ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বর ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাসভবন সম্মুখের চত্ত্বর মাঠে সপ্তাহব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও পশুপাখি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ডিমলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত প্রথম দিনে স্টলে দেখা যায় খাঁচায় বন্দি বালিহাঁস, ডাহুক, ঘুঘুসহ কয়েকটি বন্যপাখি।
দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী পশুপাখি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
ডিমলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মদন কুমার রায় বলেন, প্রদর্শিত পাখিগুলো সব পোষা। এ ধরনের শৌখিন পাখি প্রদর্শনী সব উপজেলাতেই হচ্ছে। কেউ বন থেকে পাখি ধরে আমাদের স্টলে নিয়ে আসেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্টলে লাভ বার্ড, বাজেরিগার বা পারাকিট, ডাহুক, ঘুঘু ও বালিহাঁস খাঁচায় রাখা হয়েছে। ঘুঘু, বাজেরিগার, ডাহুক ও বালিহাঁস খাঁচায় আনার দায়িত্বে ছিলেন খগাখরিবাড়ি ইউনিয়নের লাম ইসলামের ছেলে লাবলু মিয়া এবং ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালি গ্রামের তৈল মিয়ার ছেলে সেতু মামুদ। তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই পাখিগুলো পালন করছি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় আমাদের এখানে পাখিগুলো নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং খরচও দেবে।
ডা. মদন কুমার রায় আরও বলেন, আমার জানা মতে, বন্যপ্রাণী অনুমতি ছাড়া পালন করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া পালন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী বিষয়টি বন বিভাগের দায়িত্ব। আমাদের মেলার মূল লক্ষ্য হলো গৃহপালিত প্রাণী যেমন- লাভ বার্ড, কবুতর, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি।
প্রাণীপ্রেমী আনিছুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী কখনোই খাঁচায় রাখা উচিত নয়। এটি আইনত অপরাধ। ডাহুক, ঘুঘু, বাজেরিগার কখনো শৌখিন পাখি হতে পারে না। বন্যপ্রাণী ধরা, হত্যা, খাওয়া, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার বা দখলে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, জীবন, জীবিকা ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় প্রাণিসম্পদ অফিস চত্বর ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাসভবন সম্মুখের চত্ত্বর মাঠে সপ্তাহব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও পশুপাখি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ডিমলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। গতকাল বুধবার বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত প্রথম দিনে স্টলে দেখা যায় খাঁচায় বন্দি বালিহাঁস, ডাহুক, ঘুঘুসহ কয়েকটি বন্যপাখি।
দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী পশুপাখি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
ডিমলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মদন কুমার রায় বলেন, প্রদর্শিত পাখিগুলো সব পোষা। এ ধরনের শৌখিন পাখি প্রদর্শনী সব উপজেলাতেই হচ্ছে। কেউ বন থেকে পাখি ধরে আমাদের স্টলে নিয়ে আসেনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্টলে লাভ বার্ড, বাজেরিগার বা পারাকিট, ডাহুক, ঘুঘু ও বালিহাঁস খাঁচায় রাখা হয়েছে। ঘুঘু, বাজেরিগার, ডাহুক ও বালিহাঁস খাঁচায় আনার দায়িত্বে ছিলেন খগাখরিবাড়ি ইউনিয়নের লাম ইসলামের ছেলে লাবলু মিয়া এবং ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালি গ্রামের তৈল মিয়ার ছেলে সেতু মামুদ। তারা জানান, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই পাখিগুলো পালন করছি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় আমাদের এখানে পাখিগুলো নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং খরচও দেবে।
ডা. মদন কুমার রায় আরও বলেন, আমার জানা মতে, বন্যপ্রাণী অনুমতি ছাড়া পালন করা যাবে না। অনুমতি ছাড়া পালন করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী বিষয়টি বন বিভাগের দায়িত্ব। আমাদের মেলার মূল লক্ষ্য হলো গৃহপালিত প্রাণী যেমন- লাভ বার্ড, কবুতর, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি ইত্যাদি।
প্রাণীপ্রেমী আনিছুর রহমান বলেন, বন্যপ্রাণী কখনোই খাঁচায় রাখা উচিত নয়। এটি আইনত অপরাধ। ডাহুক, ঘুঘু, বাজেরিগার কখনো শৌখিন পাখি হতে পারে না। বন্যপ্রাণী ধরা, হত্যা, খাওয়া, ক্রয়-বিক্রয়, পাচার বা দখলে রাখা দণ্ডনীয় অপরাধ। বন্যপ্রাণী দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ, জীবন, জীবিকা ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।