ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সোহেল রানা (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গলাকেটে, মুখমন্ডল পুড়িয়ে ও বিবস্ত্র করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অংশ কেটে নিয়ে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠের ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা ধান কাটতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পায়। সোহেল উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হরিপুরের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকরা জানান, বুধবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় তারা মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠে কৃষক মনির জমিতে তারা একটি মুখ পোড়ানো, গলাকাট ও বিবস্ত্র মধ্যবয়সী পুরুষ মানুষের মরদেহ দেখতে পায়। তাদের ধারনা মৃত সোহেলকে পাশের রাস্তায় গত মঙ্গলবার রাতেই হয়তো গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশটিকে পাশর্^বর্তী ধানক্ষেতে দূর্বৃত্তরা ফেলে রেখে যায়। তাদের ধারনা, এসময় তাকে বিবস্ত্র করে ওই পোশাক দিয়েই তার মুখ পুড়িয়ে দিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। পরে আতঙ্কিত কৃষকরা পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয় কৃষক রাজা আলী বলেন, বুধবার সকালে আমি আমার জমিতে সার ও বীজ দিতে এসেছিলাম। আমার ঠিক পাশের জমিতে দুর থেকে তাকিয়ে দেখি পুতুলের মতো কি যেন একটা পড়ে আছে। কাছে দিয়ে দেখি মধ্যবয়সী একজনের মতৃদেহ। পরে কৃষক রুহুল শেখের মোবাইল থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রব তালুকদার সোহেল হত্যাকান্ডের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, বুধবার সকালে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিলের মাঠে একজনের মৃতদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি ও আমার টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি দেখতে পায়। মরদেহটির মুখমন্ডল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ায় প্রথমদিকে কেউ চিনতে না পারলেও দুপুরের পরে জানা যায়, মরদেহটি উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল রানার। থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম হত্যাকান্ডের ঘটনার রহস্য উন্মোচনে তদন্ত অব্যাহত আছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সোহেল রানা (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গলাকেটে, মুখমন্ডল পুড়িয়ে ও বিবস্ত্র করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর অংশ কেটে নিয়ে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠের ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা ধান কাটতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পায়। সোহেল উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হরিপুরের বাসিন্দা আবুল কালামের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকরা জানান, বুধবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় তারা মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠে কৃষক মনির জমিতে তারা একটি মুখ পোড়ানো, গলাকাট ও বিবস্ত্র মধ্যবয়সী পুরুষ মানুষের মরদেহ দেখতে পায়। তাদের ধারনা মৃত সোহেলকে পাশের রাস্তায় গত মঙ্গলবার রাতেই হয়তো গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশটিকে পাশর্^বর্তী ধানক্ষেতে দূর্বৃত্তরা ফেলে রেখে যায়। তাদের ধারনা, এসময় তাকে বিবস্ত্র করে ওই পোশাক দিয়েই তার মুখ পুড়িয়ে দিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। পরে আতঙ্কিত কৃষকরা পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয় কৃষক রাজা আলী বলেন, বুধবার সকালে আমি আমার জমিতে সার ও বীজ দিতে এসেছিলাম। আমার ঠিক পাশের জমিতে দুর থেকে তাকিয়ে দেখি পুতুলের মতো কি যেন একটা পড়ে আছে। কাছে দিয়ে দেখি মধ্যবয়সী একজনের মতৃদেহ। পরে কৃষক রুহুল শেখের মোবাইল থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রব তালুকদার সোহেল হত্যাকান্ডের বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেন বলেন, বুধবার সকালে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বিলের মাঠে একজনের মৃতদেহ পড়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি ও আমার টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহটি দেখতে পায়। মরদেহটির মুখমন্ডল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ায় প্রথমদিকে কেউ চিনতে না পারলেও দুপুরের পরে জানা যায়, মরদেহটি উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহেল রানার। থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম হত্যাকান্ডের ঘটনার রহস্য উন্মোচনে তদন্ত অব্যাহত আছে।