দুমকি (পটুয়াখালী) : আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি -সংবাদ
পটুয়াখালীর দুমকিতে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের আমন ধানের ক্ষেত গাঢ় সবুজে ভরে গেছে। হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় দিগন্ত জোড়া আমনের চারা হেলে দুলে প্রকৃতিকে স্বাগত জানাচ্ছে। আর এই বৈচিত্র্যময় দৃশ্য দেখে কৃষক সম্ভাবনার স্বপ্ন বুনছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অপরূপ সৌন্দর্য আর সবুজের সমারোহে প্রকৃতিকে যেন বিমোহিত করে তুলে তুলছে প্রতিটি আমান ক্ষেতের মাঠ।
প্রতি গ্রামের কৃষকরা আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবার পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনে তৎপর রয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার শ্রীরামপুর, আংগারিয়া, মুরাদিয়া, লেবুখালী ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করায় কোন কোন জমিতে পাকা শুরু হয়েছে। কোন কোন জমিতে ধানের শীষ উঁকিঝুঁকি দয়া শুরু করছে এবং অবশিষ্ট জমিতে গামর এসেছে। দৈনিক সংবাদ অনুসন্ধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘূরে দেখা যায়, প্রায় সব মাঠেই আমন ধানের চারা সবুজে সবুজে ভরে গেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমিতে পরিনত হয়েছে পুরো মাঠ জুড়ে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কৃষক আবদুস সোবহান মৃধা বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়মতো আমন চারা রোপণ করায় এবং এখন পর্যন্ত কোনো রিপু না হ?ওয়ায় আমন চারা বেশ ভালো হয়েছে। আশাকরি বিগত বছরের তুলনায় এবছর ভালো ফলন পাবো।মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কৃষক আ: ছালাম মৃধা জানান, আমাদের এলাকায় প্রতিটি মাঠেই এবছর আমন চারা ভালো হয়েছে।
কৃষকদের মুখে মুখে ভালো ফলনের কথা শোনা যাচ্ছে। আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।এব্যাপারে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, কৃষকদের আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। অত্র এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। নদী বিধৌত পলি বেষ্টিত জমি আমন ধান চাষের জন্য উপযোগী।
ইতিমধ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ধান ক্ষেতের নানাবিধ সমস্যার সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছি। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে আলোক ফাঁদ ও পারসিং পদ্ধতির পরামর্শ দিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন, সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দুমকি (পটুয়াখালী) : আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর দুমকিতে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের আমন ধানের ক্ষেত গাঢ় সবুজে ভরে গেছে। হেমন্তের হিমেল হাওয়ায় দিগন্ত জোড়া আমনের চারা হেলে দুলে প্রকৃতিকে স্বাগত জানাচ্ছে। আর এই বৈচিত্র্যময় দৃশ্য দেখে কৃষক সম্ভাবনার স্বপ্ন বুনছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় অপরূপ সৌন্দর্য আর সবুজের সমারোহে প্রকৃতিকে যেন বিমোহিত করে তুলে তুলছে প্রতিটি আমান ক্ষেতের মাঠ।
প্রতি গ্রামের কৃষকরা আমন ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আবার পোকামাকড় ও রোগবালাই দমনে তৎপর রয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার শ্রীরামপুর, আংগারিয়া, মুরাদিয়া, লেবুখালী ও পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে মোট ৬ হাজার ৬০১ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে আগাম জাতের ধান চাষ করায় কোন কোন জমিতে পাকা শুরু হয়েছে। কোন কোন জমিতে ধানের শীষ উঁকিঝুঁকি দয়া শুরু করছে এবং অবশিষ্ট জমিতে গামর এসেছে। দৈনিক সংবাদ অনুসন্ধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘূরে দেখা যায়, প্রায় সব মাঠেই আমন ধানের চারা সবুজে সবুজে ভরে গেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমিতে পরিনত হয়েছে পুরো মাঠ জুড়ে। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের কৃষক আবদুস সোবহান মৃধা বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সময়মতো আমন চারা রোপণ করায় এবং এখন পর্যন্ত কোনো রিপু না হ?ওয়ায় আমন চারা বেশ ভালো হয়েছে। আশাকরি বিগত বছরের তুলনায় এবছর ভালো ফলন পাবো।মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কৃষক আ: ছালাম মৃধা জানান, আমাদের এলাকায় প্রতিটি মাঠেই এবছর আমন চারা ভালো হয়েছে।
কৃষকদের মুখে মুখে ভালো ফলনের কথা শোনা যাচ্ছে। আমনের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।এব্যাপারে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরান হোসেন বলেন, কৃষকদের আমন চাষে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সরকারি প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে। অত্র এলাকার বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। নদী বিধৌত পলি বেষ্টিত জমি আমন ধান চাষের জন্য উপযোগী।
ইতিমধ্যে আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ধান ক্ষেতের নানাবিধ সমস্যার সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছি। পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে আলোক ফাঁদ ও পারসিং পদ্ধতির পরামর্শ দিয়ে আসছি। তিনি আরো বলেন, সব মিলিয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।