পীরগাছা (রংপুর) : পীরগাছায় চাষ করা অস্ট্রেলিয়ার গাছ বাগানসহ তেল তৈরির একাংশ -সংবাদ
অস্ট্রেলিয়ান টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী উপজাতিদের কাছে খুঁজে পাওয়া একটি গাছ। এই উদ্ভিদের রহস্যময় ক্ষমতার জন্য, আদিবাসী উপজাতিরা টি ট্রি গাছের পাতা দিয়ে রূপচর্যা, ত্বকের চিকিৎসা এবং ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করেন। একসময় টি ট্রি গাছের তেল পশ্চিমা বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে। সেই টি ট্রি গাছ এখন রংপুরের পীরগাছায় চাষ করা হচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই ঝাউ আকৃতির গাছের পাতা হতে উৎপাদন হচ্ছে এমন এক তেল যার লিটার ৫০ হাজার টাকা। এ তেলের আরেক নাম মেলালুকা অয়েল। কারণ, এটি মেলালুকা অল্টারনিফোলিয়া গাছের পাতা থেকে উৎপাদিত হয়। এজন্য টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল গাছ চাষে প্রান্তিক পর্যায়ের সৌখিন কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ঘটনাটি একেবারেই বাস্তব। উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের শ্রীকান্ত গ্রামে এমনই এক মূল্যবান গাছের চাষ শুরু করেছেন প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আরিফ। দেখতে ঝাউ গাছের মতো হলেও এটি আসলে অস্ট্রেলিয়ার দুর্লভ টি ট্রি গাছ। এই গাছের পাতা থেকেই তৈরি হয় বিশ্ববিখ্যাত টি ট্রি অয়েল, যা ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে ব্যবহৃত হয়। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হরিশচর গ্রামের তরুণ প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আরিফ চাকরি করতেন তাইওয়ানের একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে। প্রকৌশলী আরিফ জানতে পারেন টি ট্রি গাছের তেলের বাজারমূল্য ও চিকিৎসাগত গুরুত্ব। তখনই মনে জাগে ভাবনা -নিজ দেশে এই গাছের চাষ করবেন।
ওই চিন্তা থেকে ২০২০ সালে পীরগাছার ইটাকুমারি ইউনিয়নের শ্রীকান্ত গ্রামে এক একর জমি লিজ নেন। শুরু করেন পরীক্ষামূলক চাষ। তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বিদেশ থেকে চারা আমদানিতে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয় তাকে। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। পরে আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে অল্প কিছু বীজ সংগ্রহ করেন। বীজ থেকে চারা তৈরি করতে গিয়ে নানা বাধা এলেও পাশে ছিলেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট। অবশেষে ৪০ টি চারা উৎপাদনে সফল হন তিনি। সেই চারাগুলো থেকেই কাটিং পদ্ধতিতে বর্তমানে তার এক একরের প্রকল্পে রয়েছে দুই হাজার টি ট্রি গাছ। এরপর ধীরে ধীরে নিজস্ব ডিস্টিলারি স্থাপন করে আধুনিক পদ্ধতিতে পাতার তেল উত্তোলন শুরু করেন তিনি। এখন সেই তেল দেশের বিভিন্ন প্রসাধনী ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করছেন আরিফ। পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। টি ট্রি গাছের পাতার তেল থেকে পাওয়া হাইড্রোসল ওয়াটারও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
এ ছাড়াও ইউরোপ জুড়ে টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল অপরিহার্য ব্যবহার। গবেষণা গভীর হওয়ার সাথে সাথে, সারা বিশ্বে টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল অপরিহার্য তেলের ঔষধি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ায় প্রশংসা বাড়তে থাকে। আজ, এটি ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রসাধনী, অ্যারোমাথেরাপি জন্যে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক ডিস্টিলেশন ইউনিট। প্রতিদিন সকালে শ্রমিকরা গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ পানিতে ধুয়ে মেশিনে দেন। এরপর স্টিম ডিস্টিলেশন পদ্ধতিতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে গরম করা হয়। তাপের প্রভাবে পাতা থেকে ধীরে ধীরে বের হয় তেল ও হাইড্রোসল ওয়াটার।
প্রতি ব্যাচে ৫০ কেজি পাতা প্রক্রিয়াজাত করে দিনে তিন ব্যাচে প্রায় দেড় লিটার তেল উৎপাদন হয়। চীন থেকে ছোট একটি মেশিন এনে সেটি বিশ্লেষণ করে স্থানীয়ভাবে ৫০০ লিটার ধারণক্ষমতার যন্ত্র তৈরি করেছেন আরিফ নিজেই। এখন সেই মেশিন দিয়েই নিয়মিত তেল ও হাইড্রোসল উৎপাদন করছেন। গত তিন বছরে উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৫০ লিটার টি ট্রি অয়েল এবং ৫ হাজার লিটার হাইড্রোসল ওয়াটার। এ বছর উৎপাদন দ্বিগুণ হবে বলে আশা উদ্যোক্তার।
শুরুতে গ্রামবাসীর অনেকেই আরিফের প্রকল্পকে হাস্যকর ভাবতেন। অনেকে বলেছিলেন, ‘গাছের পাতা থেকে আবার তেল হয় নাকি!’ কিন্তু সময়ই বদলে দিয়েছে সেই ধারণা। গাছ বড় হওয়ার পর যখন পাতা থেকে তেল বের হতে শুরু করল, সবাই অবাক হয়ে দেখল সম্ভাবনার এক নতুন দিক।
আরিফ বলেন, ‘শুরুতে কেউ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আমি জানতাম এটা সম্ভব। এখন আমার উৎপাদিত তেল দেশ-বিদেশে যাচ্ছে। এটা শুধু আমার স্বপ্ন নয়, বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা।’ টি ট্রি তেল ও হাইড্রোসল ওয়াটার বিশ্বব্যাপী স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে ব্যবহৃত হয়। ত্বক সতেজ রাখা, খুশকি দূর করা, ব্রণ ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধে এর জুড়ি নেই।
আরিফ বলেন, সরকার যদি রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করে, তবে এখাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং কর্মসংস্থান -দুটোই বাড়বে।’ চলতি বছর তিনি প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্য নিয়েছেন। বর্তমানে তার বাগানে কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। আগামীতে বৃহৎ পরিসরে চাষ করে আরও কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনাও করেছেন।
পীরগাছার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, ‘টি ট্রি গাছের চাষ এই এলাকার জন্য একেবারে নতুন হলেও ফলন ভালো হচ্ছে।’ পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসাদুজ্জামান আরিফের উদ্যোগ কৃষি উদ্ভাবনের দারুণ উদাহরণ। কৃষি বিভাগ শুরু থেকেই তাকে সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
পীরগাছা (রংপুর) : পীরগাছায় চাষ করা অস্ট্রেলিয়ার গাছ বাগানসহ তেল তৈরির একাংশ -সংবাদ
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ান টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী উপজাতিদের কাছে খুঁজে পাওয়া একটি গাছ। এই উদ্ভিদের রহস্যময় ক্ষমতার জন্য, আদিবাসী উপজাতিরা টি ট্রি গাছের পাতা দিয়ে রূপচর্যা, ত্বকের চিকিৎসা এবং ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করেন। একসময় টি ট্রি গাছের তেল পশ্চিমা বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করে। সেই টি ট্রি গাছ এখন রংপুরের পীরগাছায় চাষ করা হচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য সেই ঝাউ আকৃতির গাছের পাতা হতে উৎপাদন হচ্ছে এমন এক তেল যার লিটার ৫০ হাজার টাকা। এ তেলের আরেক নাম মেলালুকা অয়েল। কারণ, এটি মেলালুকা অল্টারনিফোলিয়া গাছের পাতা থেকে উৎপাদিত হয়। এজন্য টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল গাছ চাষে প্রান্তিক পর্যায়ের সৌখিন কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ঘটনাটি একেবারেই বাস্তব। উপজেলার ইটাকুমারী ইউনিয়নের শ্রীকান্ত গ্রামে এমনই এক মূল্যবান গাছের চাষ শুরু করেছেন প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আরিফ। দেখতে ঝাউ গাছের মতো হলেও এটি আসলে অস্ট্রেলিয়ার দুর্লভ টি ট্রি গাছ। এই গাছের পাতা থেকেই তৈরি হয় বিশ্ববিখ্যাত টি ট্রি অয়েল, যা ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে ব্যবহৃত হয়। রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হরিশচর গ্রামের তরুণ প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আরিফ চাকরি করতেন তাইওয়ানের একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে। প্রকৌশলী আরিফ জানতে পারেন টি ট্রি গাছের তেলের বাজারমূল্য ও চিকিৎসাগত গুরুত্ব। তখনই মনে জাগে ভাবনা -নিজ দেশে এই গাছের চাষ করবেন।
ওই চিন্তা থেকে ২০২০ সালে পীরগাছার ইটাকুমারি ইউনিয়নের শ্রীকান্ত গ্রামে এক একর জমি লিজ নেন। শুরু করেন পরীক্ষামূলক চাষ। তবে শুরুটা সহজ ছিল না। বিদেশ থেকে চারা আমদানিতে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয় তাকে। কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। পরে আন্তর্জাতিক ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে অল্প কিছু বীজ সংগ্রহ করেন। বীজ থেকে চারা তৈরি করতে গিয়ে নানা বাধা এলেও পাশে ছিলেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও বাংলাদেশ কৃষি ইনস্টিটিউট। অবশেষে ৪০ টি চারা উৎপাদনে সফল হন তিনি। সেই চারাগুলো থেকেই কাটিং পদ্ধতিতে বর্তমানে তার এক একরের প্রকল্পে রয়েছে দুই হাজার টি ট্রি গাছ। এরপর ধীরে ধীরে নিজস্ব ডিস্টিলারি স্থাপন করে আধুনিক পদ্ধতিতে পাতার তেল উত্তোলন শুরু করেন তিনি। এখন সেই তেল দেশের বিভিন্ন প্রসাধনী ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করছেন আরিফ। পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। টি ট্রি গাছের পাতার তেল থেকে পাওয়া হাইড্রোসল ওয়াটারও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।
এ ছাড়াও ইউরোপ জুড়ে টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল অপরিহার্য ব্যবহার। গবেষণা গভীর হওয়ার সাথে সাথে, সারা বিশ্বে টি ট্রি এসেন্সিয়াল অয়েল অপরিহার্য তেলের ঔষধি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ায় প্রশংসা বাড়তে থাকে। আজ, এটি ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রসাধনী, অ্যারোমাথেরাপি জন্যে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, গাছের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক ডিস্টিলেশন ইউনিট। প্রতিদিন সকালে শ্রমিকরা গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করে বিশুদ্ধ পানিতে ধুয়ে মেশিনে দেন। এরপর স্টিম ডিস্টিলেশন পদ্ধতিতে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে গরম করা হয়। তাপের প্রভাবে পাতা থেকে ধীরে ধীরে বের হয় তেল ও হাইড্রোসল ওয়াটার।
প্রতি ব্যাচে ৫০ কেজি পাতা প্রক্রিয়াজাত করে দিনে তিন ব্যাচে প্রায় দেড় লিটার তেল উৎপাদন হয়। চীন থেকে ছোট একটি মেশিন এনে সেটি বিশ্লেষণ করে স্থানীয়ভাবে ৫০০ লিটার ধারণক্ষমতার যন্ত্র তৈরি করেছেন আরিফ নিজেই। এখন সেই মেশিন দিয়েই নিয়মিত তেল ও হাইড্রোসল উৎপাদন করছেন। গত তিন বছরে উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ৫০ লিটার টি ট্রি অয়েল এবং ৫ হাজার লিটার হাইড্রোসল ওয়াটার। এ বছর উৎপাদন দ্বিগুণ হবে বলে আশা উদ্যোক্তার।
শুরুতে গ্রামবাসীর অনেকেই আরিফের প্রকল্পকে হাস্যকর ভাবতেন। অনেকে বলেছিলেন, ‘গাছের পাতা থেকে আবার তেল হয় নাকি!’ কিন্তু সময়ই বদলে দিয়েছে সেই ধারণা। গাছ বড় হওয়ার পর যখন পাতা থেকে তেল বের হতে শুরু করল, সবাই অবাক হয়ে দেখল সম্ভাবনার এক নতুন দিক।
আরিফ বলেন, ‘শুরুতে কেউ বিশ্বাস করেনি। কিন্তু আমি জানতাম এটা সম্ভব। এখন আমার উৎপাদিত তেল দেশ-বিদেশে যাচ্ছে। এটা শুধু আমার স্বপ্ন নয়, বাংলাদেশেরও সম্ভাবনা।’ টি ট্রি তেল ও হাইড্রোসল ওয়াটার বিশ্বব্যাপী স্কিন কেয়ার, হেয়ার কেয়ার ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যে ব্যবহৃত হয়। ত্বক সতেজ রাখা, খুশকি দূর করা, ব্রণ ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধে এর জুড়ি নেই।
আরিফ বলেন, সরকার যদি রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করে, তবে এখাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং কর্মসংস্থান -দুটোই বাড়বে।’ চলতি বছর তিনি প্রায় ৩০ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্য নিয়েছেন। বর্তমানে তার বাগানে কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। আগামীতে বৃহৎ পরিসরে চাষ করে আরও কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনাও করেছেন।
পীরগাছার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান বলেন, ‘টি ট্রি গাছের চাষ এই এলাকার জন্য একেবারে নতুন হলেও ফলন ভালো হচ্ছে।’ পীরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আসাদুজ্জামান আরিফের উদ্যোগ কৃষি উদ্ভাবনের দারুণ উদাহরণ। কৃষি বিভাগ শুরু থেকেই তাকে সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোক্তাদের পাশে থাকবে।