দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলায় আমন খেতে রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষ -সংবাদ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমের মধ্যেই রিলে পদ্ধতিতে রোপা আমনের জমিতে সরিষার চাষাবাদ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদেরকে কারিগরি প্রশিক্ষন দিয়ে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার ব্যাপারে অবহিত করা হয়। চলতি মৌসুমে প্রায় ১০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিনা সরিষা-১১ বীজ বিতরন করা হয়। কৃষকরা তাদের রোপা আমনের ফসলি জমিতে রিলে পদ্ধতিতে আমন ক্ষেতে বিনা সরিষার চাষ শুরু করেছে। বাড়তি কোন খরচ ছাড়াই কৃষকরা সরিষা চাষে লাভবান হবে। রোপা আমন জমিতে রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষাবাদের ফলে তৈল ফসলের ঘাটতি পূরনে অসাধারণ একটি প্রযুক্তি। উপজেলার কৃষকরা একের ভিতরে দুইটি ফসল পাবে বলে আশা করছে।
দশমিনা উপজেলা মূলতঃ কৃষি নির্ভর একটি উপজেলা হলেও কৃষি ও কৃষকরা এক অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে থাকে। উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে তদারকির মাধ্যমে কৃষকদেরকে কারিগরিভাবে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার কৃষকদেরকে আগাম বিনা সরিষা আবাদের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। কৃষকরা ইতিমধ্যে রোপা আমন খেতে রিলে পদ্ধতিতে বিনা সরিষার চাষাবাদ শুরু করেছে। রোপা আমন ধান কর্তনের পর প্রায় দুইমাস ফসলি খেতে কোন চাষ হয় না। এই দুই মাসের মধ্যে সরিষা আগাম হিসাবে একটি সাথী ফসল হয়ে কৃষকদেরকে বাড়তি লাভের মুখ দেখাবে।
কৃষি অফিস সূত্রে জনা যায়, গত বছর কম জমিতে সরিষার চাষ করা হলেও এই বছর উপজেলায় বেশ কয়েক একর জমিতে সরিষার চাষ হয়। রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষে চাষিদের আগ্রহ ব্যাপক রয়েছে। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের সফল সরিষা চাষি মো. আবদুল জলিল তালুকদার বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় দ্বিগুন জমি সরিষা চাষের জন্য প্রস্তুত করছি। প্রাথমিক ভাবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে শিখেছি সরিষা চাষের বিভিন্ন নিয়মকানুন। সরিষা চাষে বিনা সরিষা-১১ বীজ ব্যবহার করছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই বছর গত বছরের চেয়ে বিশি ফলন ও লাভ হবো। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের সরিষা চাষি মো. পারভেজ বলেন, এলাকার কৃষকরা জমিতে সরিষার চাষ শুরু করেছে। আমি রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষ করা পদ্ধতি শিখেছি। চলতি বছর এই প্রথম বারের মতো সরিষার চাষ করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই বছর সরিষার ভালো ফলন আশা করছি। উপজেলাার বহরমপুর ইউনিয়নের সরিষা চাষী মো. শানু মুধা বলেন, এই বছর রিলে পদ্ধতিতে সরিষা আবাদ করছি। কোন খরচ না থাকা বিনামূল্যে বীজ পাওয়ায় আমন জমিতে সরিষার চাষ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, উপজেলায় এই বছর ৪০ একর জমিতে রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষ করা হয়। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বিনা সরিষা-১১ বীজ দেয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন কৃষকদের সাথে থেকে সকল প্রকার পরামর্শ দিচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই বছর সরিষা চাষিরা বাম্পার ফলন পাবেন ও লাভবানও বেশি হবেন। কৃষিই সমৃদ্ধি এবং কৃষিকে এগিয়ে নিতে অত্র উপজেলায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
দশমিনা (পটুয়াখালী) : উপজেলায় আমন খেতে রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষ -সংবাদ
সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে চলতি আমন মৌসুমের মধ্যেই রিলে পদ্ধতিতে রোপা আমনের জমিতে সরিষার চাষাবাদ করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদেরকে কারিগরি প্রশিক্ষন দিয়ে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করার ব্যাপারে অবহিত করা হয়। চলতি মৌসুমে প্রায় ১০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বিনা সরিষা-১১ বীজ বিতরন করা হয়। কৃষকরা তাদের রোপা আমনের ফসলি জমিতে রিলে পদ্ধতিতে আমন ক্ষেতে বিনা সরিষার চাষ শুরু করেছে। বাড়তি কোন খরচ ছাড়াই কৃষকরা সরিষা চাষে লাভবান হবে। রোপা আমন জমিতে রিলে পদ্ধতিতে সরিষা চাষাবাদের ফলে তৈল ফসলের ঘাটতি পূরনে অসাধারণ একটি প্রযুক্তি। উপজেলার কৃষকরা একের ভিতরে দুইটি ফসল পাবে বলে আশা করছে।
দশমিনা উপজেলা মূলতঃ কৃষি নির্ভর একটি উপজেলা হলেও কৃষি ও কৃষকরা এক অপরের পরিপূরক হিসাবে কাজ করে থাকে। উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে তদারকির মাধ্যমে কৃষকদেরকে কারিগরিভাবে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার কৃষকদেরকে আগাম বিনা সরিষা আবাদের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। কৃষকরা ইতিমধ্যে রোপা আমন খেতে রিলে পদ্ধতিতে বিনা সরিষার চাষাবাদ শুরু করেছে। রোপা আমন ধান কর্তনের পর প্রায় দুইমাস ফসলি খেতে কোন চাষ হয় না। এই দুই মাসের মধ্যে সরিষা আগাম হিসাবে একটি সাথী ফসল হয়ে কৃষকদেরকে বাড়তি লাভের মুখ দেখাবে।
কৃষি অফিস সূত্রে জনা যায়, গত বছর কম জমিতে সরিষার চাষ করা হলেও এই বছর উপজেলায় বেশ কয়েক একর জমিতে সরিষার চাষ হয়। রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষে চাষিদের আগ্রহ ব্যাপক রয়েছে। উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের সফল সরিষা চাষি মো. আবদুল জলিল তালুকদার বলেন, চলতি বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় দ্বিগুন জমি সরিষা চাষের জন্য প্রস্তুত করছি। প্রাথমিক ভাবে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে শিখেছি সরিষা চাষের বিভিন্ন নিয়মকানুন। সরিষা চাষে বিনা সরিষা-১১ বীজ ব্যবহার করছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই বছর গত বছরের চেয়ে বিশি ফলন ও লাভ হবো। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চরহোসনাবাদ গ্রামের সরিষা চাষি মো. পারভেজ বলেন, এলাকার কৃষকরা জমিতে সরিষার চাষ শুরু করেছে। আমি রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষ করা পদ্ধতি শিখেছি। চলতি বছর এই প্রথম বারের মতো সরিষার চাষ করছি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই বছর সরিষার ভালো ফলন আশা করছি। উপজেলাার বহরমপুর ইউনিয়নের সরিষা চাষী মো. শানু মুধা বলেন, এই বছর রিলে পদ্ধতিতে সরিষা আবাদ করছি। কোন খরচ না থাকা বিনামূল্যে বীজ পাওয়ায় আমন জমিতে সরিষার চাষ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ জানান, উপজেলায় এই বছর ৪০ একর জমিতে রিলে পদ্ধতিতে সরিষার চাষ করা হয়। কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বিনা সরিষা-১১ বীজ দেয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন কৃষকদের সাথে থেকে সকল প্রকার পরামর্শ দিচ্ছে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই বছর সরিষা চাষিরা বাম্পার ফলন পাবেন ও লাভবানও বেশি হবেন। কৃষিই সমৃদ্ধি এবং কৃষিকে এগিয়ে নিতে অত্র উপজেলায় আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।