ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সুস্মিতা শীল (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের জেলে পাড়ায় স্বামীর বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুস্মিতা শীল কুচিয়ামোড়া জেলে পাড়ার সজল রাজবংশীর স্ত্রী এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তাতিরহাট টেকেরহাট গ্রামের দীপঙ্কর শীলার মেয়ে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে অভিমান থেকে সুস্মিতা নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রাতের ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আরও জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে সজল রাজবংশীর সঙ্গে সুস্মিতা শীলের বিয়ে হয়। তাদের চার বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। নিহত সুস্মিতার চাচা সিদাম শীল অভিযোগ করে বলেন,আমাদের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে সুস্মিতার ভাইকে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে তারা আমাদের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও বিদেশে পাঠায়নি। এরপর আবার অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার জন্য সুস্মিতার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। পরে বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মেয়ের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে সুস্মিতা শীল (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের জেলে পাড়ায় স্বামীর বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সুস্মিতা শীল কুচিয়ামোড়া জেলে পাড়ার সজল রাজবংশীর স্ত্রী এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তাতিরহাট টেকেরহাট গ্রামের দীপঙ্কর শীলার মেয়ে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে অভিমান থেকে সুস্মিতা নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রাতের ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। আরও জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে সজল রাজবংশীর সঙ্গে সুস্মিতা শীলের বিয়ে হয়। তাদের চার বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। নিহত সুস্মিতার চাচা সিদাম শীল অভিযোগ করে বলেন,আমাদের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে সুস্মিতার ভাইকে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে তারা আমাদের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও বিদেশে পাঠায়নি। এরপর আবার অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার জন্য সুস্মিতার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। পরে বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মেয়ের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।