হয়নি।
বাড়ির মালিক সফিউল্লাহ মানিক জানান, আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরের রাস্তা ব্যবহার করছি। এখন সেই পথে দুর্গন্ধ ও ময়লার কারণে চলাচল কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশ না করা এক ব্যবসায়ী জানান, দালাল, মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারীদের প্রবেশ ঠেকাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুরপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও কেউ কেউ বস্তা ফেলে, মই লাগিয়ে যাতায়াত করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালালমুক্ত করতে কাজ করছি। ২৯ অক্টোবর এক বালক রোগী বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া খেয়ে সে কুহিনূরের বাসায় আশ্রয় নেয়। এখন তারা শিশুদের দালাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই ওই অবৈধ পথে চলাচল বন্ধে আমরা সেখানে ময়লার ভাগাড় তৈরি করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্মুক্ত স্থানে ময়লার ভাগাড় করা অনুচিত। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দেবীদ্বার : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশে খোলা স্থানে গড়ে ওঠা ময়লার ভাগাড় -সংবাদ
বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে খোলা স্থানে ময়লার ভাগাড় তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ পাশের আবাসিক এলাকার সীমানা ঘেঁষে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ ভাগাড় তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে।
এতে হাসপাতালের রোগী, পথচারী ও আশপাশের বাসিন্দারা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালের বর্জ্য ও বাসাবাড়ির ময়লা একত্রে ফেলে রাখায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েছে।
প্রতিবেশী ও ভাড়াটিয়া ডিপ্লোমা চিকিৎসক কুহিনূর আক্তার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ পাশে উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে, যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে পুরো এলাকায়।
অভিযোগকারী কুহিনূর আক্তার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খানের সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে তাঁর নির্দেশে পরিছন্নতা কর্মীরা খোলা স্থানে ময়লা ফেলছেন। তিনি আরও বলেন, আমার পাশের বাড়ির আরেক ডিপ্লোমা চিকিৎসক একইভাবে রোগী দেখেন, কিন্তু তাঁর প্রতি এমন আচরণ করা হয়নি।
বাড়ির মালিক সফিউল্লাহ মানিক জানান, আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরের রাস্তা ব্যবহার করছি। এখন সেই পথে দুর্গন্ধ ও ময়লার কারণে চলাচল কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
অন্যদিকে, নাম প্রকাশ না করা এক ব্যবসায়ী জানান, দালাল, মাদকাসক্ত ও ছিনতাইকারীদের প্রবেশ ঠেকাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুরপাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও কেউ কেউ বস্তা ফেলে, মই লাগিয়ে যাতায়াত করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে দালালমুক্ত করতে কাজ করছি। ২৯ অক্টোবর এক বালক রোগী বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া খেয়ে সে কুহিনূরের বাসায় আশ্রয় নেয়। এখন তারা শিশুদের দালাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই ওই অবৈধ পথে চলাচল বন্ধে আমরা সেখানে ময়লার ভাগাড় তৈরি করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উন্মুক্ত স্থানে ময়লার ভাগাড় করা অনুচিত। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগের সত্যতা পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।