মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলাতে যত্রতত্র দেদারছে গবাদি পশু জবাই করা হচ্ছে। জবাইকৃত গবাদি পশুর মাংসের মান নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। কসাইদের জবাইকৃত পশুগুলোর সুস্থতা যাচাই এবং মাংশের গুণগত মান যথাযথ পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছেনা। ঘিওর বাজারে অহরহ রোগাকান্ত গরু, ছাগল, মহিষ ভেড়া জবাই করা হচ্ছে। কখনও কখনও ছাগল জবাই করে খাসির মাংশ বলে বিক্রির করার অভিযোগ রয়েছে।
অসুস্থ পশ্রর শরীরে ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাস এ ছাড়া গলা ফুলা, বাদলা, তরকা, ফাইল পক্স, পক্স, ডাকপ্লেগ, জলাতঙ্ক এবং এনথ্যাক্সেও মত মারাত্মক রোগ থাকে। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, অসুস্থ পশুর শরীরে ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাস এ ছাড়া গলা ফুলা, বাদলা, তরকা, ফাইল পক্স, পক্স, ডাকপ্লেগ, জলাতঙ্ক এবং এনথ্যাক্সেও মত মারাত্মক রোগ থাকে। পশুর মাংশে এবং দুধের মাধ্যমে ব্রুসে লোসিস ও যক্ষা রোগ থাকে। মশার মাধ্যমে চড়ায় মস্তিস্কের প্রদাহ জনিত রোগ এনকে ফাইলাইটিসসহ শতাধিক রোগ। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত পশুর মাংশ খাওয়া কোনো মতেই ঠিক হবেনা। ঘিওর পুরাতন গরু হাটায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দীর্ঘদিন আগে শুধুমাত্র ১টি কসাইখানা ও মাছ বাজারের জন্য ২টি টিনশেড ঘড় নির্মান করা হয়।
তবে কসাইখানার জন্য এবং পশু রাখার সেড, মাংশ পরীক্ষার ল্যাব, বাইপ্রাডাকটস রুম, কোল্ড স্টোরেজ, ডিসপোজল পিট ও মাংশ বহনকারী গাড়ি এগুলোর কোন কিছুই ঘিওরে নেই। কিন্তু দূঃখ জনক হলেও সত্য দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পরেও ঘিওর চাউল বাার থেকে কসাইখানা ও মাছ বাজার টি স্থানান্তর করা হয়নি। বর্তমানে শেডগুলো বেদখল হয়ে গেছে। পশু মাংশ যাচাই বাছাই এবং পরীক্ষা করণের জন্য প্রায় ২ যুগ আগে ১জন পশু চিকিৎসক, ১জন ভেটেরীনারি সার্জন, ১জন সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে কমিটির কোন অস্তিত্ব নেই। বর্তমানে মাছ বাজার ও কসাইকানার চারপাশে ময়লা আর্বজনা ভরাট হয়ে আছে। মাংশ ও মাছ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলে দেয়। ময়লা আর্বজনায় মশা ও মাছির বিস্তার লাভ করছে।
আশপাশের ব্যবসায়ীদের চরম অসুবিধা হচ্ছে। তবে মুখ ফুটে কেউ কোন ধরনের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। ঘিওর পুরাতন গরু হাটার একজন ব্যবসায়ী বলেন, ১টি কসাইখানা ও ২টি মাছ বিক্রির শেড দীর্ঘদিন অবহেলা পরে আছে। বর্তমানে শেডগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানকার মাছ বাজার ও কসাইখানা টি চালু হলে অনেকের উপকার হতো। ঘিওর চাউল বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী আমীনুর ইসলাম বলেন, এখানে গরু, ছাগল জবাই করা হয়।
জবাইকৃত পশুর রক্ত পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমাদের অনেক কষ্ট করে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকার ব্যবসায়ী ও ভ’ক্তভোগি লোকজন প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলাতে যত্রতত্র দেদারছে গবাদি পশু জবাই করা হচ্ছে। জবাইকৃত গবাদি পশুর মাংসের মান নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। কসাইদের জবাইকৃত পশুগুলোর সুস্থতা যাচাই এবং মাংশের গুণগত মান যথাযথ পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছেনা। ঘিওর বাজারে অহরহ রোগাকান্ত গরু, ছাগল, মহিষ ভেড়া জবাই করা হচ্ছে। কখনও কখনও ছাগল জবাই করে খাসির মাংশ বলে বিক্রির করার অভিযোগ রয়েছে।
অসুস্থ পশ্রর শরীরে ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাস এ ছাড়া গলা ফুলা, বাদলা, তরকা, ফাইল পক্স, পক্স, ডাকপ্লেগ, জলাতঙ্ক এবং এনথ্যাক্সেও মত মারাত্মক রোগ থাকে। প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, অসুস্থ পশুর শরীরে ল্যাম্পি স্কিন ভাইরাস এ ছাড়া গলা ফুলা, বাদলা, তরকা, ফাইল পক্স, পক্স, ডাকপ্লেগ, জলাতঙ্ক এবং এনথ্যাক্সেও মত মারাত্মক রোগ থাকে। পশুর মাংশে এবং দুধের মাধ্যমে ব্রুসে লোসিস ও যক্ষা রোগ থাকে। মশার মাধ্যমে চড়ায় মস্তিস্কের প্রদাহ জনিত রোগ এনকে ফাইলাইটিসসহ শতাধিক রোগ। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত পশুর মাংশ খাওয়া কোনো মতেই ঠিক হবেনা। ঘিওর পুরাতন গরু হাটায় প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে দীর্ঘদিন আগে শুধুমাত্র ১টি কসাইখানা ও মাছ বাজারের জন্য ২টি টিনশেড ঘড় নির্মান করা হয়।
তবে কসাইখানার জন্য এবং পশু রাখার সেড, মাংশ পরীক্ষার ল্যাব, বাইপ্রাডাকটস রুম, কোল্ড স্টোরেজ, ডিসপোজল পিট ও মাংশ বহনকারী গাড়ি এগুলোর কোন কিছুই ঘিওরে নেই। কিন্তু দূঃখ জনক হলেও সত্য দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পরেও ঘিওর চাউল বাার থেকে কসাইখানা ও মাছ বাজার টি স্থানান্তর করা হয়নি। বর্তমানে শেডগুলো বেদখল হয়ে গেছে। পশু মাংশ যাচাই বাছাই এবং পরীক্ষা করণের জন্য প্রায় ২ যুগ আগে ১জন পশু চিকিৎসক, ১জন ভেটেরীনারি সার্জন, ১জন সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমানে কমিটির কোন অস্তিত্ব নেই। বর্তমানে মাছ বাজার ও কসাইকানার চারপাশে ময়লা আর্বজনা ভরাট হয়ে আছে। মাংশ ও মাছ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামত যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলে দেয়। ময়লা আর্বজনায় মশা ও মাছির বিস্তার লাভ করছে।
আশপাশের ব্যবসায়ীদের চরম অসুবিধা হচ্ছে। তবে মুখ ফুটে কেউ কোন ধরনের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। ঘিওর পুরাতন গরু হাটার একজন ব্যবসায়ী বলেন, ১টি কসাইখানা ও ২টি মাছ বিক্রির শেড দীর্ঘদিন অবহেলা পরে আছে। বর্তমানে শেডগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখানকার মাছ বাজার ও কসাইখানা টি চালু হলে অনেকের উপকার হতো। ঘিওর চাউল বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী আমীনুর ইসলাম বলেন, এখানে গরু, ছাগল জবাই করা হয়।
জবাইকৃত পশুর রক্ত পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমাদের অনেক কষ্ট করে ব্যবসা করতে হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাশিতা তুল ইসলাম বলেন, দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এলাকার ব্যবসায়ী ও ভ’ক্তভোগি লোকজন প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।