ডিমলা (নীলফামারী) : চাহিদা মত সার না পেয়ে সাধারণ কৃষকের বিক্ষোভ -সংবাদ
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় চলতি মৌসুমী ভুট্টা ও ইরি চাষাবাদের জন্য চাহিদা মত সার না পেয়ে সারের দাবিতে সাধারণ কৃষকেরা ডিলারের সারের গোডাউনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। গতকাল বুধবার ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ডিমলা উপজেলার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট এলাকায় মেসার্স মাতৃ বিতান সার ডিলারের দোকানের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন এবং সার ডিলার ফজির উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ফজির উদ্দিনকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, সরকারের কৃষি দপ্তরের বিসিআইসি কর্তৃক নিয়োগকৃত নীলফামারীর জেলা সদরের মেসার্স মাতৃ বিতান সার ডিলারের স্বত্বাধিকার তাপস কুমার দাসের প্রতিনিধি ডিলার মো. ফজির উদ্দিন, সরকার দেয়া নির্ধারিত মূল্যের বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করে কৃষকদের না দিয়ে বাজারে স্যার ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। কালোবাজারে বিক্রির কারনে তারা প্রয়োজনীয় সার পাচ্ছেন না। ফলে চলতি মৌসুমের ভুট্টা ও ইরি ধান আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে। সার না পেয়ে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা ডিলারের সার গোডাউনের সামনে জড়ো হয়ে সারের দাবিতে স্লোগান দেন এবং দ্রুত সার সরবরাহের দাবি জানান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান এবং উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মীর হাসান আল বান্না। তারা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ও পরিবেশ শান্ত হয়। পরে পুলিশ অবরুদ্ধ ডিলার ফজির উদ্দিনকে উদ্ধার করে। এ সময় ডিমলা থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মীর হাসান আল বান্না বলেন, টুনির হাটে মাতৃ বিতান ডিলারের সার গোডাউনের সামনে খগাখড়ি বাড়ি ইউনিয়নের সার নিতে আসা কৃষকেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সংবাদ পেয়ে আমিও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ঘটনার স্থলে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আমি। বৃহস্পতিবার থেকে কৃষকদের মাঝে যে পরিমাণ সার গোডাউনে মজুদ রয়েছে তা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, সারের সংকট নিরসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই কৃষকদের মধ্যে সার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ভুটানি যে পরিমাণ মজুদ সার রয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে প্রতিদিন ক্রমান্বয়ে তিনটি করে মৌজার কৃষকদের মাঝে সার দেয়া হবে। এ সময় তিনি কৃষকদের আশ্বস্ত করেন ডিলারের সার বিতরনে অনিয়ম বা কৃষক বেতিরেখে ব্যবসায়ীদের মাঝে সার বিক্রি করলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে খগা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের টুনিরহাটস্থ মাতৃ বিতান সার ডিলারের প্রতিনিধি মো. ফজির উদ্দিন অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেন বলেন, বর্তমানে কৃষি দপ্তর থেকে যে পরিমান সার বরাদ্দ পেয়েছি তা আমার গোডাউনে মজুদ রয়েছে। কোন রকমের ঘাটতি নেই। একটি মহল কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সার সংকট তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো জানান, ডিএপি-৪২.৯ মে,টন,এমওপি ১৪.৯০মে,টন, টিএস পি ৩.৯০ মে.টন ও ইউরিয়া ৪৪ মে. টন আমার গোডাউনে মজুদ রয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ডিমলা (নীলফামারী) : চাহিদা মত সার না পেয়ে সাধারণ কৃষকের বিক্ষোভ -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় চলতি মৌসুমী ভুট্টা ও ইরি চাষাবাদের জন্য চাহিদা মত সার না পেয়ে সারের দাবিতে সাধারণ কৃষকেরা ডিলারের সারের গোডাউনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। গতকাল বুধবার ভোর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ডিমলা উপজেলার খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট এলাকায় মেসার্স মাতৃ বিতান সার ডিলারের দোকানের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন এবং সার ডিলার ফজির উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পুলিশ অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ফজির উদ্দিনকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, সরকারের কৃষি দপ্তরের বিসিআইসি কর্তৃক নিয়োগকৃত নীলফামারীর জেলা সদরের মেসার্স মাতৃ বিতান সার ডিলারের স্বত্বাধিকার তাপস কুমার দাসের প্রতিনিধি ডিলার মো. ফজির উদ্দিন, সরকার দেয়া নির্ধারিত মূল্যের বরাদ্দকৃত সার উত্তোলন করে কৃষকদের না দিয়ে বাজারে স্যার ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল। কালোবাজারে বিক্রির কারনে তারা প্রয়োজনীয় সার পাচ্ছেন না। ফলে চলতি মৌসুমের ভুট্টা ও ইরি ধান আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছে। সার না পেয়ে বিক্ষুব্ধ কৃষকেরা ডিলারের সার গোডাউনের সামনে জড়ো হয়ে সারের দাবিতে স্লোগান দেন এবং দ্রুত সার সরবরাহের দাবি জানান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান এবং উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মীর হাসান আল বান্না। তারা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরবর্তীতে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ও পরিবেশ শান্ত হয়। পরে পুলিশ অবরুদ্ধ ডিলার ফজির উদ্দিনকে উদ্ধার করে। এ সময় ডিমলা থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সার্বিক সহযোগিতা করেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা পালন করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মীর হাসান আল বান্না বলেন, টুনির হাটে মাতৃ বিতান ডিলারের সার গোডাউনের সামনে খগাখড়ি বাড়ি ইউনিয়নের সার নিতে আসা কৃষকেরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। সংবাদ পেয়ে আমিও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ঘটনার স্থলে গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে বিশৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আমি। বৃহস্পতিবার থেকে কৃষকদের মাঝে যে পরিমাণ সার গোডাউনে মজুদ রয়েছে তা বিতরণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরানুজ্জামান জানান, সারের সংকট নিরসনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই কৃষকদের মধ্যে সার বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ভুটানি যে পরিমাণ মজুদ সার রয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে প্রতিদিন ক্রমান্বয়ে তিনটি করে মৌজার কৃষকদের মাঝে সার দেয়া হবে। এ সময় তিনি কৃষকদের আশ্বস্ত করেন ডিলারের সার বিতরনে অনিয়ম বা কৃষক বেতিরেখে ব্যবসায়ীদের মাঝে সার বিক্রি করলে ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে খগা খড়িবাড়ি ইউনিয়নের টুনিরহাটস্থ মাতৃ বিতান সার ডিলারের প্রতিনিধি মো. ফজির উদ্দিন অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করেন বলেন, বর্তমানে কৃষি দপ্তর থেকে যে পরিমান সার বরাদ্দ পেয়েছি তা আমার গোডাউনে মজুদ রয়েছে। কোন রকমের ঘাটতি নেই। একটি মহল কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সার সংকট তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো জানান, ডিএপি-৪২.৯ মে,টন,এমওপি ১৪.৯০মে,টন, টিএস পি ৩.৯০ মে.টন ও ইউরিয়া ৪৪ মে. টন আমার গোডাউনে মজুদ রয়েছে।