রাজশাহী : রং, চুন এবং হাইড্রোজ মিশিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে -সংবাদ
ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যপণ্য, যা নীরব ঘাতকের মতো মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ হুমকি তৈরি করেছে। প্রতিদিন মানুষ অজান্তেই ঝুঁকিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে ক্যানসারসহ মারাত্মক জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, বিপন্ন হচ্ছে জনস্বাস্থ্য।
রাজশাহীতে খেজুরের রস ছাড়াই ভেজাল গুড় তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার সকালে বাঘা উপজেলার আড়ানি শাহাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, খেজুরের রস ব্যবহার না করে চিনি, রং, চুন এবং হাইড্রোজ মিশিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানার মালিক মোছা. লাকি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রস ব্যবহার করেন না এটি চিনি গুড়, যা গোপালপুর, লালপুরসহ বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে তার স্বামী পালিয়ে যায়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইবরাহিম হোসেন বলেন, গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এখানে গুড়ের চেয়ে চিনির পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে, রসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সচেতনতা বাড়ানো এবং ভেজাল নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাব-৫ রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল গুড় তৈরির তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। ক্ষতিকর কেমিকেল মিশিয়ে এগুলোকে খেজুর ও আখের গুড় হিসেবে বাজারজাত করে মানুষকে ক্ষতির মুখে ফেলা হচ্ছিল। ভেজাল প্রতিরোধে র্যাব সক্রিয় ছিল এবং ভবিষ্যতেও অভিযান চলবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রাজশাহী : রং, চুন এবং হাইড্রোজ মিশিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যপণ্য, যা নীরব ঘাতকের মতো মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর ভয়াবহ হুমকি তৈরি করেছে। প্রতিদিন মানুষ অজান্তেই ঝুঁকিপূর্ণ খাবার গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে ক্যানসারসহ মারাত্মক জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে, বিপন্ন হচ্ছে জনস্বাস্থ্য।
রাজশাহীতে খেজুরের রস ছাড়াই ভেজাল গুড় তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
গতকাল বুধবার সকালে বাঘা উপজেলার আড়ানি শাহাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, খেজুরের রস ব্যবহার না করে চিনি, রং, চুন এবং হাইড্রোজ মিশিয়ে গুড় তৈরি করা হচ্ছে।
কারখানার মালিক মোছা. লাকি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি রস ব্যবহার করেন না এটি চিনি গুড়, যা গোপালপুর, লালপুরসহ বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে তার স্বামী পালিয়ে যায়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইবরাহিম হোসেন বলেন, গোপন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এখানে গুড়ের চেয়ে চিনির পরিমাণ বেশি পাওয়া গেছে, রসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ কারণে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সচেতনতা বাড়ানো এবং ভেজাল নির্মূলে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
র্যাব-৫ রাজশাহীর উপ-অধিনায়ক মেজর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভেজাল গুড় তৈরির তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। ক্ষতিকর কেমিকেল মিশিয়ে এগুলোকে খেজুর ও আখের গুড় হিসেবে বাজারজাত করে মানুষকে ক্ষতির মুখে ফেলা হচ্ছিল। ভেজাল প্রতিরোধে র্যাব সক্রিয় ছিল এবং ভবিষ্যতেও অভিযান চলবে।