বাম্পার ফলন হওয়ায় বিরাজ হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে করছে পাকা আমন ধানের সোনালী ঝিলিক। ধানের জমিতে শুধু পাকা ধান আর পাকা ধান। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নতুন ধান কাটা। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি। তবে ধান ঘরে তুলতে বাঁধ সেজেছে ধান কাটার দাম নিয়ে। শ্রমিকের পারিশ্রমিক যেমন বেশী তেমনি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে বেশী টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
শ্রমিকরা প্রতিদিনের (সকাল ৮-দুপুর ২ টা) পর্যন্ত ধান কাটতে ৬/৭ শত আর কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে একর প্রতি ৬ থেকে ৭হাজার টাকা দিয়ে হচ্ছে কৃষকদের। গত বছর আমান ধানের ফলন ভাল হলেও এবার প্রকৃতি যেন অকৃপণভাবে দু’হাত ভরে দান করেছে কৃষকদের। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনা রাঙা পাকা ধান আর ধান। ধানের মৌ মৌ গন্ধে কষ্টের দিনগুলোর কথা ভুলে, নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠতে শুরু করছে। সরকারিভাবে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান, মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি থাকায় সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবী কৃষি বিভাগের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯ উপজেলায় এ বছর ৯০ হাজার ৩শত ২৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড, উফশী ও স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়। ৯০ হাজার ২ শত ৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। ২ লক্ষ ৬১ হাজার ২শত ৭৭মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়। কিন্তু ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮শত ৮৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু আমনের বাম্পার ফলনের কারণে ধারণার চেয়ে বেশী উৎপাদন হবে। এরমধ্যে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৩শত, শায়েস্তাগঞ্জ ৩ হাজার ৫০, মাধবপুর ১২ হাজার ১শত ২০, চুনারুঘাট ১৮ হাজার ২শত ৫০, বাহুবল ১০ হাজার ১শত ৬০, নবীগঞ্জ ১৩ হাজার ২শত ৯৫, লাখাই ৫ হাজার ৭শত ৮০, বানিয়াচং ৯ হাজার ৭শত ৫০, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ৮শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের কৃষক আক্কাস মিয়া বলেন- ধানের ফলন ভাল হলেও কাটতে বেশী টাকা নিচ্ছে। ধানের মূল্য বেশী না হলে আমাদের কষ্ট কোন কাজে আসবে না। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক মরতুজ মিয়া বলেন, সরকারিভাবে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান, মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি হওয়ায় গত বছর থেকে এবার ভাল ফলন হয়েছে। তবে ধান কাটতে শ্রমিক ও ধান কাটার মেশিনের মালিকরা টাকা বেশি নিচ্ছে।
উপপরিচালক হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মো. আকতারুজ্জামান বলেন- চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রধানত আবহাওয়া অনুকুলে ছিল এছাড়াও উন্নত বীজের নিশ্চয়তা, সেচ ও সারের সহজলভ্যতা, কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক তদারকি এবং পরামর্শ প্রদান বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। কৃষকরা ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে যাবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
বাম্পার ফলন হওয়ায় বিরাজ হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে করছে পাকা আমন ধানের সোনালী ঝিলিক। ধানের জমিতে শুধু পাকা ধান আর পাকা ধান। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নতুন ধান কাটা। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি। তবে ধান ঘরে তুলতে বাঁধ সেজেছে ধান কাটার দাম নিয়ে। শ্রমিকের পারিশ্রমিক যেমন বেশী তেমনি কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটতে বেশী টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
শ্রমিকরা প্রতিদিনের (সকাল ৮-দুপুর ২ টা) পর্যন্ত ধান কাটতে ৬/৭ শত আর কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটতে একর প্রতি ৬ থেকে ৭হাজার টাকা দিয়ে হচ্ছে কৃষকদের। গত বছর আমান ধানের ফলন ভাল হলেও এবার প্রকৃতি যেন অকৃপণভাবে দু’হাত ভরে দান করেছে কৃষকদের। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনা রাঙা পাকা ধান আর ধান। ধানের মৌ মৌ গন্ধে কষ্টের দিনগুলোর কথা ভুলে, নতুন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠতে শুরু করছে। সরকারিভাবে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান, মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি থাকায় সেই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবী কৃষি বিভাগের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯ উপজেলায় এ বছর ৯০ হাজার ৩শত ২৫ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড, উফশী ও স্থানীয় জাতের আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়। ৯০ হাজার ২ শত ৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়। ২ লক্ষ ৬১ হাজার ২শত ৭৭মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়। কিন্তু ২ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮শত ৮৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু আমনের বাম্পার ফলনের কারণে ধারণার চেয়ে বেশী উৎপাদন হবে। এরমধ্যে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ হাজার ৩শত, শায়েস্তাগঞ্জ ৩ হাজার ৫০, মাধবপুর ১২ হাজার ১শত ২০, চুনারুঘাট ১৮ হাজার ২শত ৫০, বাহুবল ১০ হাজার ১শত ৬০, নবীগঞ্জ ১৩ হাজার ২শত ৯৫, লাখাই ৫ হাজার ৭শত ৮০, বানিয়াচং ৯ হাজার ৭শত ৫০, আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ৮শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পইল গ্রামের কৃষক আক্কাস মিয়া বলেন- ধানের ফলন ভাল হলেও কাটতে বেশী টাকা নিচ্ছে। ধানের মূল্য বেশী না হলে আমাদের কষ্ট কোন কাজে আসবে না। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের কৃষক মরতুজ মিয়া বলেন, সরকারিভাবে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান, মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি হওয়ায় গত বছর থেকে এবার ভাল ফলন হয়েছে। তবে ধান কাটতে শ্রমিক ও ধান কাটার মেশিনের মালিকরা টাকা বেশি নিচ্ছে।
উপপরিচালক হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ মো. আকতারুজ্জামান বলেন- চলতি আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রধানত আবহাওয়া অনুকুলে ছিল এছাড়াও উন্নত বীজের নিশ্চয়তা, সেচ ও সারের সহজলভ্যতা, কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক তদারকি এবং পরামর্শ প্রদান বাম্পার ফলনের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। কৃষকরা ধান ঘরে তোলা পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা ছাড়িয়ে যাবে।