সিরাজগঞ্জ : বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এলাকাবাসীর মশাল মিছিল -সংবাদ
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নিয়ে তৃণমুলে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলটি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপি বয়োবৃদ্ধ এম. আকবর আলীর নাম ঘোষণা করেছে। শুরু থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা ঘোষিত প্রার্থীর পক্ষে কোন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যই নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল করে।
উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিগত ১৬ বছর এম. আকবর আলী মাঠে ছিলেন না। কোন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেননি। নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের খোজ নেয়নি। এ অবস্থায় তাকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করায় উল্লাপাড়ার তৃণমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে আজাদ হোসেনসহ ত্যাগী নেতারা দীর্ঘ ১৬ বছর মাঠে থেকে রাজনীতি করেছেন। আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১৬ বছর মামলা হয়েছে ৪১টি। তিনি বহুবার জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি নেতাকর্মীর পাশে থাকায় জনপ্রিয়তার দিকে তিনিই শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। তারেক রহমানের কাছে দলের স্বার্থে এবং আসনটিতে বিজয়ের স্বার্থে আজাদ হোসেন অথবা ত্যাগী অন্য কোন নেতাকে মনোয়ন দেওয়ার দাবি করেন।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নিক্সন কুমার আমিন বলেন, এম. আকবর আলী মনোয়ন পাওয়ার পর যুবদলের কর্মীরা নিস্ক্রিয় রয়েছে। এতে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যুবদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম করে এতোদিন উল্লাপাড়ার রাজনীতি সক্রিয় রেখেছিল। কিন্তু ত্যাগী কোন নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় বর্তমানে নেতাকর্মীরা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেসাদ করিম নয়ন বলেন, আজাদ হোসেনের বাবা সরাফত আলী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। আজাদ হোসেন উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি এবং পৌর বিএনপির আহবায়ক ছিলেন। ২০০৯-২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৫ থেকে অদ্যবধি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মতো ত্যাগী নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় আমরা হতাশ।
যে কারনে ছাত্রদলের কোন নেতাকর্মী এখনো নির্বাচনী মাঠে নামেনি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সিরাজগঞ্জ : বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে এলাকাবাসীর মশাল মিছিল -সংবাদ
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নিয়ে তৃণমুলে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে দলটি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপি বয়োবৃদ্ধ এম. আকবর আলীর নাম ঘোষণা করেছে। শুরু থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। তারা ঘোষিত প্রার্থীর পক্ষে কোন কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। ইতোমধ্যই নেতাকর্মীরা উপজেলা সদরে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল করে।
উল্লাপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিগত ১৬ বছর এম. আকবর আলী মাঠে ছিলেন না। কোন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেননি। নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের খোজ নেয়নি। এ অবস্থায় তাকে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করায় উল্লাপাড়ার তৃণমুল বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে আজাদ হোসেনসহ ত্যাগী নেতারা দীর্ঘ ১৬ বছর মাঠে থেকে রাজনীতি করেছেন। আজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১৬ বছর মামলা হয়েছে ৪১টি। তিনি বহুবার জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি নেতাকর্মীর পাশে থাকায় জনপ্রিয়তার দিকে তিনিই শীর্ষ অবস্থানে রয়েছেন। তারেক রহমানের কাছে দলের স্বার্থে এবং আসনটিতে বিজয়ের স্বার্থে আজাদ হোসেন অথবা ত্যাগী অন্য কোন নেতাকে মনোয়ন দেওয়ার দাবি করেন।
উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব নিক্সন কুমার আমিন বলেন, এম. আকবর আলী মনোয়ন পাওয়ার পর যুবদলের কর্মীরা নিস্ক্রিয় রয়েছে। এতে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। যুবদলের নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম করে এতোদিন উল্লাপাড়ার রাজনীতি সক্রিয় রেখেছিল। কিন্তু ত্যাগী কোন নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় বর্তমানে নেতাকর্মীরা নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রেসাদ করিম নয়ন বলেন, আজাদ হোসেনের বাবা সরাফত আলী উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন। আজাদ হোসেন উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সভাপতি এবং পৌর বিএনপির আহবায়ক ছিলেন। ২০০৯-২০১৫ সাল পর্যন্ত উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১৫ থেকে অদ্যবধি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তার মতো ত্যাগী নেতা মনোনয়ন না পাওয়ায় আমরা হতাশ।
যে কারনে ছাত্রদলের কোন নেতাকর্মী এখনো নির্বাচনী মাঠে নামেনি।