গাইবান্ধা : সদর উপজেলার কামারজানি ঘাট থেকে শ্রমজীবী নারীরা ছুটছেন বিভিন্ন চরে -সংবাদ
ভোরের আলো ফুটতেই ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন খেয়াঘাটে জমতে থাকে নারীদের ভিড়। হাতে কোদাল বা দা, কারও হাতে গামছা বা খাবারের হাঁড়ি। কাজের সন্ধানে প্রতিদিন শতশত নারী ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন অর্ধশতাধিক খেয়াঘাটে। ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে তারা নৌকা করে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেন; তারপর আবার হেঁটে চর থেকে চরে ঘুরে দিনের শ্রম বিক্রির চেষ্টা করেন।
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১৬৫টি চর গ্রামে বাস করে প্রায় ৪ লাখ মানুষ। জেলার মোট ভৌগোলিক এলাকার ৩৫ শতাংশই চরাঞ্চল। কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে বর্ষা শেষে চরজুড়ে কাশ কেটে জমি প্রস্তুত করা, চাষাবাদ, পরিচর্যা এবং পরবর্তী শস্য ঘরে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর শ্রমিক। কিন্তু স্থানীয় শ্রমশক্তি দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব না হওয়ায় পশ্চিম পাড়ের মেইনল্যান্ড থেকে দলে দলে নারী-পুরুষ শ্রমিক আসে।
দিঘলকান্দি চরের সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলী সরকার জানান, বর্তমানে নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ মেইনল্যান্ডে কাজ সংকট, আয় কমে যাওয়া এবং পারিবারিক অভাব-অনটন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া চরের কৃষক রাজা মিয়া জানান, চরে এখন ব্যাপকভাবে ভুট্টা, মরিচ, বাদাম, বেগুনসহ নানা ফসল উৎপাদিত হয়। জমি তৈরি থেকে শুরু করে পরিচর্যা পর্যন্ত প্রতিদিনই শ্রমিক দরকার পড়ে। তিনি আরও বলেন, চরের প্রায় সব পরিবারই গড়ে ৪ থেকে ৫ বিঘা জমি বর্গা বা লিজ নিয়ে চাষ করে থাকে। শ্রমিক সংকট থাকায় মেইনল্যান্ডের নারীরাও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সাঘাটা উপজেলার দিঘলকান্দি চরের নুর ইসলাম তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ভুট্টার ক্ষেতের ঘাস পরিষ্কারের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ জন শ্রমিক লাগে। মেইনল্যান্ড থেকে নারী শ্রমিক এলে তাদেরকেই কাজ দিই, কারণ তাদের মজুরি তুলনামূলক কম। কুমারপাড়া চরের আশরাফ আলী বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের বেশ দাম, কিন্তু শ্রমিকের অভাবে তুলতে পারছিন না, নারী শ্রমিক আসছে তবে একসাথে চরে কাজ থাকায় নারী শ্রমিকদের বেশ চাহিদা বেশ বেশি।
ফুলছড়ির টেংরাকান্দি চরের খইমুদ্দিন বলেন, পশ্চিম পাড়ের নারী শ্রমিক না এলে চরের অনেক জমি পতিত পড়ে থাকত। আগামী চার মাস চরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কাজ-জমি তৈরি, চাষাবাদ, পরিচর্যা ও ফসল সংগ্রহ। এই পুরো সময়টায় নারী শ্রমিকের ওপরই চাষাবাদের বড় একটি অংশ নির্ভর।
শ্রমজীবী নারীরা জানাচ্ছেন, সংসারের দায়িত্বভার বাড়ায় তাদের চরে আসা ছাড়া উপায় থাকে না।
সাঘাটার চিনিরপটল গ্রামের করিমন নেছা বলেন, স্বামীর আয়ে সংসার চলে না। তাই ভোরে উঠে ছেলেমেয়ের খাবার বানিয়ে নদীর ঘাটে আসি। সারাদিন মাঠে কাজ করে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা টাকা পাই। এই আয় না হলে সংসারের বাজারও হতো না।
হাসিলকান্দির ছাবিনা খাতুন বলেন, আমি ৫ বছর ধরে চরে কাজ করছি। কাজ শেষে ফেরার পথে কাশিয়া কেটে আনি। এগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি। এতে গৃহস্থালির খরচ কিছুটা কমে যায়।
চিনিরপটল গ্রামের নুরজাহান বেগম বলেন, কার্তিকের শেষে পানি নামার পর চরে অনেক কাজ পাওয়া যায়। এই সময় না গেলে অভাব মেটে না।
সাঘাটা ওয়াপদা বাঁধের মানিকজান বেওয়া বলেন, আগে ভিক্ষা করতাম। এখন চরে গিয়ে কাজ করি। দিন শেষে ৩ থেকে ৪শ টাকা পাওয়া যায়। ফেরার পথে কিছু খড়ি আনলে আরও ৫০-৬০ টাকা পাওয়া যায়। এতে সংসারের খরচে একটু সাশ্রয় হয়।
সাঘাটার কুষক গ্রামের মিষ্টার প্রামানিক বলেন, কয়েক বছর আগেও চরের মানুষ কাজের জন্য মেইনল্যান্ডে আসত। কিন্তু এখন চিত্র উল্টো- মেইনল্যান্ডে কাজ কমে গেছে, চরে কাজের চাহিদা বেশি। নারীরা এখন দলে দলে নৌকায় চড়ে চরে যায়। এটা দেখলে বোঝা যায়, মেইনল্যান্ডে দারিদ্র্য বেড়েছে ও আয় কমে গেছে। তিনি মনে করেন, চরাঞ্চলে কৃষির বিস্তারের কারণে মৌসুমি শ্রমবাজার নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। যেখানে নারীরা স্বল্প মজুরিতে কাজ করায় কৃষকরা তুলনামূলক বেশি শ্রম নিতে পারছেন।
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কয়েকজন মহিলা শ্রমিক জানান, সারাদিন কাজ করে অন্ততপক্ষে ৩০০ টাকা পেলেও খেয়াঘাটের ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ও যাতায়াত ব্যয় বাদ দিলে হাতে খুব বেশি টাকা থাকে না। তবে কাজ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই-সংসার চালাতে তাদের এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়।
গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান ও উন্নয়ন গবেষক এম. আবদুস্ সালাম বলেন, চরাঞ্চলের কৃষিতে অগ্রগতি হওয়ায় নতুন কৃষিভিত্তিক শ্রমবাজার তৈরি হয়েছে, যা নারীদের জন্য মৌসুমি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ দিক থেকে এটি ইতিবাচক। তবে শ্রমবৈষম্য উদ্বেগজনক-একই শ্রমে নারী-পুরুষের মজুরি ভিন্ন হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চলের এই শ্রমবাজার স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল রাখলেও নারীদের যাতায়াত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি এবং মৌসুমি শ্রমের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা-এসব বিষয় নিয়ে নীতি পর্যায়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতিদিনের এই দীর্ঘ যাত্রা, কষ্ট ও শ্রমজীবী নারীদের দৃঢ়তাই প্রমাণ করে যে চরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির পেছনে নারী শ্রমিকদের অবদান দিন দিন বেড়েই চলেছে। জীবিকার তাগিদে তারা যেমন প্রতিদিন চরের পথে ছুটছেন, তেমনি চরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাও দিনদিন নারীদের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গাইবান্ধা : সদর উপজেলার কামারজানি ঘাট থেকে শ্রমজীবী নারীরা ছুটছেন বিভিন্ন চরে -সংবাদ
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ভোরের আলো ফুটতেই ব্রহ্মপুত্র নদের বিভিন্ন খেয়াঘাটে জমতে থাকে নারীদের ভিড়। হাতে কোদাল বা দা, কারও হাতে গামছা বা খাবারের হাঁড়ি। কাজের সন্ধানে প্রতিদিন শতশত নারী ব্রহ্মপুত্র নদের চরাঞ্চলে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন অর্ধশতাধিক খেয়াঘাটে। ৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে তারা নৌকা করে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দেন; তারপর আবার হেঁটে চর থেকে চরে ঘুরে দিনের শ্রম বিক্রির চেষ্টা করেন।
গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত ১৬৫টি চর গ্রামে বাস করে প্রায় ৪ লাখ মানুষ। জেলার মোট ভৌগোলিক এলাকার ৩৫ শতাংশই চরাঞ্চল। কৃষিনির্ভর এই অঞ্চলে বর্ষা শেষে চরজুড়ে কাশ কেটে জমি প্রস্তুত করা, চাষাবাদ, পরিচর্যা এবং পরবর্তী শস্য ঘরে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় প্রচুর শ্রমিক। কিন্তু স্থানীয় শ্রমশক্তি দিয়ে চাহিদা পূরণ সম্ভব না হওয়ায় পশ্চিম পাড়ের মেইনল্যান্ড থেকে দলে দলে নারী-পুরুষ শ্রমিক আসে।
দিঘলকান্দি চরের সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলী সরকার জানান, বর্তমানে নারীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ মেইনল্যান্ডে কাজ সংকট, আয় কমে যাওয়া এবং পারিবারিক অভাব-অনটন।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া চরের কৃষক রাজা মিয়া জানান, চরে এখন ব্যাপকভাবে ভুট্টা, মরিচ, বাদাম, বেগুনসহ নানা ফসল উৎপাদিত হয়। জমি তৈরি থেকে শুরু করে পরিচর্যা পর্যন্ত প্রতিদিনই শ্রমিক দরকার পড়ে। তিনি আরও বলেন, চরের প্রায় সব পরিবারই গড়ে ৪ থেকে ৫ বিঘা জমি বর্গা বা লিজ নিয়ে চাষ করে থাকে। শ্রমিক সংকট থাকায় মেইনল্যান্ডের নারীরাও এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সাঘাটা উপজেলার দিঘলকান্দি চরের নুর ইসলাম তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, আমার ১০ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। ভুট্টার ক্ষেতের ঘাস পরিষ্কারের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ জন শ্রমিক লাগে। মেইনল্যান্ড থেকে নারী শ্রমিক এলে তাদেরকেই কাজ দিই, কারণ তাদের মজুরি তুলনামূলক কম। কুমারপাড়া চরের আশরাফ আলী বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের বেশ দাম, কিন্তু শ্রমিকের অভাবে তুলতে পারছিন না, নারী শ্রমিক আসছে তবে একসাথে চরে কাজ থাকায় নারী শ্রমিকদের বেশ চাহিদা বেশ বেশি।
ফুলছড়ির টেংরাকান্দি চরের খইমুদ্দিন বলেন, পশ্চিম পাড়ের নারী শ্রমিক না এলে চরের অনেক জমি পতিত পড়ে থাকত। আগামী চার মাস চরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কাজ-জমি তৈরি, চাষাবাদ, পরিচর্যা ও ফসল সংগ্রহ। এই পুরো সময়টায় নারী শ্রমিকের ওপরই চাষাবাদের বড় একটি অংশ নির্ভর।
শ্রমজীবী নারীরা জানাচ্ছেন, সংসারের দায়িত্বভার বাড়ায় তাদের চরে আসা ছাড়া উপায় থাকে না।
সাঘাটার চিনিরপটল গ্রামের করিমন নেছা বলেন, স্বামীর আয়ে সংসার চলে না। তাই ভোরে উঠে ছেলেমেয়ের খাবার বানিয়ে নদীর ঘাটে আসি। সারাদিন মাঠে কাজ করে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা টাকা পাই। এই আয় না হলে সংসারের বাজারও হতো না।
হাসিলকান্দির ছাবিনা খাতুন বলেন, আমি ৫ বছর ধরে চরে কাজ করছি। কাজ শেষে ফেরার পথে কাশিয়া কেটে আনি। এগুলো জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করি। এতে গৃহস্থালির খরচ কিছুটা কমে যায়।
চিনিরপটল গ্রামের নুরজাহান বেগম বলেন, কার্তিকের শেষে পানি নামার পর চরে অনেক কাজ পাওয়া যায়। এই সময় না গেলে অভাব মেটে না।
সাঘাটা ওয়াপদা বাঁধের মানিকজান বেওয়া বলেন, আগে ভিক্ষা করতাম। এখন চরে গিয়ে কাজ করি। দিন শেষে ৩ থেকে ৪শ টাকা পাওয়া যায়। ফেরার পথে কিছু খড়ি আনলে আরও ৫০-৬০ টাকা পাওয়া যায়। এতে সংসারের খরচে একটু সাশ্রয় হয়।
সাঘাটার কুষক গ্রামের মিষ্টার প্রামানিক বলেন, কয়েক বছর আগেও চরের মানুষ কাজের জন্য মেইনল্যান্ডে আসত। কিন্তু এখন চিত্র উল্টো- মেইনল্যান্ডে কাজ কমে গেছে, চরে কাজের চাহিদা বেশি। নারীরা এখন দলে দলে নৌকায় চড়ে চরে যায়। এটা দেখলে বোঝা যায়, মেইনল্যান্ডে দারিদ্র্য বেড়েছে ও আয় কমে গেছে। তিনি মনে করেন, চরাঞ্চলে কৃষির বিস্তারের কারণে মৌসুমি শ্রমবাজার নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। যেখানে নারীরা স্বল্প মজুরিতে কাজ করায় কৃষকরা তুলনামূলক বেশি শ্রম নিতে পারছেন।
অভিজ্ঞতা তুলে ধরে কয়েকজন মহিলা শ্রমিক জানান, সারাদিন কাজ করে অন্ততপক্ষে ৩০০ টাকা পেলেও খেয়াঘাটের ভাড়া, খাওয়া-দাওয়া ও যাতায়াত ব্যয় বাদ দিলে হাতে খুব বেশি টাকা থাকে না। তবে কাজ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই-সংসার চালাতে তাদের এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়।
গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান ও উন্নয়ন গবেষক এম. আবদুস্ সালাম বলেন, চরাঞ্চলের কৃষিতে অগ্রগতি হওয়ায় নতুন কৃষিভিত্তিক শ্রমবাজার তৈরি হয়েছে, যা নারীদের জন্য মৌসুমি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এ দিক থেকে এটি ইতিবাচক। তবে শ্রমবৈষম্য উদ্বেগজনক-একই শ্রমে নারী-পুরুষের মজুরি ভিন্ন হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত।
তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চলের এই শ্রমবাজার স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল রাখলেও নারীদের যাতায়াত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি এবং মৌসুমি শ্রমের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা-এসব বিষয় নিয়ে নীতি পর্যায়ে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রতিদিনের এই দীর্ঘ যাত্রা, কষ্ট ও শ্রমজীবী নারীদের দৃঢ়তাই প্রমাণ করে যে চরাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির পেছনে নারী শ্রমিকদের অবদান দিন দিন বেড়েই চলেছে। জীবিকার তাগিদে তারা যেমন প্রতিদিন চরের পথে ছুটছেন, তেমনি চরাঞ্চলের কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থাও দিনদিন নারীদের ওপর আরও নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।