ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সাগর আর নদী দিয়ে ঘেরা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা পাওয়া যায়নি তাদের। যাদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠতো উপকুলীয় এলাকা। নদ নদী হাওর বাওর ডুবোচরগুলো থাকতো যাদের দখলে, রাত পোহাতে না পোহাতেই দল বেধে উরে আসতো লোকালয়ের বিলে পরে থাকা ধান খেতে।
কিঁচির মিঁচির শব্দে ঘুম ভাংতো গ্রামবাসীর। বিলের মাঝে উরে উরে চক্কর খেত খাদ্যের সন্ধানে। এখন আর দেখা নেই তাদের। হারিয়ে যাচ্ছে সুদুর সাইবেরিয়া অষ্ট্রেলিয়াসহ শীত প্রধান দেশ থেকে উরে আসা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী অতিথি পাখি। এই হারানো হতাশ করেছে পাখি প্রেমিদের।
উপকুল ঘুরে স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে, প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সাদা হাস, লাল হাস, সরাইল, বোটল (স্থানীয় নাম) সহ হাস জাতীয় পাখিরা দল বেধে উরে আসতো উপকুলীয় এলাকায়। তাদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠতো হাওর বাওর নদ নদীর মোহনায় জেগে ওঠা দ্বীপগুলো। খাদ্যের অন্বেষণে উরে যেত এক নদী থেকে আরেক নদীতে, বিভিন্ন হাওর বাওরে।
কুয়াশাচ্ছন্ন রাত পোহাতে না পোহাতেই ঝাঁকে ঝাঁকে উরে আসতো লোকালয়ের বিলে পরে থাকা ধান খেতে। তাদের কিচির মিচির শব্দে ঘুম ভাংতো গ্রামবাসীর। ঘুম থেকে উঠে বিলের দিকে তাকালে মৌমাছির ঝাকের মতো দল বেধে উরতে দেখা যেত পাখিদের। বছর তিনেক আগ থেকে কমতে শুরু করেছে অতিথিরা। এবছর দেখা নেই বললেই চলে। খালি পরে আছে, হাওর বাওরগুলো। উপকুলবাসীরা জানান, ফসলে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার পর থেকে কমে গেছে উরো হাঁসসহ দেশীয় প্রজাতির পাখিও।
এ ব্যাপারে বে সরকারী সংস্থা ভার্ক এর জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের কো অর্ডিনেটর মোঃ মোহসিন হাওলাদার বলেন, এই অঞ্চল এখন অতিথি পাখির জন্য সু রক্ষিত নয়। জলবায়ুর পরিবর্তনে, ঠিক সময় শীত না পরা, কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার, এক শ্রেণীর শিকারীদের অত্যাচার, সব মিলিয়ে অতিথি পাখিরা এই অঞ্চল ছেরে দিয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
সাগর আর নদী দিয়ে ঘেরা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা পাওয়া যায়নি তাদের। যাদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠতো উপকুলীয় এলাকা। নদ নদী হাওর বাওর ডুবোচরগুলো থাকতো যাদের দখলে, রাত পোহাতে না পোহাতেই দল বেধে উরে আসতো লোকালয়ের বিলে পরে থাকা ধান খেতে।
কিঁচির মিঁচির শব্দে ঘুম ভাংতো গ্রামবাসীর। বিলের মাঝে উরে উরে চক্কর খেত খাদ্যের সন্ধানে। এখন আর দেখা নেই তাদের। হারিয়ে যাচ্ছে সুদুর সাইবেরিয়া অষ্ট্রেলিয়াসহ শীত প্রধান দেশ থেকে উরে আসা প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষাকারী অতিথি পাখি। এই হারানো হতাশ করেছে পাখি প্রেমিদের।
উপকুল ঘুরে স্থানীয়দের কাছে জানা গেছে, প্রতি বছর শীত মৌসুম এলেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সাদা হাস, লাল হাস, সরাইল, বোটল (স্থানীয় নাম) সহ হাস জাতীয় পাখিরা দল বেধে উরে আসতো উপকুলীয় এলাকায়। তাদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠতো হাওর বাওর নদ নদীর মোহনায় জেগে ওঠা দ্বীপগুলো। খাদ্যের অন্বেষণে উরে যেত এক নদী থেকে আরেক নদীতে, বিভিন্ন হাওর বাওরে।
কুয়াশাচ্ছন্ন রাত পোহাতে না পোহাতেই ঝাঁকে ঝাঁকে উরে আসতো লোকালয়ের বিলে পরে থাকা ধান খেতে। তাদের কিচির মিচির শব্দে ঘুম ভাংতো গ্রামবাসীর। ঘুম থেকে উঠে বিলের দিকে তাকালে মৌমাছির ঝাকের মতো দল বেধে উরতে দেখা যেত পাখিদের। বছর তিনেক আগ থেকে কমতে শুরু করেছে অতিথিরা। এবছর দেখা নেই বললেই চলে। খালি পরে আছে, হাওর বাওরগুলো। উপকুলবাসীরা জানান, ফসলে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার পর থেকে কমে গেছে উরো হাঁসসহ দেশীয় প্রজাতির পাখিও।
এ ব্যাপারে বে সরকারী সংস্থা ভার্ক এর জলবায়ু পরিবর্তন প্রকল্পের কো অর্ডিনেটর মোঃ মোহসিন হাওলাদার বলেন, এই অঞ্চল এখন অতিথি পাখির জন্য সু রক্ষিত নয়। জলবায়ুর পরিবর্তনে, ঠিক সময় শীত না পরা, কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার, এক শ্রেণীর শিকারীদের অত্যাচার, সব মিলিয়ে অতিথি পাখিরা এই অঞ্চল ছেরে দিয়েছে।