alt

গজারিয়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিনে সয়লাব

প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়ন, দাশকান্দী বাজারে ঢুকতেই পায়ে কচকচ শব্দ। নিচে তাকাতেই দেখা গেল, ভেজা মাটিতে লেপ্টে থাকা অসংখ্য পলিথিন ব্যাগ। বাতাসে উড়ছে আরও কিছু। দোকানিরা বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে গুঁজে দিচ্ছেন পলিথিন ব্যাগ।

ক্রেতারাও নিচ্ছে নির্দ্বিধায়-যেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ এই পলিথিনই আজ গজারিয়ার প্রকৃতি ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরকারি নিষেধাজ্ঞার আদেশে, পলিথিন অনেক আগেই নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গ্রামের ছোট টং দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমল পর্যন্ত সর্বত্র পলিথিনের ব্যবহার চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে, ড্রেনের ধারে, খাল-বিলে-যেদিকে তাকানো যায়, জমে থাকা পচা পানির সঙ্গে ভাসছে রঙিন পলিথিনের স্তর। এতে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র। এসবের কারণেই এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই এই অবস্থা চলে আসছে মাসের পর মাস।

স্কুল শিক্ষার্থী নওরিন সুলতানা বলেন, গজারিয়া এক সময় ছিল নদীনির্ভর জনপদ-নির্মল বাতাস, পরিষ্কার পানি, সবুজ প্রকৃতির আধার। আজ সেই নদী-নালা ঢেকে যাচ্ছে পলিথিনে। যদি এখনই সচেতন না হওয়া যায়, তবে একদিন হয়তো ইতিহাস বইতেই পড়তে হবে-গজারিয়া ছিল একসময় সবুজের জনপদ।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কর্মী সফিক ঢালী জানান, আমাদের দেশে হাত বাড়ালেই প্লাস্টিক বা পলিথিন পাওয়া যায়। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়ের পানির দুই-তিন হাত নিচেও পলিথিন পাওয়া যায়। পলিথিন যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারণে তা পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে মানবদেহের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পলিথিনের অবাধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাপড় বা পাটের ব্যাগ সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সাথে দরকার সচেতনতা। সব জায়গায় পলিথিনমুক্ত জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাত ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলেও এর বাস্তব প্রয়োগ সীমিত। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়, কিন্তু নিয়মিত নজরদারির অভাবে তা টেকসই হয় না।

ছবি

মাতামুহুরী নদীতে পলি ভরায় ৬০ হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধার অনিশ্চয়তা

ছবি

পিরোজপুরে জুলাই-অগাস্ট ছাত্র আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ

মহেশপুরে গাছ ফেলে পথ আটকিয়ে ডাকাতি

ছবি

টেকনাফে পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার

দৌলতপুরে সবজির বীজ বিতরণ

ছবি

মুন্সীগঞ্জে মেট্রোরেল সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন

চাটখিলে স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

ছবি

বছরের পর বছর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ!

ছবি

চৌমুহনীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, অর্থদণ্ড

ছবি

চট্টগ্রামে আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ রায়হানের নতুন হুমকি: ব্যবসায়ীকে বিদেশি নম্বর থেকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার’ ভয় দেখানো

ছবি

উল্লাপাড়ায় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

ছবি

দুই বছর ধরে চলাচল বন্ধ, বিপাকে ১০ হাজার শ্রমিক ও বাসিন্দা

মহেশপুর সীমান্তে পৃথক অভিযানে ভারতীয় মাদকদ্রব্যসহ নারী আটক

ছবি

দশমিনায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

কিশোরগঞ্জে আ.লীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

নাসিরনগরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

মা-বাবার পাশে কবরে দাফন হলো ইতালি প্রবাসী ডা. ঈসমাইলের

ছবি

বোয়ালখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

দেবীদ্বারে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু

ছবি

জামালপুরে কারাগার নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

ছবি

পীরগাছায় বিদ্যালয়ে রাতে-দিনে উড়ে জাতীয় পতাকা, কর্তৃপক্ষ নিরব

ছবি

হবিগঞ্জে আখ চাষ চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান

ছবি

দশমিনায় পলিনেট পদ্ধতিতে বেগুন চাষে সবুজের সাফল্য

ছবি

ঝিনাইদহে হাঁটা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি

টিকে আছে সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প, স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় চাপে রপ্তানি

ছবি

দশমিনা থেকে হারিয়ে গেছে তাল-পিঠার উৎসব

ছবি

বাপ দাদার ঘোলের ঐতিহ্য আঁকড়ে ৩২ বছর ধরে সংগ্রামী গোপাল

ছবি

রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কৃষকের জমির ধান লুটের অভিযোগ

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিনিবাসে আগুন

ছবি

ডিমলায় বুড়ি তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

ছবি

মোহনগঞ্জে আমন ধান কাটা শুরু

ছবি

শাহজাদপুরে ঋণের দায়ে ব্যবসায়ীরআত্মহত্যা

ছবি

দেবহাটায় নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকান

ছবি

উখিয়ায় ৩৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

খেজুর রসের ঘ্রাণে শীতের বার্তা

ছবি

আত্রাইয়ে সুতি জালে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে রবিশস্যের আবাদ

tab

গজারিয়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিনে সয়লাব

প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)

শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়ন, দাশকান্দী বাজারে ঢুকতেই পায়ে কচকচ শব্দ। নিচে তাকাতেই দেখা গেল, ভেজা মাটিতে লেপ্টে থাকা অসংখ্য পলিথিন ব্যাগ। বাতাসে উড়ছে আরও কিছু। দোকানিরা বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে গুঁজে দিচ্ছেন পলিথিন ব্যাগ।

ক্রেতারাও নিচ্ছে নির্দ্বিধায়-যেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ এই পলিথিনই আজ গজারিয়ার প্রকৃতি ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরকারি নিষেধাজ্ঞার আদেশে, পলিথিন অনেক আগেই নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গ্রামের ছোট টং দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমল পর্যন্ত সর্বত্র পলিথিনের ব্যবহার চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে, ড্রেনের ধারে, খাল-বিলে-যেদিকে তাকানো যায়, জমে থাকা পচা পানির সঙ্গে ভাসছে রঙিন পলিথিনের স্তর। এতে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র। এসবের কারণেই এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই এই অবস্থা চলে আসছে মাসের পর মাস।

স্কুল শিক্ষার্থী নওরিন সুলতানা বলেন, গজারিয়া এক সময় ছিল নদীনির্ভর জনপদ-নির্মল বাতাস, পরিষ্কার পানি, সবুজ প্রকৃতির আধার। আজ সেই নদী-নালা ঢেকে যাচ্ছে পলিথিনে। যদি এখনই সচেতন না হওয়া যায়, তবে একদিন হয়তো ইতিহাস বইতেই পড়তে হবে-গজারিয়া ছিল একসময় সবুজের জনপদ।

পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কর্মী সফিক ঢালী জানান, আমাদের দেশে হাত বাড়ালেই প্লাস্টিক বা পলিথিন পাওয়া যায়। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়ের পানির দুই-তিন হাত নিচেও পলিথিন পাওয়া যায়। পলিথিন যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারণে তা পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে মানবদেহের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পলিথিনের অবাধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাপড় বা পাটের ব্যাগ সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সাথে দরকার সচেতনতা। সব জায়গায় পলিথিনমুক্ত জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাত ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলেও এর বাস্তব প্রয়োগ সীমিত। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়, কিন্তু নিয়মিত নজরদারির অভাবে তা টেকসই হয় না।

back to top