চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়ার চর টার্মিনাল নির্মাণ এবং পানগাঁও টার্মিনাল দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘তাড়াহুড়ো করার ও গোপনীয়তার’ অভিযোগ এনে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বাম জোটের অভিযোগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তাদের যে তিনটি প্রধান কাজের কথা বলেছেন, তার বাইরে গিয়ে ‘এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে’ চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ‘উঠেপড়ে লেগেছে’ সরকার।
রোববার বিকালে চট্টগ্রামে বাম জোটের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
বুধবার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, লালদিয়ায় নির্মিতব্য নতুন কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালসকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিপিং কোম্পানি মার্স্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পানগাঁও নৌ টার্মিনালের দায়িত্ব সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান মেডলগের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ উল্লেখ করে বাম জোট এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন সরকারের মূল কাজ—জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার কার্যক্রম এবং সঠিক সময়ে নির্বাচন আয়োজন। অথচ এর বাইরে গিয়ে বন্দর ইজারা দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে সরকার।
সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে বাসদ-মার্কসবাদীর চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ বলেন, “সন্দেহজনক তাড়াহুড়ো, অনিয়ম ও গোপনীয়তার মাধ্যমে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএমের কাছে ৪৮ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের এই তাড়াহুড়ো ও গোপনীয়তা জনগণের মনে প্রশ্ন তুলছে। “কয়েকদিন আগে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বললেন, আমরা স্বাধীনতার এত বছরেও কোনো জাতীয় পোর্ট স্ট্র্যাটেজিক পলিসি তৈরি করতে পারিনি, এখন সরকার তা তৈরি করছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে—আপনি আগে সেই নীতি তৈরি করুন, তারপর প্রয়োজন হলে সিদ্ধান্ত নিন। এত তাড়াহুড়ো করে বিদেশিদের লিজ দিতে হবে কেন?”
চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস মোড়ে আয়োজিত এই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি–সিপিবির চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা ভুঁইয়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল–বাসদের চট্টগ্রাম জেলা শাখার প্রধান আল কাদেরি জয় এবং সদস্য জসিম উদ্দিন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়ার চর টার্মিনাল নির্মাণ এবং পানগাঁও টার্মিনাল দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘তাড়াহুড়ো করার ও গোপনীয়তার’ অভিযোগ এনে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
বাম জোটের অভিযোগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তাদের যে তিনটি প্রধান কাজের কথা বলেছেন, তার বাইরে গিয়ে ‘এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে’ চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ‘উঠেপড়ে লেগেছে’ সরকার।
রোববার বিকালে চট্টগ্রামে বাম জোটের আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব অভিযোগ তুলে ধরেন।
বুধবার পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির (পিপিপিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী জানান, লালদিয়ায় নির্মিতব্য নতুন কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্ব ডেনমার্কভিত্তিক এপিএম টার্মিনালসকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শিপিং কোম্পানি মার্স্ক গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এপিএম টার্মিনালসের সঙ্গে ৩০ বছরের চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। অন্যদিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পানগাঁও নৌ টার্মিনালের দায়িত্ব সুইজারল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান মেডলগের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।
টার্মিনাল ইজারা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী’ উল্লেখ করে বাম জোট এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তার সর্বশেষ ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন সরকারের মূল কাজ—জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার কার্যক্রম এবং সঠিক সময়ে নির্বাচন আয়োজন। অথচ এর বাইরে গিয়ে বন্দর ইজারা দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে সরকার।
সমাবেশের সভাপতির বক্তব্যে বাসদ-মার্কসবাদীর চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ বলেন, “সন্দেহজনক তাড়াহুড়ো, অনিয়ম ও গোপনীয়তার মাধ্যমে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল ডেনমার্কের কোম্পানি এপিএমের কাছে ৪৮ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, সরকারের এই তাড়াহুড়ো ও গোপনীয়তা জনগণের মনে প্রশ্ন তুলছে। “কয়েকদিন আগে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বললেন, আমরা স্বাধীনতার এত বছরেও কোনো জাতীয় পোর্ট স্ট্র্যাটেজিক পলিসি তৈরি করতে পারিনি, এখন সরকার তা তৈরি করছে। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে—আপনি আগে সেই নীতি তৈরি করুন, তারপর প্রয়োজন হলে সিদ্ধান্ত নিন। এত তাড়াহুড়ো করে বিদেশিদের লিজ দিতে হবে কেন?”
চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেস মোড়ে আয়োজিত এই সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি–সিপিবির চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছফা ভুঁইয়া, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল–বাসদের চট্টগ্রাম জেলা শাখার প্রধান আল কাদেরি জয় এবং সদস্য জসিম উদ্দিন।