গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়ন, দাশকান্দী বাজারে ঢুকতেই পায়ে কচকচ শব্দ। নিচে তাকাতেই দেখা গেল, ভেজা মাটিতে লেপ্টে থাকা অসংখ্য পলিথিন ব্যাগ। বাতাসে উড়ছে আরও কিছু। দোকানিরা বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে গুঁজে দিচ্ছেন পলিথিন ব্যাগ।
ক্রেতারাও নিচ্ছে নির্দ্বিধায়-যেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ এই পলিথিনই আজ গজারিয়ার প্রকৃতি ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার আদেশে, পলিথিন অনেক আগেই নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গ্রামের ছোট টং দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমল পর্যন্ত সর্বত্র পলিথিনের ব্যবহার চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে, ড্রেনের ধারে, খাল-বিলে-যেদিকে তাকানো যায়, জমে থাকা পচা পানির সঙ্গে ভাসছে রঙিন পলিথিনের স্তর। এতে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র। এসবের কারণেই এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই এই অবস্থা চলে আসছে মাসের পর মাস।
স্কুল শিক্ষার্থী নওরিন সুলতানা বলেন, গজারিয়া এক সময় ছিল নদীনির্ভর জনপদ-নির্মল বাতাস, পরিষ্কার পানি, সবুজ প্রকৃতির আধার। আজ সেই নদী-নালা ঢেকে যাচ্ছে পলিথিনে। যদি এখনই সচেতন না হওয়া যায়, তবে একদিন হয়তো ইতিহাস বইতেই পড়তে হবে-গজারিয়া ছিল একসময় সবুজের জনপদ।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কর্মী সফিক ঢালী জানান, আমাদের দেশে হাত বাড়ালেই প্লাস্টিক বা পলিথিন পাওয়া যায়। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়ের পানির দুই-তিন হাত নিচেও পলিথিন পাওয়া যায়। পলিথিন যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারণে তা পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে মানবদেহের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পলিথিনের অবাধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাপড় বা পাটের ব্যাগ সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সাথে দরকার সচেতনতা। সব জায়গায় পলিথিনমুক্ত জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাত ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলেও এর বাস্তব প্রয়োগ সীমিত। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়, কিন্তু নিয়মিত নজরদারির অভাবে তা টেকসই হয় না।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়ন, দাশকান্দী বাজারে ঢুকতেই পায়ে কচকচ শব্দ। নিচে তাকাতেই দেখা গেল, ভেজা মাটিতে লেপ্টে থাকা অসংখ্য পলিথিন ব্যাগ। বাতাসে উড়ছে আরও কিছু। দোকানিরা বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে গুঁজে দিচ্ছেন পলিথিন ব্যাগ।
ক্রেতারাও নিচ্ছে নির্দ্বিধায়-যেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ এই পলিথিনই আজ গজারিয়ার প্রকৃতি ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞার আদেশে, পলিথিন অনেক আগেই নিষিদ্ধ। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গ্রামের ছোট টং দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় শপিংমল পর্যন্ত সর্বত্র পলিথিনের ব্যবহার চোখে পড়ে। রাস্তার পাশে, ড্রেনের ধারে, খাল-বিলে-যেদিকে তাকানো যায়, জমে থাকা পচা পানির সঙ্গে ভাসছে রঙিন পলিথিনের স্তর। এতে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়ে সৃষ্টি হচ্ছে মশার প্রজনন ক্ষেত্র। এসবের কারণেই এলাকায় ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়েছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই এই অবস্থা চলে আসছে মাসের পর মাস।
স্কুল শিক্ষার্থী নওরিন সুলতানা বলেন, গজারিয়া এক সময় ছিল নদীনির্ভর জনপদ-নির্মল বাতাস, পরিষ্কার পানি, সবুজ প্রকৃতির আধার। আজ সেই নদী-নালা ঢেকে যাচ্ছে পলিথিনে। যদি এখনই সচেতন না হওয়া যায়, তবে একদিন হয়তো ইতিহাস বইতেই পড়তে হবে-গজারিয়া ছিল একসময় সবুজের জনপদ।
পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন কর্মী সফিক ঢালী জানান, আমাদের দেশে হাত বাড়ালেই প্লাস্টিক বা পলিথিন পাওয়া যায়। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, জলাশয়ের পানির দুই-তিন হাত নিচেও পলিথিন পাওয়া যায়। পলিথিন যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার কারণে তা পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে মানবদেহের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব পলিথিনের অবাধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে কাপড় বা পাটের ব্যাগ সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সাথে দরকার সচেতনতা। সব জায়গায় পলিথিনমুক্ত জীবনধারা গড়ে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাত ও ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলেও এর বাস্তব প্রয়োগ সীমিত। প্রশাসন মাঝে মধ্যে অভিযান চালায়, কিন্তু নিয়মিত নজরদারির অভাবে তা টেকসই হয় না।