নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদ যেন এখন একখ- সবুজ স্বর্গ। প্রায় সাত হাজার বর্গফুট আয়তনের দুটি ভবনের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পরিকল্পিত ছাদবাগান। যেখানে রয়েছে আম, মাল্টা, বড়ই, পেয়ারা, লেবু, আমড়া ও সফেদাসহ নানা জাতের ফলদ ও ঔষধি গাছের সমাহার।
এখানে ড্রামে লাগানো সফেদা গাছগুলো এখন ভরা মৌসুমে প্রতিটি গাছে ঝুলছে শত শত সফেদা। যা এই মুহূর্তে বাগানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ “সফেদা বাগান”। ছোট-বড় ৩০টি গাছে শতশত ঝুলন্ত সফেদা যা এক নজরে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে আগত অভিভাবকরাও এই ছাদবাগান দেখে বিস্মিত হন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির মৃধা বলেন, “শিক্ষার্থীদের পরিবেশ-সচেতনতা তৈরি, প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে আসা ও স্কুলভিত্তিক টেকসই সবুজায়নই আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এখন শিক্ষার্থীরা বইয়ের পাতায় নয়, বাস্তবেই ফল গাছ দেখে, শিখে ও পরিচর্যা করে।”
এই ছাদবাগান এখন শুধুই বিদ্যালয়ের গর্ব নয়, বরং এলাকার একটি দৃষ্টান্তও বটে। ছাদ বাগানে কাজ করে শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়িতেও ছাদে এবং বাড়ির আঙিনায় সবুজায়ন শুরু করেছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির মিলিত উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই সবুজায়ন প্রকল্প এখন সবার জন্য অনুপ্রেরণা। এই প্রতিষ্ঠান শুধু পাঠদানে নয়, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক বাস্তব পাঠশালাও বটে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি বৃক্ষরোপণে প্রথম স্থান অর্জন করে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার একদুয়ারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদ যেন এখন একখ- সবুজ স্বর্গ। প্রায় সাত হাজার বর্গফুট আয়তনের দুটি ভবনের ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পরিকল্পিত ছাদবাগান। যেখানে রয়েছে আম, মাল্টা, বড়ই, পেয়ারা, লেবু, আমড়া ও সফেদাসহ নানা জাতের ফলদ ও ঔষধি গাছের সমাহার।
এখানে ড্রামে লাগানো সফেদা গাছগুলো এখন ভরা মৌসুমে প্রতিটি গাছে ঝুলছে শত শত সফেদা। যা এই মুহূর্তে বাগানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ “সফেদা বাগান”। ছোট-বড় ৩০টি গাছে শতশত ঝুলন্ত সফেদা যা এক নজরে দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে আগত অভিভাবকরাও এই ছাদবাগান দেখে বিস্মিত হন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির মৃধা বলেন, “শিক্ষার্থীদের পরিবেশ-সচেতনতা তৈরি, প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে আসা ও স্কুলভিত্তিক টেকসই সবুজায়নই আমাদের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এখন শিক্ষার্থীরা বইয়ের পাতায় নয়, বাস্তবেই ফল গাছ দেখে, শিখে ও পরিচর্যা করে।”
এই ছাদবাগান এখন শুধুই বিদ্যালয়ের গর্ব নয়, বরং এলাকার একটি দৃষ্টান্তও বটে। ছাদ বাগানে কাজ করে শিক্ষার্থীরা তাদের বাড়িতেও ছাদে এবং বাড়ির আঙিনায় সবুজায়ন শুরু করেছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির মিলিত উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই সবুজায়ন প্রকল্প এখন সবার জন্য অনুপ্রেরণা। এই প্রতিষ্ঠান শুধু পাঠদানে নয়, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার এক বাস্তব পাঠশালাও বটে।
উল্লেখ করা প্রয়োজন ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি বৃক্ষরোপণে প্রথম স্থান অর্জন করে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হয়।