গাইবান্ধা : ভাঙনে বিলী রাস্তা -সংবাদ
যমুনা নদীতে তেমন পানি না থাকলেও আকস্মিক ভাঙনের তীব্রতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দি, গুয়াবাড়ি ও পাতিলবাড়ি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। গত রাতেই ভাঙন আশঙ্কায় মাইকিং করে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে মসজিদমাদ্রাসা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, ভাঙনের শিকার শতাধিক পরিবার কোনোরকমে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনার পানি কমলেও ভাঙনের ভয়াবহতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে দক্ষিণ দিঘলকান্দি, গুয়াবাড়ি ও পাতিলবাড়ি গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভেঙে গেছে শত শত গাছপালা, কাঁচা সড়ক, দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কয়েকশত একর আবাদি জমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষজন এখন দিনরাত বাড়িঘর সরাতে ব্যস্ত, কৃষিকাজ একপ্রকার থমকে গেছে। পাতিলবাড়ি গ্রামের মির্জা মনির হোসেন বলেন, এই সময়ে আমাদের জমিতে কাজ করার কথা ছিলো। কিন্তু এখন তিন গ্রামের মানুষের দিন কাটছে শুধু বাড়ি টানাটানিতে। সকাল বিকাল ভাঙন দৌরাত্ম্য বাড়ছে।
গুয়াবাড়ি গ্রামের আবু সাঈদ বলেন, নদীতে পানি থাকা অবস্থায় শান্ত ছিলো যমুনা। পানি কমতেই হঠাৎ করে এভাবে ভাঙন শুরু হবে ভাবিনি। রাতদিন ভয়ে আছি।
পাতিলবাড়ি চরের বাসিন্দা বাবুল প্রামাণিক জানান, এ বছর দুইবার বাড়ি সরাতে হলো। কৃষি শ্রমিকের কাজ করে কিছু টাকা সঞ্চয় করতাম, ভাঙনে সব শেষ। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলী সরকার বলেন, চরে কোনো ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। হঠাৎ ভাঙনে প্রতিনিয়ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী উদ্যোগ না নিলে পুরো চর এলাকা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, যমুনার ভাঙন রোধে কার্যকর বাঁধ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় চরের বিস্তীর্ণ জনপদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
গাইবান্ধা : ভাঙনে বিলী রাস্তা -সংবাদ
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
যমুনা নদীতে তেমন পানি না থাকলেও আকস্মিক ভাঙনের তীব্রতায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দি, গুয়াবাড়ি ও পাতিলবাড়ি গ্রামের তিন শতাধিক পরিবার। গত রাতেই ভাঙন আশঙ্কায় মাইকিং করে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে মসজিদমাদ্রাসা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, ভাঙনের শিকার শতাধিক পরিবার কোনোরকমে আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যমুনার পানি কমলেও ভাঙনের ভয়াবহতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহে দক্ষিণ দিঘলকান্দি, গুয়াবাড়ি ও পাতিলবাড়ি গ্রামের শতাধিক পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভেঙে গেছে শত শত গাছপালা, কাঁচা সড়ক, দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কয়েকশত একর আবাদি জমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকা মানুষজন এখন দিনরাত বাড়িঘর সরাতে ব্যস্ত, কৃষিকাজ একপ্রকার থমকে গেছে। পাতিলবাড়ি গ্রামের মির্জা মনির হোসেন বলেন, এই সময়ে আমাদের জমিতে কাজ করার কথা ছিলো। কিন্তু এখন তিন গ্রামের মানুষের দিন কাটছে শুধু বাড়ি টানাটানিতে। সকাল বিকাল ভাঙন দৌরাত্ম্য বাড়ছে।
গুয়াবাড়ি গ্রামের আবু সাঈদ বলেন, নদীতে পানি থাকা অবস্থায় শান্ত ছিলো যমুনা। পানি কমতেই হঠাৎ করে এভাবে ভাঙন শুরু হবে ভাবিনি। রাতদিন ভয়ে আছি।
পাতিলবাড়ি চরের বাসিন্দা বাবুল প্রামাণিক জানান, এ বছর দুইবার বাড়ি সরাতে হলো। কৃষি শ্রমিকের কাজ করে কিছু টাকা সঞ্চয় করতাম, ভাঙনে সব শেষ। পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে আছি। হলদিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ওমর আলী সরকার বলেন, চরে কোনো ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। হঠাৎ ভাঙনে প্রতিনিয়ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দ্রুত স্থায়ী উদ্যোগ না নিলে পুরো চর এলাকা ঝুঁকিতে পড়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, যমুনার ভাঙন রোধে কার্যকর বাঁধ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় চরের বিস্তীর্ণ জনপদ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা