দিনাজপুর : শিশুরা লেখাপড়ায় ব্যস্ত -সংবাদ
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নর দক্ষিণ জোতমাধব এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে একটি ছোট্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকার প্রায় একশ ভূমিহীন পরিবারের শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। দূর-দূরান্তে সরকারি বিদ্যালয় থাকায় এসব শিশুদের স্কুলে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তবে স্থানীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় তাদের জীবনে এনেছে নতুন আলো। টিনশেডের ঘর, মাটিতে বিছানো পুরনো বস্তা আর একটি ব্ল্যাকবোর্ড—এই সামান্য উপকরণ দিয়েই চলছে প্রতিদিনের পাঠদান। শিশু শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে বর্ণমালা, সংখ্যা, প্রাথমিক গণিত ও ছড়া-কবিতা শেখে মনোযোগ দিয়ে। শিক্ষক স্বল্পতা থাকলেও তাদের আন্তরিকতা আর নিষ্ঠাই এই বিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি।
অভিভাবকেরা বলেন, আমাদের অধিকাংশেরই জীবিকা দিনমজুরির উপর নির্ভরশীল। দূরের স্কুলে সন্তান পাঠানো সম্ভব হয় না। এই স্কুল না থাকলে আমাদের সন্তানরাও হয়তো অশিক্ষিত থেকে যেত।
বিদ্যালয়ের স্বেছাসেবী শিক্ষিকা সাহারা বেগম জানান, গ্রামের প্রতিটি শিশুর কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। জায়গা-উপকরণের সীমাবদ্ধতা থাকলেও শিশুদের আগ্রহই আমাদের অনুপ্রেরণা।
বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আ: রহিম, যিনি বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়টি সরকারিভাবে বিনামূল্যের বই পেয়ে আসছে। বর্তমানে মোট পাঁচজন শিক্ষক পাঠদান করালেও কোনো বেতন-ভাতা না পাওয়ায় নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও আ: রহিম ও তাঁর বোন সাহারা বেগম দুই শিফটে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন প্রথম শিফটে শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শিফটে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি।
স্থানীয়দের দাবি, এই ধরনের কমিউনিটি-স্কুলগুলো সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে আরও অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার সুযোগ পাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দিনাজপুর : শিশুরা লেখাপড়ায় ব্যস্ত -সংবাদ
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নর দক্ষিণ জোতমাধব এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দিচ্ছে একটি ছোট্ট বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকার প্রায় একশ ভূমিহীন পরিবারের শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। দূর-দূরান্তে সরকারি বিদ্যালয় থাকায় এসব শিশুদের স্কুলে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তবে স্থানীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় তাদের জীবনে এনেছে নতুন আলো। টিনশেডের ঘর, মাটিতে বিছানো পুরনো বস্তা আর একটি ব্ল্যাকবোর্ড—এই সামান্য উপকরণ দিয়েই চলছে প্রতিদিনের পাঠদান। শিশু শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা নিয়মিতভাবে বর্ণমালা, সংখ্যা, প্রাথমিক গণিত ও ছড়া-কবিতা শেখে মনোযোগ দিয়ে। শিক্ষক স্বল্পতা থাকলেও তাদের আন্তরিকতা আর নিষ্ঠাই এই বিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি।
অভিভাবকেরা বলেন, আমাদের অধিকাংশেরই জীবিকা দিনমজুরির উপর নির্ভরশীল। দূরের স্কুলে সন্তান পাঠানো সম্ভব হয় না। এই স্কুল না থাকলে আমাদের সন্তানরাও হয়তো অশিক্ষিত থেকে যেত।
বিদ্যালয়ের স্বেছাসেবী শিক্ষিকা সাহারা বেগম জানান, গ্রামের প্রতিটি শিশুর কাছে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। জায়গা-উপকরণের সীমাবদ্ধতা থাকলেও শিশুদের আগ্রহই আমাদের অনুপ্রেরণা।
বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন আ: রহিম, যিনি বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়টি সরকারিভাবে বিনামূল্যের বই পেয়ে আসছে। বর্তমানে মোট পাঁচজন শিক্ষক পাঠদান করালেও কোনো বেতন-ভাতা না পাওয়ায় নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তারপরও আ: রহিম ও তাঁর বোন সাহারা বেগম দুই শিফটে পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন প্রথম শিফটে শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শিফটে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি।
স্থানীয়দের দাবি, এই ধরনের কমিউনিটি-স্কুলগুলো সরকারি বা বেসরকারি সহায়তা পেলে আরও অনেক সুবিধাবঞ্চিত শিশু শিক্ষার সুযোগ পাবে।