ভৈরব দুর্জয় মোড় থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহর পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার
ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের উপর বিভিন্ন এলাকার বাজার -সংবাদ
ভৈরব দুর্জয় মোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের কিশোরগঞ্জ শহর পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের মাঝে ১৯টি স্থানে প্রতিদিন বসছে অবৈধ বাজার। এতে প্রতিদিনই আটকে যাচ্ছে এ রুটে চলাচলকারী জেলার অভ্যন্তরীণ যানবাহনসহ বিভিন্ন দুরপাল্লার যানবাহন। এসব বাজারের কাছ দিয়ে স্থানীয় যানবাহনসহ পথচারীদেরও চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোনা স্থানে দুর্ঘটনা। সৃষ্ট দীর্ঘ যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসব বাজারে রাস্তার উপর বসে থাকতে হয় যাত্রীবাহী যানবাহন ও মালবাহী যানবাহন। একটি বাজার পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। যেখানে ভৈরব থেকে সকাল বেলা অফিস সময়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী জেলা শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনে করে দ্রুত অফিসে যেতে চান তারাও বিলম্বে অফিসে পৌঁছেন। এছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কিশোরগঞ্জ কোর্টে, পাসপোর্ট অফিসে ও বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সকালে জেলা সদরে যেতে চাইলেও যেতে পারেন না, বিলম্বে অফিসে পৌঁছাতে হয়।
উল্লেখিত বাজারগুলো রাস্তার উপরে হওয়ায় যানবাহন চলতে হয় থেমে থেমে। তারপরও অনেক যানবাহনের শেষ রক্ষা হয় না। পড়তে হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের তোপের মুখে। মাঝে মধ্যে এমনও হয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় কৃষক ও স্থানীয় ছোট যানবাহনের চালকরা যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকে ইটপাটকেল দিয়ে ঢিল মারে। এতে করে যানবাহনের গ্লাস ভেঙ্গে যানবাহনে থাকা যাত্রীরা গুরুত্বর আহতও হোন। আর বকাবকিতো আছেই। বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, করিমগঞ্জের আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গুরুত্বর আহত রোগীদের নিয়ে যাতায়াত করা অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে পড়ে থাকে। এমনও দেখা গেছে অনেক সময় রোগীরা যানজটের কারণে হাসপাতালের পৌঁছানোর আগেই অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করে ও গর্ভবতী মায়েরা সন্তান প্রসব করেন।
জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ও জেলা সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একাধিকবার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও অবৈধ বাজার উচ্ছেদ করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫৬ কিলোমিটার সড়কের পাশে ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর রেলক্রসিং বাজার, কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ড বাজার ও আকবরনগর বাসস্ট্যান্ড বাজার। কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার, নওগাও বাসস্ট্যান্ড বাজার, ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ড বাজার, দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড বাজার, বাজরা বাসস্ট্যান্ড বাজার ও আগরপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার। বাজিতপুর উপজেলার পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার, উজানচর বাসস্ট্যান্ড বাজার ও গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড বাজার। কটিয়াদী উপজেলার কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড বাজার, পাঁচংগোটা, মধ্যপাড়া, বানিয়ারগ্রাম ও আসমিতা বাজার। পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজার ও কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চৌদ্দশত বাজার বসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু বাজারের পরিধি না বাড়ায় নানা পণ্যদ্রব্য নিয়ে অনেক বিক্রেতা রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী রাস্তার ওপর ট্রাক রেখে ওই পণ্য কেনেন। পরে দীর্ঘ সময় নিয়ে ট্রাকে রাখেন। এই যানজট সহ্য করেই ১৯টি বাজার অতিক্রম করে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ যেতে হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বাজার হলো বাজিতপুরের পিরোজপুর, পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট। এ বাজার দুটির পরিধি না বাড়ায় দিন দিন আঞ্চলিক সড়ক দখল করে কেনাবেচা করে থাকেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। যার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। কোন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার সময় বা কোন চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে গেলেও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিলম্বে পৌঁছাতে হয় নিজ গন্তব্যে।
প্রতিদিন যানবাহনে চলাচলকারী অ্যাডভোকেট শাহ আলম জানান, সকাল ১০টার ভেতরে আমাদের কোর্টে পৌঁছতে হয়। কিন্তু বাড়ি থেকে এক ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও বাজিতপুরের পিরোজপুর বাজারে যানজটে বসে থাকতে হয়। অনেকদিন কোর্টেও সময়তো যেতে পারি না। কোর্টে মহুরী দিয়ে সময় নিতে হয়। পিরোজপুর বাজার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চললেও এর চেয়ে ভয়াবহ বাজার জমে ওঠে পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজার। এই বাজারটি সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। বিরতিহীনভাবে চলা এ বাজারে প্রতিদিনই যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া এ বাজারটিতে স্থানীয় যানবাহন থেকে শুরু করে জেলার অভ্যন্তরীন যানবাহন ও দুরপাল্লার যানবাহনগুলির টিকেট কাউন্টারগুলো রাস্তার পাশে বসানো হয়েছে। ফলে দুরপাল্লার যানবাহন ও অভ্যন্তরীন যাত্রীবাহী যানবাহনগুলি রাস্তার উপর দাড়িয়েই যাত্রী উঠানামানো করা হয়। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে ছোট বড় দুর্ঘটনায় প্রায়ই লেগে থাকে। অনেকের মতে এসব টিকেট কাউন্টারের কারণেও যানজট নিরসন হচ্ছে না। প্রশাসন কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করলে পুলেরঘাট বাজারের যানজট নিরসন করা সম্ভব অনেকেই মনে করছেন।
কিশোরগঞ্জ-ঢাকা পথে চলাচলকারী অনন্যা সুপার সার্ভিসের বাসচালক সুলমান মিয়া বলেন, ৫৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাজার বসায় কয়েক কিলোমিটার পরপরই যানজটে বসে থাকতে হয়। যাত্রীরা আমাদের গালমন্দ এবং বাসের গ্লাসে ঢিল মারে। অনেক সময় যাত্রীরাও আহত হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের উপর যেসব বাজার ও অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে এ সড়কের উপর অবৈধ বাজার ও স্থাপনার তালিকা তৈরি করছি। ইতিমধ্যে আমরা কিশোরগঞ্জ শহরের বিন্নাটি বাজার সরিয়ে দিয়েছি। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অবৈধ বাজার ও সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য চিঠি দিয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিলে আমরা খুব শীঘ্র্ই সড়কের পাশে থাকা অবৈধ বাজার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারবো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ভৈরব দুর্জয় মোড় থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহর পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার
ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের উপর বিভিন্ন এলাকার বাজার -সংবাদ
সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ভৈরব দুর্জয় মোড় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের কিশোরগঞ্জ শহর পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের মাঝে ১৯টি স্থানে প্রতিদিন বসছে অবৈধ বাজার। এতে প্রতিদিনই আটকে যাচ্ছে এ রুটে চলাচলকারী জেলার অভ্যন্তরীণ যানবাহনসহ বিভিন্ন দুরপাল্লার যানবাহন। এসব বাজারের কাছ দিয়ে স্থানীয় যানবাহনসহ পথচারীদেরও চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিদিনই ঘটছে কোন না কোনা স্থানে দুর্ঘটনা। সৃষ্ট দীর্ঘ যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসব বাজারে রাস্তার উপর বসে থাকতে হয় যাত্রীবাহী যানবাহন ও মালবাহী যানবাহন। একটি বাজার পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। যেখানে ভৈরব থেকে সকাল বেলা অফিস সময়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী জেলা শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় যানবাহনে করে দ্রুত অফিসে যেতে চান তারাও বিলম্বে অফিসে পৌঁছেন। এছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কিশোরগঞ্জ কোর্টে, পাসপোর্ট অফিসে ও বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সকালে জেলা সদরে যেতে চাইলেও যেতে পারেন না, বিলম্বে অফিসে পৌঁছাতে হয়।
উল্লেখিত বাজারগুলো রাস্তার উপরে হওয়ায় যানবাহন চলতে হয় থেমে থেমে। তারপরও অনেক যানবাহনের শেষ রক্ষা হয় না। পড়তে হয় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের তোপের মুখে। মাঝে মধ্যে এমনও হয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় কৃষক ও স্থানীয় ছোট যানবাহনের চালকরা যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকে ইটপাটকেল দিয়ে ঢিল মারে। এতে করে যানবাহনের গ্লাস ভেঙ্গে যানবাহনে থাকা যাত্রীরা গুরুত্বর আহতও হোন। আর বকাবকিতো আছেই। বাজিতপুরের ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, করিমগঞ্জের আব্দুল হামিদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গুরুত্বর আহত রোগীদের নিয়ে যাতায়াত করা অ্যাম্বুলেন্সও যানজটে পড়ে থাকে। এমনও দেখা গেছে অনেক সময় রোগীরা যানজটের কারণে হাসপাতালের পৌঁছানোর আগেই অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করে ও গর্ভবতী মায়েরা সন্তান প্রসব করেন।
জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ও জেলা সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় একাধিকবার আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও অবৈধ বাজার উচ্ছেদ করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৫৬ কিলোমিটার সড়কের পাশে ভৈরব উপজেলার শম্ভুপুর রেলক্রসিং বাজার, কালিকাপ্রসাদ বাসস্ট্যান্ড বাজার ও আকবরনগর বাসস্ট্যান্ড বাজার। কুলিয়ারচর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার, নওগাও বাসস্ট্যান্ড বাজার, ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ড বাজার, দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড বাজার, বাজরা বাসস্ট্যান্ড বাজার ও আগরপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার। বাজিতপুর উপজেলার পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড বাজার, উজানচর বাসস্ট্যান্ড বাজার ও গজারিয়া বাসস্ট্যান্ড বাজার। কটিয়াদী উপজেলার কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড বাজার, পাঁচংগোটা, মধ্যপাড়া, বানিয়ারগ্রাম ও আসমিতা বাজার। পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজার ও কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চৌদ্দশত বাজার বসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু বাজারের পরিধি না বাড়ায় নানা পণ্যদ্রব্য নিয়ে অনেক বিক্রেতা রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। অনেক পাইকারি ব্যবসায়ী রাস্তার ওপর ট্রাক রেখে ওই পণ্য কেনেন। পরে দীর্ঘ সময় নিয়ে ট্রাকে রাখেন। এই যানজট সহ্য করেই ১৯টি বাজার অতিক্রম করে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ যেতে হয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বাজার হলো বাজিতপুরের পিরোজপুর, পাকুন্দিয়ার পুলেরঘাট। এ বাজার দুটির পরিধি না বাড়ায় দিন দিন আঞ্চলিক সড়ক দখল করে কেনাবেচা করে থাকেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। যার কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। কোন শিক্ষার্থীর পরীক্ষার সময় বা কোন চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে গেলেও তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিলম্বে পৌঁছাতে হয় নিজ গন্তব্যে।
প্রতিদিন যানবাহনে চলাচলকারী অ্যাডভোকেট শাহ আলম জানান, সকাল ১০টার ভেতরে আমাদের কোর্টে পৌঁছতে হয়। কিন্তু বাড়ি থেকে এক ঘণ্টা আগে রওনা দিয়েও বাজিতপুরের পিরোজপুর বাজারে যানজটে বসে থাকতে হয়। অনেকদিন কোর্টেও সময়তো যেতে পারি না। কোর্টে মহুরী দিয়ে সময় নিতে হয়। পিরোজপুর বাজার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চললেও এর চেয়ে ভয়াবহ বাজার জমে ওঠে পাকুন্দিয়া উপজেলার পুলেরঘাট বাজার। এই বাজারটি সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে। বিরতিহীনভাবে চলা এ বাজারে প্রতিদিনই যানজট লেগেই থাকে। তাছাড়া এ বাজারটিতে স্থানীয় যানবাহন থেকে শুরু করে জেলার অভ্যন্তরীন যানবাহন ও দুরপাল্লার যানবাহনগুলির টিকেট কাউন্টারগুলো রাস্তার পাশে বসানো হয়েছে। ফলে দুরপাল্লার যানবাহন ও অভ্যন্তরীন যাত্রীবাহী যানবাহনগুলি রাস্তার উপর দাড়িয়েই যাত্রী উঠানামানো করা হয়। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে ছোট বড় দুর্ঘটনায় প্রায়ই লেগে থাকে। অনেকের মতে এসব টিকেট কাউন্টারের কারণেও যানজট নিরসন হচ্ছে না। প্রশাসন কার্যকরী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করলে পুলেরঘাট বাজারের যানজট নিরসন করা সম্ভব অনেকেই মনে করছেন।
কিশোরগঞ্জ-ঢাকা পথে চলাচলকারী অনন্যা সুপার সার্ভিসের বাসচালক সুলমান মিয়া বলেন, ৫৬ কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে বাজার বসায় কয়েক কিলোমিটার পরপরই যানজটে বসে থাকতে হয়। যাত্রীরা আমাদের গালমন্দ এবং বাসের গ্লাসে ঢিল মারে। অনেক সময় যাত্রীরাও আহত হয়।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা কিশোরগঞ্জ থেকে ভৈরব পর্যন্ত আঞ্চলিক সড়কের উপর যেসব বাজার ও অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদের ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে এ সড়কের উপর অবৈধ বাজার ও স্থাপনার তালিকা তৈরি করছি। ইতিমধ্যে আমরা কিশোরগঞ্জ শহরের বিন্নাটি বাজার সরিয়ে দিয়েছি। আমরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কের ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অবৈধ বাজার ও সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য চিঠি দিয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিলে আমরা খুব শীঘ্র্ই সড়কের পাশে থাকা অবৈধ বাজার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পারবো।